কাব্যক্রমে হরিশ্চন্দ্রডোম (জয়ন্ত কুমার সাহা)
by
·
Published
· Updated
১| দায়মুক্ত
ছন্দ মেলেনি অধিকাংশ জীবনের
কবিতাও বারবার ছন্দহীন,
ছন্দ পতনের বারবার আক্রমণে
জীবন হোঁচট খেয়েছে শতবার।।
অকালে হারিয়েছে প্রাণ
লাশকাটা ঘরের সম্পদ
আজ শ্মশানে হাজির হয়েছে
তাই ডোম হয়ে বেঁচে আছি।
রাস্তা পার হতে গিয়ে
কোন অবুঝ বালক
মড়া হয়ে রইলো পড়ে
এখন আমার হেফাজতে।
সুখ শয্যার আশা শয্যায়
নববধূ সংক্রামিত ভালোবাসায়
সহ্য হয়নি এতো প্রেম,
প্রাণ হারিয়ে মড়া হয়ে আমার হেফাজতে।
ছেলেকে স্কুলে দিয়ে ফেরার পথে
ট্রাক্টরে একটু আদর করেছে,
সিঁদুর মুছে সেই নারী তার স্বামীকে
নিয়ে এসে রাখলো আমার হেফাজতে।।
অনেক মৃতজন এখন আমার অপেক্ষায়
সারি সারি পড়ে আছে মুখাগ্নির পর,
কাঁঠের সুখ শয্যায় আগুন ধরিয়ে
আমি দায়মুক্ত হই, চিতা নেভাই।।
২| সুবিচার পাবি বলে
মিথ্যে তোদের আইন-আদালত
ধোকাবাজ উকিল গুলো
এক পেয়ালার সঙ্গী এখন
দারোগা আর বিচারপতি।।
শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল গুলো
ধর্মগুরু ধাঁড়িবাজ
অশিক্ষিত পুরুত ঠাকুর
আজ এখনই নিপাত যাক।
নামেই সংসার, নোংরামো সব
স্বার্থপরের ঘর করে
বলছে মাগো! কোচিং যাবো
এধার-ওধার প্রেম করে।।
এসব করে যখন তোদের
ঢং এর বাজার আর চলে না
হরিনামের চাঁদর পড়ে
উদয় হলি শশান ঘাটে।
না জানার ভান করে আজ
ঘাপটি মেরে মড়ে আছে
সঠিক বিচার এখন পাবি
হরিশচন্দ্র ডোমের কাছে।।
আসল আগুন শুকনো কাঠ সত্যি মড়া
আজকে যখন ডোমের কাছে হাজির হলি
ডোম এর কাছেই ন্যায় বিচার
পুড়ে গিয়েই রেহাই পেলি।।