শ্বেতা, মহাশ্বেতা
আমরা জ্বরের সময় একান্ত সুরূপা হয়ে উঠি
আরামের বাতুলতা, আঁচল সরিয়ে
অতৃপ্ত সুরের মতো কৌশল, হস্তিনাপুর প্রার্থনা করি।
সূর্যের আলো গায়ে লাগাই
বাসক পাতার রসে জোনাকি ডলে দিই
ওরা শোনে। ওরা দ্যাখে—-
বাগানের অভ্যন্তরে ছাইচাপা আগুনের ধোঁয়া
বেদও জানে না, যা শীতলক্ষ্যা জানে
বেশি রূপ ভালো না, নজরদোষ লাগে।
ওরা নিশ্চুপে তাঁতিয়ে দেয়
জ্বালিয়ে দেয় শস্য, হাড়ি-পাতিল, পোষা অন্ধকার…
কিছু পাগল, নির্মম কুমির আমাদের হরিণী ভাবে
(কৃষ্ণমৃগী – আয়ুষ্কাল – শ্বেতশুভ্র অজিন)
আমাদের হরিণী ভাবে
বাড়িটাকে মুর্শিদাবাদ
বিপদ বুঝে আমরাও ঘন ঘন শরীরত্যাগ করি
খোলস রেখে যাই – মরা সাপের চর্ম।
মরে না যে নারী, তার বুকের খাঁজে আলো ফেলতে নেই
নাহলে পশ্চিমে, জঘনে
মৎস্যে, মন্বন্তরে
সেও আমাদের মতো উত্তাল হয়ে পড়বে।