এক রাশ পেঁজা তুলো,
তাতে চাপ চাপ লাল রক্ত,
কোন দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়ত,
তবুও বহু যত্নে হচ্ছে পরিষ্কার।
কে করছে?কে?
কে আবার?
সবার পরিচিত নার্স।
কারোর মেয়ে,কারোর মা,
কারোর বোন অথবা কারোর স্ত্রী।
যারা কিনা সবসময় সেবা করতে প্রস্তুত,
শত অসুবিধাতেও ছুটে আসে সাহায্য করতে।মায়া,মমতা, স্নেহ,আবার প্রয়োজনে কঠোরও,
এমনই মিশেল অনুভূতির আর এক নাম নার্স।
ডাক্তারের আগে পিছে ঘোরা নার্স,
কিংবা অসুস্থ অসহায় ব্যক্তির নার্সদিদি,
হাসিমুখে নিজের দুহাত দিয়ে পরিষ্কার করে দিচ্ছে সেই বৃদ্ধ মানুষটির নোংরা।
কখনও কখনও গল্পের ছলে ভুলিয়ে,
ক্রমাগত কাঁদতে থাকা ছোট্ট বাচ্চা মেয়েটিকে দিচ্ছে ইঞ্জেকসন।
বাড়ির লোক দিনের পর দিন নড়বড়ে বৃদ্ধাটিকে ফেলে রেখেছে হাসপাতালে,
কে যত্ন নিয়ে খাবার খাওয়াচ্ছে,
ওষুধ দিচ্ছে নিয়ম করে?
ওই তো নার্স মেয়েটি,যার সেবায় আস্তে আস্তে সুস্থ হচ্ছেন বৃদ্ধা,
আর নার্সটির মাথায় পরম মমতায় তুলে দিচ্ছেন আশীর্বাদের হাত।
এমনি রোজকার কত কত ছবি,
প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে।
ইতালির সেই পরম মমতাময়ী নারী,
ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গল,
যে কিনা পরিচিত ছিল,
‘দি লেডি উইথ দি ল্যাম্প”,
অর্থাৎ বাতি হাতে সেই মহিলা টি,
ঘুরে ঘুরে দেখত আহত বৃটিশ সৈন্যদের,
আর প্রাণপনে করত সেবা,
যতক্ষণ না তারা সুস্থ হয়।
মে মাসের বারো তারিখ,
সেই মহিয়সী নারীর জন্মদিন।
তাইতো দিনটি সারা বিশ্বব্যপী,
নার্স ডে হিসেবে করা হয় পালন।
এই মুহুর্তে পৃথিবী চরম সংকটে,
ডাক্তারের সাথে নার্সরাও জীবনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে,জান লড়িয়ে দিচ্ছে,
প্রতিটা মানুষকে করতে সুস্থ।
তবে এখন অনেক পুরুষ ও নিয়েছে নার্স প্রফেশনে ব্রতী।
স্যালুট জানাই সেই মহিয়সী নারী,
ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গল,
ও সারা বিশ্বের নার্সকে,
যারা কিনা নিজের থেকেও
পরের কথা ভাবে আগে।