একদিন বুঝবে মানুষ
অতিমারী,মহামারীর দীর্ঘ পথ পেরিয়ে
যদি আসে কোনদিন নির্মল,রোগমুক্ত পৃথিবী।
যদি বেঁচে থাকে,
নিঃশেষ না হয়ে যায় মানবজাতি
এ বিশ্ব মঞ্চ হতে।
মানুষ বলে ছিল এক প্রজাতির জীব–
মুছে গেছে ভুলে গেছে প্রকৃতি,
শুধু বুকের পাঁজরে লেখা আছে
ধ্বংসের ইতিহাস মানুষের ফসিল হয়ে!
বহু কোটি বছর পরে
যদি ফিরে আসে কোনদিন
নব সৃষ্টির পথ বেয়ে–মানুষ আবার।
হয়তো কোন নৃতত্ত্ববিদ দেখে হাড়,
খুঁজবে এ কার?
এরাও মানুষ ছিল কী!
হারিয়ে যাওয়া মানুষের ভাষা যদি বোঝে,
নথিপত্র ঘেঁটে খুঁজবে তার অসহায়
অবলুপ্তির করুণ কাহিনী।
কম্পিউটারের ভাষা যদি বোঝে
দেখবে তার ছত্রে ছত্রে লেখা
বিজ্ঞানের অশ্রুধারা দিয়ে–
হারিয়ে যাওয়ার নির্মম ইতিহাস।
প্রকৃতির রুদ্ররোষে কিম্বা
মানুষের ভুলে অতি ক্ষুদ্র সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কণা
কোভিড ভাইরাস নামে–ডেকে এনেছিল বিপর্যয়।
বাঁচার তাগিদ ছিল মুখে,
কাজে উদাসীন!
স্বার্থের লোভে একদল বিজ্ঞানের সাথে
দেয়নিকো সাথ।
যারা দিতে চেয়েছিল তারাও চলে গেছে
এদেরই ইচ্ছাকৃত উচ্ছৃঙ্খলতায়।
সেদিন বিজ্ঞান চলেছিল একা;
শুধু একা-একা।
স্বাস্থ্যবিধি মানেনি,শোনেনি চিকিৎসকের কথা
পরেনি মুখোশ,পরিস্কার রাখেনি নিজেকে,
পরিবেশকে – আটকাতে,রুখতে সেই অতিমারী!
নিজেরাই ডেকে এনেছিল মহামারী।
যদি কোন চলমান ছবি পায় খুঁজে
অবাক বিস্ময়ে দেখবে,
একদল ক্ষমতা লোভী অবিবেচক মানুষ
হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালার মত
অবুঝ মানুষেরে ঘর থেকে বের করে এনেছিল,
পৌঁছে দিয়েছিল প্রজাতিকে বিলুপ্তির দরজায়।
বাঁচেনি তারাও!
বৈজ্ঞানিক ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মীরা–
গুমরে কেঁদেছিল মানুষের দরজায়
পায়নিকো সাড়া!
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে–মৃত্যুর সাথে
লড়েছিল অক্লান্ত,সেদিন–একা একা।
অসহায়ের মত মৃত্যুর কোলে পড়েছিল ঢলে তারাও।
মানুষকে পায়নি পাশে মানুষ বাঁচতে!!
নতুন পৃথিবীর নতুন মানুষেরা হয়তো বুঝবে–
নিঃশেষ না হওয়ার যুদ্ধে,সেদিনের মানুষের
উচিত ছিল বিজ্ঞানের পাশে থাকা।
বিলুপ্তির ইতিহাসে তারা লিখবে–
সেদিন বিজ্ঞান লড়েছিল শুধু একা একা।