|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় দেবেশ মজুমদার
by
·
Published
· Updated
রক্ত
নিক্ষেপিত বোমা থেকে ছিটকে আসা একটা স্প্রিন্টার এসে পড়ল আয়ুসের সামনে। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রাণভয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে রাস্তার উপর আছড়ে পড়ল আয়ুস। ফেটে যাওয়া মাথা থেকে বেরিয়ে আসা রক্তের স্রোতে ভিজে যাচ্ছিল ওর পোশাক। মুহূর্তে জ্ঞান হারাল আয়ুস। কারা যেন ওকে নিয়ে গেল হসপিটালে।
পরের দিন। সবে জ্ঞান ফিরছে আয়ুসের। বেডের সামনে ঝোলানো ব্যাগে থাকা রক্তকণার স্রোতধারা তখনও ধীরলয়ে প্রবেশ করছে ওর শরীরে। উৎকণ্ঠিত মা করজোড়ে ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, আয়ুসকে জিজ্ঞেসা করলেন, “এখন একটু ভালো লাগছে তো বাবা?” হ্যাঁ সূচক সম্মতি জানিয়ে ক্ষীণ কন্ঠে আয়ুস বলল, “আচ্ছা মা, আমাদের সবার রক্তের রঙ কি লাল?”
ওর মা বললেন, হ্যাঁ বাবা, তোর প্রশ্নের মধ্যেই উত্তরটা রয়ে গেছে। এখন একটু ঘুমোবার চেষ্টা কর। ওর মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে, একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে স্বগতোক্তি করলেন, “হে ঈশ্বর, একটা শিশুর মনেও যে প্রশ্ন আসতে পারে, তা কেন আমাদের মনে সবসময় আসে না।