লড়াই যেন চাঁপার শ্বাস প্রশ্বাস।মা মারা যায় চাঁপার যখন দশ বছর। নদীর ঘাটে বাসন মাজতে গিয়ে সাপের কামড়। অনেক ছোটাছুটি করে ও বাঁচানো গেল না। চোখের সামনে মারা গেল। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে রাস্তাতেই শরীর নীল হয়ে যায় । মড়ার আগে মা বলেছিল: ভালো হয়ে থাকিস মা। বাবাকে দেখিস। ভালো হয়ে থাকার অর্থ ও তখন বুঝতে পারে নি।
আর একটু বড়ো হতেই ও বুঝতে পারে ভালো হয়ে থাকার মানে। শরীর ঝাঁপিয়ে যৌবন এল ওর। অনেক লোভী হাত এগিয়ে আসতে লাগল সম্পর্কের ছদ্মবেশে।ও বুঝে গেল,সব সম্পর্ক টেকে না। বাবার জন্য খুব কষ্ট হতো ওর। বাবা ওকে ‘মা’ বলে ডাকতো।কখন যেন সত্যি ই ও মা হয়ে উঠল! ঘরের সব কাজ সামলে স্কুলে যাওয়া। তারপর ফিরে এসে আবার ঘরের কাজ , নিজের পড়া।
বাবার আর্থিক অবস্থা ও জানত। তাই কখনো টিউশনের কথা বলে নি। কিছু অসুবিধা হলে পরাণ কাকার কাছে যেত।এই একটা মানুষের কাছে ও নির্ভরতা পেত।ও পরাণকাকার ও ‘মা’ ছিল।কাকার অদ্ভূত যুক্তি: তোর বাবার বন্ধু আমি। বাবার ‘মা’ হলে আমার ও ‘মা’।হা হা করে হেসে উঠতো কাকা।ও আর বাবাও সেই হাসিতে যোগ দিতো। তিন জনে থাকলে এক ভালো লাগার পরিবেশ তখন।
পরাণকাকার স্ত্রী মারা গেছে ভেদ বমি হয়ে। বিয়ের বছর দুয়েক পর। অনেক অনুরোধ, প্রলোভন সত্ত্বেও কাকা আর বিয়ে করেনি। কাকিমার কথা বলতে গেলে ও এখনও কাকার চোখে জল দেখে।বোঝে, কিছু মানুষ ভালো বাসা আঁকড়ে বাঁচতে পারে সারা জীবন। বাবার মুখে শোনা, কাকিমা খুব হাসি খু্শি ছিল।কারো সাথে ঝগড়া ছিল না।কাকার সাথে ঝগড়া হলেও তা বড়ো জোর একবেলা। কাকিমা হেসে ফেলে বলতো, বাড়িতে দুটো মানুষ– তাও কথা না বললে দম বন্ধ হয়ে আসে। খুব ভাব ছিল দু’জনের। কাকিমা মারা যেতে কাকা কিছু দিন বাড়ির বাইরেই বেড়তো না।বাবা ই জোর করে দুর্গা দালানে নিয়ে যেত।
দুর্গা দালান হল গ্রামটার প্রাণকেন্দ্র। বিকেল হলেই একদিকে সব মা-মেয়েদের ভিড়।আর একদিকে বট গাছের তলায় বাবাদের আড্ডা।হই হই করে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমে আসতো।তাসের আড্ডা ,গল্পে সরগরম থাকতো দুর্গা দালান। মায়েরা সন্ধ্যা হলেই উঠে পড়তো। বাড়ির কাজ পড়ে আছে যে !
এভাবেই ও বড়ো হয়ে উঠছিল।ওর শরীরে তখন বাঁধ ভাঙা বন্যা। দেখতে হলো খুব সুন্দর। একমাথা চুল,ভরাট মুখ, টানা টানা চোখ। সবথেকে আকর্ষনীয় গালে টোল পড়া হাসি। বাবার চিন্তা বাড়লো। সেইসঙ্গে কাকার ও। প্রায় ই রোববারে দুই বন্ধু মিলে এদিক ওদিক বেড়িয়ে পড়তো।ও বুঝতো, কারণটা ও ই।বাবা কিছু বলতো না। বাবা না থাকলে পাশের বাড়ির দোলন বৌদি ওদের বাড়িতে থাকতো।ডাগর মেয়েকে তো বাড়িতে একা রাখা যায় না !
একদিন বাড়ি ফিরে বাবাকে খুব উত্তেজিত লাগলো।পরাণকাকা ও বাবার হাসি বুঝিয়ে দিল একটা ভালো কিছু ঘটেছে। সেদিন রাত্রে কাকা ওদের বাড়িতে খেল। মুরগির মাংস নিয়ে এসেছিল বাবা। ভালো কিছু রান্না হলে কাকার ওদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ। খেতে বসে কতো গল্প,আড্ডা ! কাকা ওর রান্নার প্রশংসা করতো খুব।
সেদিন খেতে বসে কাকা ই প্রসঙ্গ তুললো।মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগলো, ওদের পলাশডাঙগা থেকে বকখালির দিকে গোবিন্দপুর গ্রামে এক সরকারি চাকুরের সন্ধান পেয়েছে। বিয়ের কথাবার্তা হয়েছে ছেলের বাড়ির সাথে। ওরা নগদ এক লাখ টাকা, একটা বাইক ও ছ ভরি সোনার গয়না চেয়েছে। দু’জনেই রাজি।এ পাত্র ছাড়া যাবে না। সরকারি চাকরি বলে কথা ! রেজিস্ট্রি অফিসের গ্রুপ ডি। বাবা মেয়ের পাকাপোক্ত ভবিষ্যত চেয়েছিল।তাই পছন্দ মতো পাত্র পেয়ে বেজায় খুশি। পরের সপ্তাহে পাত্র পক্ষ আসবে মেয়ে দেখতে। চাঁপার মনে দোলাচল।দোলন বৌদি বিবাহিত জীবনের অনেক সুখ আনন্দের খবর ওর কানে তুলেছে। চাঁপার সারা শরীরে আজ এক- সমুদ্র ঢেউ। পরক্ষনেই বাবাকে ছেড়ে চলে যাবার কষ্ট ওর মন ছেয়ে গেল।ও চলে গেলে বাবার খুব কষ্ট হবে। অর্ধেক দিন বোধ হয় খাবেই না ! সে রাত্রে বাবা ও কাকার চোখে জল দেখেছিল ।শত চেষ্টা করেও লুকোতে পারে নি ওরা।
পরে ও জেনেছিল,ওর বন্ধু মহামায়া ছেলের খবরটা দিয়েছে।ছেলের বাড়ি সুন্দরী পাত্রী চাইছে জেনেই চাঁপার বাবাকে খবর দেয়।একই পাড়ায় শ্বশুরবাড়ি ওর।ছেলের বাড়ির সব খবর ওর জানা। মাঝে মহামায়া পলাশডাঙগায় এসে চাঁপার সাথে দেখা করে গেছে।ছেলের গল্প করেছে । ছেলে দেখতে সুন্দর।পেটাই চেহারা। কোন নেশা নেই। চাঁপার বুকে আরো একবার অচেনা অনাবিষ্কৃত আবেশের ঢেউ তুলে দিয়ে গেল মহামায়া। যাবার সময় আশ্বস্ত করে গেল, ওরা দুই বন্ধুকে বেশ মজায় থাকবে ওখানে।
সবকিছু ঠিকঠাক চলল এরপর।ছেলের চাঁপা কে পছন্দ হল।ওর ও বেশ লাগলো ছেলেকে। দোলন বৌদির ফাজলামোয় আরো যেন লাল হয়ে উঠল ও। ছেলে মেয়ে দুজনেরই পছন্দ উভয়কে।বিয়ে পাকা। অতএব সাজো সাজো রব।দু বন্ধুর ছোটাছুটি বাড়লো। ওদের “মা”র বিয়ে ! একটু ও খামতি যেন না থাকে। ইজ্জত কা সওয়াল।
খুব ধুমধামের সাথে চাঁপার বিয়ে হল। চাঁপার বারণ সত্তেও বাবা চার বিঘে জমি বিক্রি করেছে।পরাণকাকা ছেলের বাইক ও দু ভরি গয়না দিয়েছে।দু বন্ধু আয়োজনের কোন ত্রুটি রাখেনি। প্রাপ্তি– বরযাত্রীরা বাসে ওঠার আগে যথেষ্ট প্রশংসা করেছে সবকিছুর।তাই খুশির সানাই বাড়িতে। চাঁপার মন ভালো নেই। দুই ছেলেকে একা রেখে যেতে”মা”র মন চায় না ! তবুও যেতে হয়।ও বোঝে,এটাই নিয়ম।এ নিয়মেই সমাজ চলে। নিয়মের ব্যতিক্রম মানেই যে সামাজিকতার অসদ বিম্ব।
চাঁপার শ্বশুরবাড়ি ও ভালো ভাবেই নিলো ওকে।ওর রুপের প্রশংসা গ্রামের মেয়ে মহলে বেশ আলোড়ন তুলল। কথাটা মহামায়া ওকে জানাল। বেশ ভালো লাগলো ওর। স্বামী পবন যেন সত্যি ই ঝড় তুললো ওর শরীরে। ভালোবাসায় বুঁদ হয়ে থাকতো সে সময়। মনে মনে ভাবতো, এতো ভালোলাগা থাকে শরীরে !
শ্বশুরবাড়িতে ওকে নিয়ে পাঁচ জনের সংসার। শ্বশুর শ্বাশুড়ি আগেই মারা গেছেন।বড় ভাসুর,বড় জা, ওদের ছেলে পাপান আর ওরা দুজন। বেশ ভালো ই চলতে লাগল সব।বড় ভাসুর ছোট বোনের মতোই ভালো বাসত।বড় জার অভিব্যক্তি কম। হাতে ধরে সব কাজ শেখাত।খারাপবাসা ছিল না মনে,ওর মনে হত।পাপান কাকিমা বলতে অজ্ঞান। সকাল সন্ধ্যা ও পড়াত পাপানকে।ও যে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ তা
ভরসা দিত বাড়ির লোককে।
মহামায়ার সাথে রোজ দুপুরে নদীর ঘাটে বাসন মাজতে গিয়ে দেখা হত।দু বন্ধু সুখ দুঃখের ঝাঁপি উজাড় করে দিত।ওদের হাসি ঠাট্টায় নদীর ছলাৎ ছল যেন সঙ্গত দিত।সবই বলত মায়া। কিন্তু বড় জার কথা উঠলেই আশ্চর্য জনক ভাবে নীরব থাকত। চাঁপা বুঝতে পারত, কিছু লুকোতে চাইছে ও। একদিন জোর করতে বলেছিল, সকলে বলে চাঁপার বড়জার চরিত্র নাকি ভালো নয়।ঐ জন্যই নাকি ওর বড় ভাসুর ছেলেকে নিয়ে আলাদা শোয়। চাঁপা পাত্তা ই দেয়নি এ কথায়।কারণ ,ও জানে ঘুমের সময় বড়জার খুব নাকডাকে বলে ভাসুর আলাদা শোয়।ছেলেটা খুব বাবা ন্যাওটা।তাই ও বাবা ছাড়া শোয় না। বড়জা একা টিভির ঘরে শোয়। মাঝে মাঝে পবন বৌদির ঘরে টিভি দেখতে যায়। ফুটবল পাগল ওর বর। অনেক রাত করে খেলা দেখে এসে শুয়ে পড়ে।এক একদিন ও বুঝতে পারে।এ নিয়ে ওর কোন অভিযোগ নেই। শুধু মনে রাখত বাবার কথাটা,যে সয় সে রয়! ধৈর্য্য,সহ্য এগুলো হাঁড়ি কড়ার মতো সংসারে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বাবা ও কাকা প্রায় প্রতি মাসেই ওর সাথে দেখা করতে আসে।ওর প্রিয় ভবেশ ময়রার পানতুয়ার হাঁড়ি সঙ্গে থাকবেই।বড়জার চানাচুর, পাপানের চকলেট–সবই থাকে।ও জানে বাবার অনেক খরচ হয় এতে। কিন্তু ও এটাও বোঝে, শ্বশুরবাড়িতে ওর ভালো থাকার জন্য এটা একপ্রকার বিনিয়োগ।
এর কিছুদিন পরেই বুঝলো ও আর একা নয়। শরীরে অঙ্কুরিত হচ্ছে আর একটা প্রাণ। আস্তে আস্তে সকলেই জানল। বাড়িতে সকলেই খুশি। বাবা-কাকা তো আনন্দে আত্মহারা। দাদুভাই না দিদিভাই এনিয়ে দুই বন্ধুর তর্ক হত খুব।ও শুধু মুচকি হাসত।
এরপর হঠাৎ ছন্দপতন।ইউরো কাপের ফাইনাল খেলা দেখতে ওর বর বড়জার ঘরে। অনেক রাত করে খেলা হয়।ও আর অত রাত জাগতে পারে না। তাছাড়া শরীরটা সকাল থেকে ভালো যাচ্ছে না। হঠাৎ শরীর টা কেমন গুলিয়ে উঠল। পেটের ভেতর থেকে কিছু ছিটকে বেরিয়ে আসতে চাইছে যেন। পাশ ফিরে দেখে পবন এখনো আসেনি।বড়জাকে একবার ডাকতে হবে। হাতড়ে হাতড়ে কষ্ট করে ঘরের বাইরে বেড়িয়ে এলো। সারা শরীর কেমন অবশ হয়ে আসছে। শরীরটাকে টানতে টানতে বড়জার ঘরের কাছে গেল। দরজা অল্প খোলা। ঘরে টিভি চলছে। টিভির আলোয় বিছানার দিকে তাকিয়ে মাথাটা ঘুড়ে গেল ওর।দেওয়াল ধরে বসে রইল।
কতক্ষণ এভাবে ছিল খেয়াল নেই। সম্বিৎ ফিরতে আস্তে আস্তে নিজের ঘরের দিকে শরীর টা টেনে নিয়ে চলল।মায়ার কথাটা মনে পড়ল। ঘেন্নায় গা ঘিন ঘিন করতে লাগল। মনে হল এখন ই শেষ করে দেয় নিজেকে।এ বিশ্বাসহীনতা যে নিঃশ্বাসহীনতার ই সামিল ! কিন্তু শরীরে বাড়তে থাকা প্রাণটার কথা ভেবে দাঁতে দাঁত চেপে পড়ে রইল। চোখের জলে বালিশ ভিজল। অনেক পরে পবন এল ঘরে। চাঁপা ঘুমের ভান করল। নিশুতি রাতে ও একা একা তার স্বপ্নের রাজপ্রাসাদের ভাঙ্গনের আওয়াজ শুনতে লাগল।রাত জাগা চোখ পাখির ডাকের প্রতীক্ষায় তখন।
আলো ফুটতেই ও উঠে পড়ল।আজ আর কোনদিকেই তাকাল না। বিছানা ছাড়ার আগে পবনের আদর ওর অভ্যাস হয়ে গেছিল।এক চোখ আগুন নিয়ে বাইরে বেড়িয়ে এলো ও। বড়ো ভাসুর উঠে পড়েছে।বড়জা এখনো ওঠেনি।রাত জেগে ফুটবল খেলা তো ! ঘুম ভাঙগতে সময় লাগবে। পড়ে থাকা বাসন গুলো তুলে নিয়ে চলল নদীর ঘাটে।
এতো সকালে কেউ ঘাটে আসে নি। কাল রাতের শরীর খারাপ উধাও। জলে পা দেবার আগে একটু ভয় করল ওর। কাল এই ঘাটে একটা কুমীরকে দেখা গেছে। পরক্ষণেই ভাবল,ও এই মুহূর্তে আরো ভয়ঙ্কর প্রাণীদের মাঝে। মনটাকে যারা খুন করতে পারে তারা কি কম হিংস্র !
আশ বটিটা পাশে রেখে বাসন মাজা শুরু করল।যত রাগ যেন আজ বাসনের ওপর। শরীরের সব জোর দিয়ে চাপ দিচ্ছে।যেন ভেঙ্গেই দেবে সব। হঠাৎ বা পায়ের ওপর কি যেন কামড়ালো। ফিরে তাকাতেই দেখলো সাক্ষাৎ যম।কুমীরটা ওর পায়ে কামড় বসিয়েছে। সমস্ত রাগ ঘৃণা মিলিয়ে ওর শরীরে আলোড়ন খেলে গেল যেন। ডানহাতে বটিটা তুলে শরীরের সব শক্তি দিয়ে কোপ মারল কুমীরের মাথায়।জানে, চোখ দুটো আক্রমণ করতে পারলে বাঁচার পথ পাওয়া যাবে।কুমীরটা খুব জোরে ওকে জলের ভেতর টানতে লাগল। চাঁপার প্রতিক্রিয়া ও কম নয়।সমস্ত শক্তি দিয়ে ও ডাঙ্গায় ওঠার চেষ্টা করছে আর বটিটার কোপ মেরে চলেছে চোখ লক্ষ্য করে।
এরকম অপ্রত্যাশিত আক্রমণে কুমীর দিশেহারা। ক্রমাগত কোপে কুমীরটার মাথায় রক্তের ধারা। কুমীরের মুখ কখন যেন বদলে গেছে চাঁপার চোখে।বটির প্রত্যেকটা আঘাত যেন সেই বিশ্বাস ঘাতকদের জন্য। মৃত্যুকে আজ জয় করতেই হবে ওর শরীরের ভেতরের ছোট্ট প্রাণটার জন্য।ও আক্রমণ আরো বাড়িয়ে দিল।কুমীরটা এবার ওর পা ছেড়ে উল্টে যেই জলের ভেতর পালানোর চেষ্টা করল, সঙ্গে সঙ্গে চাঁপা ধারালো বটির কোপ বসিয়ে দিল কুমীরের গলার নীচের অপেক্ষাকৃত নরম জায়গায়।এক কোপে গলাটা অনেকটা ফাঁক হয়ে গেল।ফিনকি দিয়ে রক্ত ছিটকে চাঁপার সারা শরীরে। একের পর এক কোপে কুমীরের ছটফটানি কমে এল। এদিকে চাঁপা ও আর পারল না। অজ্ঞান হয়ে ডাঙ্গায় পড়ে গেল। জলে আধমরা কুমীর আর ডাঙ্গায় আহত চাঁপা।
চাঁপার লড়াই দেখতে দেখতে বেশ ভিড় হয়ে গেছে ঘাটে। উপস্থিত বউদের চিৎকারে জড়ো হওয়া পুরুষগুলো নেমে পড়েছে জলে কুমীর মারতে।কাটারি শাবল, বর্শা দিয়ে এফোঁড় ওফোঁড় করে ফেলেছে অর্ধ মৃত কুমীরটাকে। এদিকে রক্তাক্ত চাঁপাকে ভ্যানে তুলে কিছু লোক হাসপাতালের পথে। অজ্ঞান চাঁপা বুঝতেও পারল না তাকে বাঁচানোর জন্য গ্রামের মানুষের চেষ্টা।এক- দুজন মানুষের বিশ্বাস ঘাতকতা জীবনের ব্যতিক্রম—জীবনের বৃত্তে মানুষ মানুষের ই জন্য। চাঁপা যদি এটা দেখতে পেত !