Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

মার্গে অনন্য সম্মান শুভা লাহিড়ী (সেরা)

maro news
মার্গে অনন্য সম্মান শুভা লাহিড়ী (সেরা)

অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার

পাক্ষিক প্রতিযোগিতা - ২৮ বিষয় - সন্ধিক্ষণ/নতুন আশা

সন্ধিক্ষণে এসে

পাশের বাড়ির নজরুল লেখাপড়ায় খুব ভালো ছেলেই শুধু নয় ভদ্রও তেমনি।কিন্তু বাবা মা ছোটবেলায় তাকে এক স্টেশনের পাশে ফেলে রেখে আত্মহত্যা করে।তখন তার বয়স ছিল মাত্র দুই বা আড়াই।সূর্য ডোবার সন্ধিক্ষণে ওর কান্না শুনেই নি:সন্তান মনিরুল ইসলাম কোলে তুলে নিয়ে বাড়িতে আসেন।সেই ক্ষণ থেকে ওর পরিচয় নজরুল ইসলাম।তার সাথেই পড়ে প্রিয়া চ্যাটার্জি।মনিরুল বাবু আর প্রিয়ার বাবা আশুতোষ বাবু একই স্কুলের শিক্ষক।দু'জন দু'জনের খুব কাছের বন্ধু।
এদিকে প্রিয়া আর নজরুল যেন দুজন দুজনকে ছাড়া কিছুই বোঝে না।প্রিয়ার মা বড্ড রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে।আশুতোষ বাবুর মনিরুল বাবুর সাথে মেলামেশা টা মেনে নিতে পারেনি কোনোদিন প্রিয়ার মা।আর নজরুল কে নয়ই।বয়সের সন্ধিক্ষণে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয় তাদের দু'জনেরই মন।
প্রিয়ার কাছে নজরুল একদিন বললো, "তোর সাথে আমার একটা খুব জরুরী কথা আছে,সময় হলে দেখা করিস"।প্রিয়া হেসে বলে," আমায় কথা বলবি তার জন্য আবার সময় করে দেখা!সত্যিই তুই পারিসও বটে!"বলে বড়ির দিকে যেতে উদ্যত হলে নজরুল প্রিয়ার হাত টা টেনে ধরে আর বলে, "আমি তোকে খুব ভালোবাসি রে,তুইই আমার শেষ ঠিকানা বুঝলি"।
প্রিয়া একবুক আশার সাথে একবুক ভয় নিয়ে বাড়ি গেলো।মায়ের কথা ভাবতেই সারা শরীর কেঁপে উঠছে প্রিয়ার।আবার এদিকে নজরুল কেও কষ্ট দিতে পারছে না।কি করবে ও!হঠাৎ মনে হলো কাল সকালে দেখা যাবে এখন অন্তত: ঘুমাই।
সকাল বেলায় বাবার সাথে খাবার টেবিলে বসে বলে," বাবা তোমার সাথে আমার কথা আছে গো"।আশুতোষ বাবু মুচকি হেসে বললেন,"নিশ্চই নজরুলের ব্যাপারে!কি তাই তো!Ok l will manage "
কয়েকদিন পর সময় সুযোগ বুঝে সব কথা বললো প্রিয়ার মাকে।কিন্তু প্রিয়ার মা এসব শুনে ক্ষেপে উঠলো প্রথমে।তারপরে আশুতোষ বাবুর বোঝানোয় প্রিয়ার মা মেনে নিল।
তারপরে একটি বিশেষ দিন দেখে সামাজিক রক্ষণশীলতার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মানবিকতা কে প্রাধান্য দিয়ে প্রিয়ার হাত তুলে দিল নজরুলের হাতে।।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register