Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

সম্পাদকীয়

maro news
সম্পাদকীয়

মনিপুর সংস্কৃতির সবচেয়ে সমৃদ্ধ শাখা মনিপুরী নৃত্য। মনিপুরী নৃত্যকলা তার কোমলতা,আঙ্গিক,রুচিশীল ভঙ্গিমা ও সৌন্দর্য দিয়ে জয় করেছে ভারতবর্ষের অসংখ্য দর্শকের মন। শুধুমাত্র মনিপুরী জীবনধারা ও ধর্মাচরণের সাথে জড়িত এই নৃত্যকে বর্হিবিশ্বে পরিচিত করান কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

কবিগুরুর ভ্রমণের ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৯১৯ সালে তিনি সিলেট ভ্রমণে এলে ৬ই নভেম্বর সিলেট শহরের অদূরে মছিমপুর পল্লীতে বেড়াতে আসেন। সেখানকার বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী মেয়েরা কবিগুরুকে অভ্যর্থনা জানান এবং পরে তার সম্মানে কবির বাংলোতে মনিপুরী নৃত্যের আসর আয়োজন করা হয়। দুপুরে কবিগুরু কে ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী গোষ্ঠলীলা এবং রাতে মনিপুরী রাসলীলা দেখানো হয়। কবিগুরু মনিপুরী নৃত্যের সজ্জা,সাবলীল ছন্দ ও সৌন্দর্যে বিমোহিত হন এবং শান্তিনিকেতনের ছেলেমেয়েদের এ নৃত্য শেখাবার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী নিত্য শিল্পী ইমাগো দেবী। ঠাকুরের লেখা প্রথম পূর্ণাঙ্গ নৃত্যনাট্য হল চিত্রাঙ্গদা। মহাভারতের আদিপর্বে বর্ণিত অর্জুন ও চিত্রাঙ্গদার প্রণয় উপাখ্যান অবলম্বনে গড়ে উঠেছিল এই নৃত্যনাট্যের বিষয়বস্তু। রবি ঠাকুর লিখেছেন- মনিপুর রাজার ভক্তিতে তুষ্ট হয়ে শিব বর দিয়েছিলেন যে তার বংশে কেবল পুত্রই জন্মাবে। তৎ সত্ত্বেও যখন রাজকুলে চিত্রাঙ্গদা জন্ম হলো তখন রাজা তাকে পুত্ররূপে পালন করলেন। অভ্যাস করালেন ধনুর্বিদ্যা শিক্ষা,যুদ্ধবিদ্যা,রাজদণ্ডনীতি। হায়রে আমার ভারতবর্ষ! আজ এ কোন মনিপুর দেখছি। নারী ধর্ষণ ও নিগ্রহের এই ভয়ংকর ভিডিও দেখার পর মনিপুর সরকার নড়েচড়ে বসলেন। খুব সহজভাবেই প্রশ্ন আসে,তারা কি ভিডিওর জন্য অপেক্ষা করছিলেন? না, এরা কেউ চিত্রাঙ্গদা বা দ্রৌপদী নয়। এখানে অর্জুন ও শ্রীকৃষ্ণ কেউ নেই। আছে দুর্যোধন,দুশ্বাসন আর মহাভারতের হাস্যকর সভা। এই কি প্রতিদিনের মহাভারত? এই কি আমাদের ভারত?

  রীতা পাল
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register