Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

মার্গে অনন্য সম্মান শ্রীস্বদেশ সাধক সরকার (সেরার সেরা)

maro news
মার্গে অনন্য সম্মান শ্রীস্বদেশ সাধক সরকার (সেরার সেরা)

অনন্য সৃষ্টি সাাহিত্য পরিবার

সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা নং - ১২৭ বিষয় - আস্তিক বনাম নাস্তিক

চিন্তার পরিধি

যেদিকে তুমি যাও হয় হ্যাঁ কিংবা না, হয় সোজা কিংবা বাঁকা,হয় সাদা কিংবা কালো ঠিক তেমনি যে মনন আমাদের মাঝে ক্রিয়াশীল সেও কিন্তু এর বাইরে নয় । মনন মানে মানসিক চেতন,বৌদ্ধিক বোধন, সময়ের পরিমিতি আর বাস্তবোধের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজের অবস্হান ঠিক করা~ এই যে অবস্হান ,সেটা আবার কি রকম,ঐ যে আগে বলা হল তা হল পথ,সে পথ হাজার পথের পথী হলেও বিশ্বাসের ক্ষেত্রে তার অবস্হান আস্তিক না নাস্তিক । আর এ নিয়েই বিভক্ত সমাজ,সংস্কৃতি, পরিবার,পরিসর সহ যা কিছু বৌদ্ধিক মনন তার স্হিতির দ্বি-মাত্রিকতা। এখানেই বিজ্ঞান আর বিশ্বাসের লড়াই আর সে লড়াইয়ে মানুষ দ্বিধাবিভক্ত । সমাজে একদল বলেন যা কিছু আছে তার ক্রিয়া আছে এবং তার প্রতিক্রিয়া ও আছে,আর তাই পৃথিবীর সব কিছুই তার কার্যকরণ উপর নির্ভরশীল। আরেক দল বলেন মোটেই তা না। সবই তাঁনার ইচ্ছা। যা কিছু হচ্ছে কোন প্রামাণ্য দিতে না পারেলেও অগাধ বিশ্বাসের বিশ্বাসী । ইনারাই আস্তিক। আরেক দল বলেন~যা কিছুই ঘটছে তার পিছনে কারণ আছে,বিনা ঘটনাই কোন ঘটনা ঘটে না। রূপে আহৃত জ্ঞান বলে তাদে হয়ে সব কাজ করেন। মন্ত্র,তাবিজ,সাধুদের কথামত তার উত্তর খোঁজেন। কিন্তু মিলে গেলে তার প্রচারের ঢক্কানিনাদে সবাই আচরণের মধ্যে থাকে। কিন্তু মানস হতে এই যে মহামারী অতিমারী মানুষ দেখল, দেব দেবতার মন্দির বন্ধ হল,পূজা আর্চা ও বন্ধ হল কিন্তু নাস্তিক যারা তাদের বক্তব্য “টীকা” দাও,ঔষধি বার কর,হাত ধোও উপাচার কখনো অনাচার করতে পারে না। মনে পড়ে আগে যারা চাঁদে বুড়ি সূতা কাটার গল্প শুনত,এখন শুনে না,কেন~ উত্তর চাঁদে অবতরণ । বিজ্ঞান। আবার এই হাল আমলে তিলজলা শিশুকন্যা খুন,কথিত তান্ত্রিকের বিধান,মানে বিশ্বাস । কথা যদিও চালু আছে-বিশ্বাসে মিলয় বস্তু তর্কে বহুদূর আবার এ কথাও বলা আছে ভাবিয়া করিয়ো কাজ,করিয়ে ভাবিও না । যুগ যুগ হতে এই বিশ্বাস আর অবিশ্বাস সেই চার্বাকের যুগ হতে চলে আসছে। যুক্তিবাদী মনন সর্বদাই তথ্য,বিশ্লেষণ,নমুদ প্রমাণ নির্ভর কখনোই অনুমান,আজগুবি বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল নয় । আলো জ্বলে তার কার্যকরণ আছে,ক্ষার আছে বলেই ক্ষারক আছে কিন্তু জীবন আছে বলেই ভগবান আছে বা ভগবান আছে বলেই মানুষ আছে~এ যুক্তি ডারউইনের মতামতে প্রমাণিত হয়ে গেছে। প্রমাণিত হয়েছে চন্দ্রগ্রহণ বা সুর্পগ্রহণ রাহু কেতুর জন্য নয়,পৃথিবী ও চাঁদের ঘুর্ণাবর্তের জন্যই তার কার্যকরণ । আস্তিকবাদীরা ভাববাদী আর নাস্তিকরা যুক্তিবাদী । জীবনের জয়যাত্রার পিছনে সর্বদাই বিজ্ঞান তথা যুক্তিবোধ,বোধনের বৌদ্ধিক বিকাশ যা ভাববাদ কখনোই করতে সক্ষম নন বলেই নয়,পুষ্পকরথের জন্যই রকেট ,কখনোই নয়। তাই,আস্তিক আর নাস্তিকের এ দ্বন্দ্ব চিরন্তন যুক্তিবাদী মননের চহহহকরা চালিয়ে নিয়ে যাবেন বলে মনে কর।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register