গদ্যানুশীলনে হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

নারী দিবসের গল্প

বুড়ো আঙুল ভাব,কড়ি আঙুল আড়ি।টুসুর সঙ্গে আমার কড়ি আঙুলের সম্পর্ক।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল দুজন দুজনকে কড়ি আঙুল দেখানো মাত্র টুসু চলে আসে আমার ঘরে।
ঘরে টুসুর জন্য বিভিন্ন ফ্লেভারের ক‍্যাডবেরি,লজেন্স রাখা আছে।টুসুর ক্লাস ফোর।লরেটো।টুসু একটার বেশি নেয় না।
তুলে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আবার কড়ি আঙুল দেখিয়ে বেরিয়ে যায়।আমরা সামনা সামনি বাড়িতে থাকি ।টুসুর বাবা সুমিত কাজের জন্য বাইরে থাকে।তিন চার মাস বাদে বাড়ি এলে টুসু আর আমাকে পাত্তা দেয় না।বাবার সঙ্গে তখন তার যত গল্প।মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো না।সারাক্ষণ পড়তে বলে।একদিন সকালে নীল রঙের ফতুয়ার সঙ্গে সাদা পায়জামা পরে ব্রাশ করছি,দেখি স্কুল বাসের জন্যে অপেক্ষা করছে টুসু।আর নাচ প্র‍্যকটিস করছে।বেচারির অন্য কোনো সময় নেই।
লেখাপড়ার খুব চাপ  ।
হঠাৎ টুসু দেখতে পায় হলুদ জামা আর বেগুনি জিনস পরা একটি মেয়ে।গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে আসছে।এগিয়ে এসে আমার নাম জিজ্ঞেস করল।টুসু নাচতে নাচতে নিয়ে আসে আমার কাছে।
নীলাঞ্জনাকে আমার দরজা চিনিয়ে দেয়।
আমি দরজা খুলে আকাশ থেকে পড়ি।
টুসু একবার আমার দিকে তাকায়, একবার নীলাঞ্জনার দিকে।তারপর কড়ি আঙুল দেখিয়ে
ধীরে ধীরে সিড়ি দিয়ে নেমে যায়।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।