Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

মার্গে অনন্য সম্মান নীল মিত্র (সেরার সেরা)

maro news
মার্গে অনন্য সম্মান নীল মিত্র (সেরার সেরা)

অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার

সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব - ১৩৬ বিষয় - রহস্যে আবৃত

রহস্যঘেরা রাত

অঞ্জন ঘুরতে এসেছে বন্ধুদের সাথে দীঘা। কাল সকালে এসেছে ওরা। সারাদিন কেটে গেল মজা করে আর দারু খেয়ে। আজ বিকেলে ওরা যাবে নিউ দীঘা। ওখানে নাকি সমুদ্র সৈকতে বসে হুক্কা খাওয়া যায়, সবাই খুব উৎসাহিত। সূর্যটা অস্তাচলে যেতেই চার বন্ধু মিলে চলে গেলো সমুদ্রের ধারে। বিয়ার ও হুক্কার আয়োজন ও হয়ে গেল সহজে। সবাই খুব মজা করে উপভোগ করছে। কিছুক্ষণ থাকার পর অঞ্জনের মনে হোল একটু হেঁটে আসার, তাই একাই চলা শুরু করল সমুদ্রপথ ধরে। তখন রাত প্রায় ১০টা বাজে। এদিকে লোকজন একেবারেই নেই, তাই সাগরের ঢেউ এর আওয়াজ শুনতে বেশ ভালো লাগছিলো অঞ্জনের। হঠাৎ ওর চোখ গেল সামনের দিকে, একটি মেয়ে, পিঠের ওপর চুল খোলা, নিতম্ব অব্দি নেমেছে। অন্ধকারে একা আপন মনে হেঁটে চলেছে। অঞ্জন একটু স্পিড বারিয়ে ওর কাছাকাছি পৌঁছে বললো - অন্ধকারে একা কোথায় যাচ্ছেন? ওর মুখের দিকে তাকিয়ে জবাব দিলো - প্রিয় মিলনে ঐ আগে। অঞ্জন লক্ষ্য করল মেয়েটার চোখদুটো যেন স্বাভাবিক নয়, ভীষণ স্থির। কেমন যেন লাগল, এদিকে লোকজন বিশেষ আসে না। তাই কৌতুহল বসতো জানতে চাইলো আপনার ভয় লাগছে না এভাবে একা অন্ধকারে? মেয়েটি হেসে উঠল আর জবাবে বললো - অন্ধকার ভালো লাগে, অন্ধকারে আমি আমার সাথীর সাথে মিলিত হোই প্রতিবার। কথাগুলা কেমন যেন মনে হলো অঞ্জনের। একটু ভয় ভয় ও লাগলো মনে। তারপর কিছুক্ষণ পাশাপাশি হাঁটতে লাগলো দুজনে, কিন্তু কারোর মুখে কোন কথা নেই। কতো দূরে চলে এসেছে ঠিক খেয়াল নেই। হঠাৎ একটা কথাতে অঞ্জন এর ঘোর কাটলো। মেয়েটি বলছে - মহাশয় আপনি এবারে ফিরে যান, সামনে শশ্মান। আমার প্রিয় থাকে এখানে, আমি প্রিয় মিলনে চললাম। অঞ্জন এর শরীরে একটা শীতল বাতাস খেলে গেল, ও সমুদ্রতটে পড়ে গেলো। তারপর আর কিছু মনে নেই। বন্ধুরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে শেষে অঞ্জনকে তুলে নিয়ে এলো শশ্মানের সামনে থেকে। পরের দিন ওখানকার লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারলো যে দুজন প্রেমিক প্রেমিকা বালুসাই-তে থাকত, ওরা একে অপরকে খুব ভালোবাসত। কিন্তু ছেলেটার বাড়ি থেকে ওদের মেলামেশাটা মেনে নেয়নি। তাই ছেলেটি ট্রেনের সামনে গিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। ছেলেটির খন্ডিত দেহটা পোড়ানো হয়েছিল এই শশ্মানে। সেই খবরটা শুনে মেয়েটি পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিল। ও সমুদ্রে তলিয়ে নিজের প্রাণ ত্যাগ করেছিল। কথিত আছে প্রতি বছর এই অমাবশ্যার রাতে মেয়েটিকে অনেকে দেখেছে শশ্মানের দিকে যেতে। ও তাহলে ওর প্রেমিকের সাথে মিলিত হতে যায়। মরনের পরেও ওদের ভালোবাসা বেঁচে আছে।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register