Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

অনুগদ্যে অমিত মুখোপাধ্যায়

maro news
অনুগদ্যে অমিত মুখোপাধ্যায়

কোয়েলের কাছে

কোয়েল-কারো সঙ্গমে ঝড় উঠল কাল অপরাহ্নে। দুই নদীর পাথুরে বুকের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত জলে কালো মেঘের ছায়া। এই মরশুমের প্রথম ঝড়ে চারি দিকে হাজার হাজার পাতা উড়তে লাগলো। পশ্চিম সিংভূমের সমিজ গ্রামে দক্ষিণ কোয়েল নদীর সেতুর উপর দাঁড়িয়ে ঝড় দেখতে দেখতেই বৃষ্টি নামলো। সেখান থেকে মেঘাহাতুবুরু আসার পথে সারাণ্ডা অরণ্যের ছোটানাগরা পার হতেই লুটোপুটি বৃষ্টি দেখলাম। ঝড়ের দমকে বৃষ্টির ছাট যেন লুটোপুটি খাচ্ছে সড়কে। লুটোপুটি খাচ্ছে ভাঙা ডাল, সবুজ-হলুদ পাতা, কাঁচা শালবীজ আর সড়কের তপ্ত বুকে জল পড়ায় উঠতে থাকা ধোঁয়া। যারা গন্ধ-অনুরাগী তারা জানে এই সময় যে ভেজা মাটির গন্ধ বের হয় তা ভুবনের শ্রেষ্ঠ ঘ্রাণ। এই ঝড়, বৃষ্টি ও ঘ্রাণে মোহিত হয়ে যখন প্রায় তিন হাজার ফুট উচ্চতার মেঘাহাতুবুরু বন বিশ্রামাগারে পৌঁছালাম তখনও বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর আজ এই মেঘলা সকালে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জল হিমশীতল। রাতের তাপমাত্রা নেমে যাবে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আজ আমাদের শুটিং জোম্বাইবুরু, করমপদা পেরিয়ে থলকোবাদে। এই থলকোবাদকে আটত্রিশ বছর ধরে দেখছি। সে গল্প অন্য দিন বলব। আজ এই সাতশো পাহাড়ের দেশ সারাণ্ডার বিশ্বখ্যাত শালবনে ক্যামেরাবন্দি করব ভূমিক্ষয় প্রতিরোধের কাজ, ক্ষয়প্রাপ্ত অরণ্যকে সঘন করার প্রয়াস, বন্যপ্রাণীর জন্য জলের ব্যবস্থা ও গ্রামে এসে পড়া হাতি তাড়ানোর রকম সকম। মেঘলা দিনে থলকোবাদের পথে যাত্রাশুরুর আগে জানাই সুপ্রভাত। সারাণ্ডা অরণ্যের মত প্রাণবন্ত ও রহস্যময় হোক সবার শরীর ও মন।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register