Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাসে এ এফ এম সেবগাতুল্লা (পর্ব - ১৩)

maro news
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাসে এ এফ এম সেবগাতুল্লা (পর্ব - ১৩)

সাবির সুবীর আর মাতলা নদী পর্ব

সাবির আর সুবীর বেশ বীরের মত মন নিয়ে আবার আমঝাড়া গ্রামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিল। কাল রাতে হাতঝাড়া পিঠে আর দেশি মোরগের মাংস বেশ কড়া খাওয়া দাওয়া হয়েগেছিল। আজ সকালের নাস্তায় ছিল পরোটা, আলুভাজা, ডিম ভাজা। আর চা এর সাথে ছিল সেই স্থানিয় বেকারির তৈরি বাঁকা চাঁদের মত দেখতে " চাঁদবিস্কুট"। তবে বেশি পরোটা খেতে পারলনা। ওরা এবার সাবিরের আত্মিয়কে নিয়ে আবার চলে গেল সেই আমঝাড়া গ্রামের দিকে।

ওরা ফিসারির সেই জায়গায় আবার এল। এখন এখানে প্রশাসনের লোক পাহারা দেয়। তবে ওদের কাছে অনুমতি পত্র আছে। ওরা খুঁড়তে খুঁড়তে নৌকাটা একেবারে ছাড়িয়ে জাহাজ থেকে আলাদা করে নিল। নিচে আরও পড়ে রইল টন টন পলি মাটি জড়ানো ক একশ বছর পার হওয়া পরিতক্ত্য জাহাজ! হঠাৎ টিঙ্কু মামার মানে ফজল মামার ফোন। ফোনের ওপার থেকে টিঙ্কু মামা জানাল , " আমি আর দিব্যেন্দু কাকা আমঝাড়া গ্রামে যাচ্ছি। তবে আজই বাড়ি ফিরব"।

কথা মত টিঙ্কু মামা আর দিব্যেন্দু কাকা, সাবির সুবীরের সাথে আমঝাড়া গ্রামে যোগ দিল। ওরাও সাবির সুবীরের মতই গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। খুঁড়তে খুঁড়তে হঠাৎ দেখল ইটের টুকরো উঠে এল! দিব্যেন্দু কাকা বলল সুন্দরবনের নদী বাঁধই হবে। তবে ফেলে আসা সুন্দরবন মানে যেখানে বহু শতাব্দী আগে সুন্দরবন ছিল সেখানেও এমন বাঁধের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বারুইপুর থানা অন্তর্গত এমন অনেক গ্রাম আছে যেখানে সুন্দরবন এমব্যঙ্কমেন্টের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এমনকি চম্পাহাটির ,কাটা খালের কাছে পুঁড়ী গ্রামেতেও এই সুন্দরবন এমব্যঙ্কমেন্টের অস্তিত্ব আছে বলে জানা যায়। এই এমব্যঙ্কমেন্ট মানে পুরনো আমলের নদী বাঁধ। দিব্যান্দু কাকার মনে হল আমঝাড়ার এই নদী বাঁধ ওই সুন্দরবন এমব্যঙ্কমেন্টের অংশই হবে হয়তো।

আজকের মত ওরা খোঁড়াখুঁড়ি শেষ করে দিল। ওরা প্রস্তুতি নিল সরকারি ভাবে খোঁড়াখুঁড়ি করতে পারার জন্য। সাবির সুবীর আবার ঐ বুড়ো দাদুর বাড়িতে গেলো। সাথে টিঙ্কু মামা আর দিব্যেন্দু কাকাও ছিলো। সাবির আবারো দাদুকে প্রশ্ন করলো তার ছেলেবেলার স্মৃতির কথা। পঞ্চাশের দশকে কনো বিদ্ধংশী নৌকাডুবি হয়েছিল কিনা। দাদু সেই দিনের ঘটনার কথা বলতে গেলে খুব মনমরা হয়ে যান ! যা জানা গেল সেদিন ছিল কাল বৈশাখীর দিন,সেদিন ছিলো ভয়াবহ নৌকাডুবির দিন। দাদুর খুবই নিকট আত্মীয় ওই ঝড়ের নৌকাডুবিতে প্রাণ হারান। ঐ ঘটনা বলতে বলতে দাদু মাঝে মধ্যে স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছিলেন।

সাবিরের মনে হঠাৎ বিদ্যুতের মত আইডিয়া খেলে গেলো। সাবির বাড়ির লোককে প্রস্তাব দিলো দাদুকে নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করার জন্য। বাড়ির লোকরাতো রাজি হয়েগেল। ডাক্তার দেখানোর দিনে সাবির সুবীর দুজনই দাদুকে নিয়ে কলকাতায় এসেছিল। বিস্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলকে আগেই জানানো ছিল।সাবির - সুবিরের অনুরধেই বিস্ববিদ্যালয় চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেছে।এদিকে চিকিৎসার সাথে সাথেই দাদুর অজান্তেই দাদুর শরীরের অনেক নমুনা সংগ্রহ করা হল। কিন্তু এই পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফল আসচর্য্য দিকের এগিয়ে চলছে।

(চলবে)

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register