অ্যাকাডেমিক ডিগ্রী কয়টি
করেছে কেউ অর্জন—
তাই দিয়ে কি শিক্ষার
হয় বিচারকরণ?
তবু কিছুটা সহজে এভাবে
প্রকাশ কোনো সত্ত্বার
যদি না থাকে, একেবারেই
ভিতর ফাঁপা তার;
কারও ভিতরে গভীরে যদি থাকে
মানবিকতার স্থান—–
তবেই তাকে বলি শিক্ষিত,
সভ্য, সুসংস্কৃতিবান।
মানুষের রূপে জন্মেও যার
অভাব আছে মানবিকতার
পৃথিবীতে সে বাঁচার অযোগ্য
মানুষ জন্ম বৃথা তার।
যে করে মানবতার কাজ
পৃথিবীতে শুধু তারই দাম আছে
অমানুষের জনসংখ্যার
নেই প্রয়োজন পৃথিবীর কাছে।
“আমার নিজেকে কষ্ট দেয়
আমার করে ক্ষতি
অকারণে এমন কাজ
করি না ওপরের প্রতি”
—-এই বোধটি আছে যার
“মানুষ” তাকেই বলে,
—-এই হল “মানবিকতা”
জন্তু যার উল্টো চলে।
মানুষের গর্ব এ যে
মেনে চলা মানবিকতা!
মানবিকতার মানদন্ডেই
সব বিচারের আসল কথা।