কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে এস মিয়া ওমরান (পর্ব – ৮)

মাছ
শহর হতে মানুষের ঢল নেমেছে গ্রামের দিকে। যে যেভাব পারে আশ্রয় নিচ্ছে। যার সাথে যার কোনদিন দেখা হয়নি। কোনদিন হবে কিনা এমন ভাবনাও ছিল না। কিন্তু আজ সে কত আপন হয়ে গেছে।যেন একজনের সঙ্গে আরেকজনের জনম জনম ধরে আত্মীয়তার সম্পর্ক। বানের জলের মতো একেই মোহনায় মিশে গেছে। কৃৃষক থেকে বড় সাব
শিক্ষিত থেকে অশিক্ষিত সবাই আজ এক সারিতে।
হাফিজ, কাসেম, ইউনুস তারাও আসে ইটের ভাটা হতে। আজ তিনদিন হল তাদের পেটে ঠিক মতো কোন দানাপানি জুটে নাই। কখনো নদী সাঁতরায়ে আবার কখনো বনকে বন মাড়িয়ে তারা গ্রামে এসে পৌঁছে।যখন বেড়ীবাঁধের উপর উঠে তখন তিনজনই একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। তারপর তিনজন তিনদিকে ভাগ হয়ে যায়। যদিও তারা একেই গ্রামের বাসিন্দা কিন্তু বাড়ি তিনজনের তিনদিকে। কিন্তু ততদিনে গ্রামে অনেক অচেনা মানুষে ভরে যায়। পথে আসতে আসতে কাসেমের সাথে কিছু অচেনা মুখের সাক্ষাৎ হয়।এর আগে আর কখন সে তাদেরকে দেখে নাই। বাড়িতে ঢুকে সে প্রথমে একজন অল্পবয়সী মেয়েলোককে দেখে। তাদের ঘরের দাওয়া বসে আছে। চোখেমুখে তার করুন চাওনি। তখন তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলে সে সব খুলে বলে। পাকিস্তানি মেলেটারীরা তার স্বামীকে মেরে ফেলে আর তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দে।সে কোনরূপ পালিয়ে এসেছে।
চারিদিকে এক গমগম আওয়াজে জেগে উঠেছে পুরো গ্রামটি। জনমানবহীন গ্রামটি যেন মানুষের তিল ঠাই আর নাই।সবাই আজ প্রাণের ভয়েে বিহ্বল।তাই এ অজপাড়াগাঁ এসে আশ্রয় নে। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সেই শত বছরের পুরনো বট গাছটি আজ শুনশান নীরবতায় দাঁড়িয়ে আছে। যার মধ্যে দিনের শেষে যখন সন্ধ্যা নামত তখন গ্রামের সকল পাখিগুলো রাত্রি যাপন করত।সৃৃষ্ট হত এক আনন্দঘন মুহুর্ত। সারাক্ষণ কিচির-মিচির শব্দ আর ঝগড়াঝাটি। এভাবে তারা এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ত।
তারপর ঘুমিয়ে যেত।
গ্রামের মানুষেরাও তাদেরকে পাহারা দিয়ে রাখত।কাউকে শিকার করতে দিত না।এখন আর কোন শব্দ হ না। কারণ ঐখানে এখন রাজাকারের ক্যাম্প হয়েছে। রাত-বিরাতে এখন গুলির আওয়াজ।
এমন গুমোট আঁধারের মধ্যে নুরা রাজাকার তার সাগরেদদেরকে নিয়ে গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত টহল দিচ্ছে। যেন মুক্তিযোদ্ধারা সুসংগঠিত হতে না পারে। সে খবর পেয়েছে মুক্তি বাহিনী গ্রামে টুকেছে। তাই সতর্ক পাহারা দিচ্ছে। পথিমধ্যে কাসেমদের সাথে দেখা হয়।
অন্ধকারে কাউকে চেনা যায় না।নুরা রাজাকার দূর থেকে জিজ্ঞেস করে।
ওখানে কারা? এ কথা বলে গুলির একটা শব্দ করে।
তারা ভয়ে, আতঙ্কে চিৎকার করে বলে।আমরা। নবী ভাই আমরা তিন জন।
আমি কাসেম
আমি হাফিজ আর আমি ইউনুস।
তোমরা এ রাত কোথায় গিয়েছিলে?
আমরা হাট থেকে আসি।
কাল থেকে বাড়ির বার হবে না।এলাকাতে কারফিউ দেওয়া হবে । খুব কর্কশ ভাষায় ধমক দেয়।ফারহাদ মিয়ার বেটা রুশো মুক্তি হইছে। মুক্তি ফোর্স গঠন করে। পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ বানাবে।
দেশ স্বাধীন করবে।
আমাদের মত পাকিস্তানি সৈন্য থাকতে, তা কখন সম্ভব ন।স্বপ্ন তাঁর চোখে রয়ে যাবে। অন্তরের বাসনা অন্তরে কবর হবে। সেদিনকার সে ছোকরা ছেলেটা আজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।যার আঁতুড় ঘরের উয়া..উয়া কান্নার শব্দ আজো কানে বাজে। আর আজ কিছু পুস্তক পাঠ করে বিশাল শিক্ষিত হয়ে গেছে। অনেক কিছু বুঝে গেছে।
দেখ আবার তোমরা ওর ফাঁদে পড় না।ওরা আল্লা,রাসূল এবং দেশের বিরুদ্ধে কথা বলে।
পরদিন সকালে একজন বৃদ্ধ লোক বাজারে গিয়াছে সাবু আনার জন্য। বয়সের ভারে একেবারে নুব্জ।লাঠি ভর দিয়ে চলে।গ্রামের মূর্খ বয়স্ক মানুষ। হরতাল, অবরোধ আর কারফিউ এগুলো কি জীবনে কখন দেখে নাই। ফিরতে পথে নুরা রাজাকারের সাথে দেখা। তাঁকে সে দাঁড় করায়।বিভিন্ন ছওয়াল করে। তারপর বলে কারফিউ চলে জানিস না।বাড়ির বার হওয়া নিষেধ। বৃদ্ধ লোকটা কারফিউ কি সে জানে না।
বাবা আমি তোমার কারফিউতে পা দিই নাই। দেখ।লোকটি বলে।
শালা মুক্তি বাহিনীর গুপ্তচর বলে নুরা রাজাকার বৃদ্ধার কোমরে একটা লাথি বসায় দে।সাথে সাথে সে রাস্তার বাহিরে পড়ে যায়।
এভাবে পুরো গ্রাম জুড়ে সে অত্যাচারের এক খাণ্ডবদাহ চালাতে লাগলো। গ্রামের ছেলে বুড়ো সবাই তার নাম শুনলে আঁতকে উঠে। কখন কাকে আবার বেইজ্জত করে। সারাক্ষণ এ ভয়ে বিভোর থাকে। বট গাছের মগডালে একটা ঘুঘু পাখি বসে আছে। নুরা রাজাকার তাকে মারার জন্য উৎদত হ।হঠাৎ তার দিকে চোখ পড়াতে পাখিটি উড়াল দে।হয়তোবা কোন এক নিরাপদ আশ্রয়ে। যেখানে কোন রাজাকার, আলবদর এবং আল-শামস বাহিনী নেই।আছে শুধু মুক্তি বাহিনী।যাঁরা মা,মাটি ও মানুষের জন্য সংগ্রাম করে। তাঁর চোখে পাখিটি শত্রুতা দেখেছে।
কিছুদিন পরে নুরা রাজাকার একদল জেলে নিয়ে পুকুরে জাল ফেলে বড় মাছটি তুলে নিয়ে আসে। এখন শুকনো মৌসুম পুকুরে পানি কমে যায়। আর তাই মাছটি সহজে জালে ধরা পড়ে যায়।প্রথম টানে মাছটি ধরতে পারে নাই। সে জালের উপর দিয়ে লাফিয়ে চলে যায়। তার জন্য নুরা রাজাকার জেলেদেরকে অনেক গালমন্দ করে। দ্বিতীয় টানে আর পালাতে পারেনি। কতবার যে মাছটি বৃথা চেষ্টা করেছে। কারণ এবার কয়েকজন জেলে বাঁশ দিয়ে জালকে উপরে তুলে ধরে। যেন লাফিয়ে না যেতে পারে। তাদের বাড়ির হাবাগোবা ছেলেটা দৌড়ে গিয়ে তাকে খবর বলে।
ছবি দিদি…ছবি দিদি।
তোমার মৎস্য ষাঁড়কে ধরে ফেলছে নুরা রাজাকার। শোনার পর ছবি আর লুকিয়ে থাকতে পারে নাই। সকল ভয়কে তুচ্ছজ্ঞান করে ছুটে আসে তার কাছে।মাছটির জন্য অনেক অনুনয় বিনয় করে।দাদা আমার মাছটা ছেড়ে দেন। কিন্তু সে ভাবে অন্য কথা।
কি কেশব বাবু, তোমার মেয়ে না কলকাতায়?
তার মুখে কোন কথা নাই।যেন পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।যে শরীর হতে এতক্ষণ ঘাম নামত।সেই শরীর এখন ঠান্ডায় হিম হয়ে যায়।ভয়ে ভয়ে বলে।
ছিল।
আবার ফিরে আসে।
ও তা-ই নাকি। নুরা রাজাকার টেনে বলে কথাটা। তাহলে ত ভালো। আজ আমাদের পাঞ্জাবি সাব আসবে শহর থেকে। যাক অতিথি আপ্যায়ন ভালোভাবে করা যাবে। শাগরেদদেরকে নির্দেশ করে ওদেরকে নিয়ে চল।তাদেরকে নিতে দেখে তাঁর স্ত্রীও বাহির হয়ে আসে। সাবাইকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে আসে। কেশব বাবু বহুবার তার হাতে পায়ে পড়ে তবু তার মন একটুু গলে না।উল্টো তাকে আরো শাস্তি দেওয়া হয়। কেন মিথ্যে বললো। কাঠফাটা রোদের মধ্যে মাঠে শুয়ে রাখা হ বুকের উপর একটি ইট দিয়ে। ইট পড়লে তাকে বন্দুকের গাদা দিয়ে বেদম ভাবে আঘাত করে। কোন রকম নড়াচড়া করা যাবে না। যেন বর্বরতার এক নিপীড়ন দাহন চলতে থাকে। প্রচন্ড রুদ্র তাপে তার শরীর যেন ফেটে চর্চির হয়ে যাবে। তৃষ্ণায় পানি পানি করে সে কাতরাচ্ছে, কেউ তাকে একফোঁটা পানি দে না।আরো তার সাথে তামাশা করা হয়।এই তল্লাটে পানি পাওয়া যায় না। সব পানি শুকিয়ে গেছে। যখন তাঁরা আড়াল হয়।তখন কেশব বাবু আকাশের দিকে দুহাত তুলে ফরিয়াদ করে। হে ভগবান, হয় মৃত্যু দাও।না,হয় যারা আজ বাঙালির রক্ত দিয়ে হলি খেলায় মেতে উঠেছে। তাদেরকে ধ্বংস কর চিরতরে। অন্যদিকে ক্যাম্প হতে তাদের মা-মেয়ের চিৎকার শোনা যায়। তারপর একসময় আর কোন সাড়াশব্দ থাকে না।সারাদিন তাদের উপর নির্যাতনের পরে সন্ধ্যাকালীন ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে রুশোর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হচ্ছে। রাত-দিন গোপন বৈঠক করছে। বাঙালীদের শক্তি দ্বিগুণ হচ্ছে ভারতীয় মিত্র বাহিনী যোগ দেওয়াতে। বিভিন্ন জায়গায় হতে পাকিস্তানিরা পিছু হটতে শুরু করেছে। রুশোর কথা হল এখুনি সময় রায়বাহাদুর পুর রাজাকার মুক্ত করা। সকাল থেকে মুক্তি বাহিনী ক্যাম্পের অদূরে চারপাশে ঘাঁটি স্হাপন করতে শুরু করেছে। মুক্তিরা চারিদিকে রাজাকারদেরকে ঘিরে পেলে।তারা ক্যাম্পের মধ্যে জিম্মি হয়ে আছে।কয়েকদিন হতে আশেপাশের বাড়ি-ঘরের মানুষদেরকে সরিয়ে ফেলা হয়।রুশো তাঁর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার কাঁধে হাত রেখে বলে। দেখছ।আজ রায়বাহাদুর পুর গ্রামের বাতাস কেমন প্রফুল্ল। মায়ের মমতা ভরা হাতের মত পরেশ ভুলিয়ে যায়।এ যেন স্বাধীন দেশের স্বাধীন সমীরণ। হবে আজ একটা কিছু।’ জয় বাংলা ‘ বলে দু’জনে অস্ত্র তুলে ধরে। তারপর যুদ্ধ জয়ের মিশনে নেমে পড়ে। প্রথমে তাদের শক্তি পর্যবেক্ষণ করে। একটা গুলি ছুড়লে তারা ছুড়ে দশ-পনেরোটা।আবার অন্য প্রান্তে হতে ছুড়ে। এভাবে দিনভর তাদের সাথে থেমে থেমে যুদ্ধ চলে। আর এদিকে তাদেরও গুলির সংখ্যা কমতে থাকে।এটা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের একটা কৌশল। তারপর বিকেল হতে শুরু হয় যুদ্ধের চূড়ান্ত রুপ।মুক্তি বাহিনী আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগুতে থাকে। একপর্যায়ে রাজাকাররা দিশেহারা হয়ে পড়ে। তারা পালানোর চেষ্টা করে। রাত তখন প্রায় আটটা বাজে। হঠাৎ রুশো দেখল রাজাকার ক্যাম্প হতে কোন সাড়াশব্দ নেই। তখন সে মৃত্যুকে তুচ্ছজ্ঞান করে ‘জয় বাংলা ‘স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পের সামনে উঠে আসে। তাঁর সাথে সাথে অন্যরাও উঠে আসে। যারে যেভাবে পেয়েছে গুলি করে। কিন্তু তাদের প্রধান নুরা রাজাকারকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।সবাই তাকে খুঁজছে। চারিদিক হতে এতদিনের পরাধীনতার শিকল পরা পায়ের মানুষগুলো পিপীলিকার ন্যায় আসতে থাকে। জয় বাংলা ধ্বনি দিতে দিতে।সারা গ্রাম জয়ের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে। সবার হাতে একটা লাঠি এবং একটা প্রদীপ জ্বেলে। যেন জোনাকিপোকা ভরে যায় পুরো গ্রাম।
খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ একজন চিৎকার করে উঠে। এইতো পাইছি। সে এখানে লুকিয়ে। ক্যাম্পের পিছনে একটা গর্ত ছিল। গর্তে কচুরিপানা এবং পঁচা আবর্জনা ভরা। পাশে ছিল বাজার। বাজারের সকল আবর্জনা ফেলা হতো এ গর্তে। গর্তে এখন পানি নেই। কাদাপানি সমান সমান। সেখানে সে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে ছিল। পুরো শরীর তার কচুরিপানার নিচে। শুধু নাকটাকে একটু পরিষ্কার করে রাখে যাতে করে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে। সেখান থেকে কাদা পানিসহ টেনেহিঁচড়ে উপরে তুলে আনা হয়।উপরে আনার পর উপস্থিত জনতা সমচ্চরে বলে উঠে। ওকে গুলি কর।এ কয়েক মাসে অনেক অত্যাচার করেছে।অনেকের ঘরবাড়ি পুড়িয়েছে। গ্রামের মানুষের সুখশান্তি কেড়ে নিয়েছিল। বৃদ্ধলোকটি বলে, আমার কোমরে লাথি মেরেছিল।
মারো।
এ কুলেঙ্গারকে গুলি কর।ও এগ্রামের জন্য, এ জাতির জন্য অভিশাপ।
তারপর জয় বাংলা বলে রুশো কয়েকটি গুলি ছুড়ল।সঙ্গে সঙ্গে নুরা রাজাকার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মানুষ বাধভাঙ্গা উল্লাসে মেতে উঠে। মানুষের এ ভীড় সরিয়ে ছবিদের সেই কুকুরটা খুড়িয়ে খুড়িয়ে সোজা গিয়ে নুরা রাজাকারের লাশের উপরে। যাকে সে গুলি করে খোঁড়া করেছিল।গুলি করার পরে তাকে আর কোথাও খোঁজে পাওয়া যায়নি। আজ আবার কোথা হতে বের হয়ে আসে। যেন সে এই দিনটার জন্য আরাধনা রত ছিল প্রভুর কাছে।শুকিয়ে একেবারে কাঠ হয়ে গেছে।লাশের বুকটাকে কামড়ে চিঁড়ে যেন কলিজা বের করে আনবে। তারপর পা’টাকে তিন থেকে চার ইঞ্চি উপরে তুলে তার লাশের পরে প্রস্রাব করে চলে যায়। কেউ কোন বাধা দিলনা। শুধু চেয়ে চেয়ে অবাক হয়েছে।
দেশ স্বাধীন হল। চারিদিকে আনন্দ মিছিল। সারা বাংলায় যেন আনন্দ উপড়ে পড়েছে।
আকাশে আজ আনন্দ ।
বাতাসে আজ আনন্দ।
নদীর বুকে আজ আনন্দ স্রোত বয়ে যায় ।হঠাৎ
একটি পাখি আনন্দ সুর তুলতে তুলতে কোথায় যেন হারিয়ে যায়। আর না ফিরে গাঁ।আবার মুন্সির দোকানে জমছে আড্ডা। চায়ের কাপে টং টাং শব্দে মুখরিত পুরো দোকান । হাফিজ বলে আমাকে একটা চা দাও।কাসেম বলে আমাকেও দাও।আবার শত কথার বসছে আসর।কেউ বলে মুক্তিযুদ্ধের কথা। কেউ বলে কেশব বাবুর পরিবারের কথা। আহ্; কি নির্যাতন না করেছে তাদেরকে নুরা রাজাকার।
তখন ইউনুস বলে। সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হল রাজাকাররা তাঁর মেয়েকে রেফ করে নারে তাকবীর ‘আল্লহু আকবার ‘ ধ্বনি দিতে দিতে বাহির হ। এ যেন খোদাকে বোকা বানানোর ছল।
যবনিকা