Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

T3 || স্তুতি || শারদ 26য় শ্রী সূর্য্যনারায়ণ ঘোষ

maro news
T3 || স্তুতি || শারদ 26য় শ্রী সূর্য্যনারায়ণ ঘোষ

ধকল

টুম্বু দাতন ভীষণ ব্যস্ত মানুষ। দিনে আঠারো ঘন্টা কাজে ডুবে থাকেন। বাড়িতেই তার অফিস, বাড়িতেই তার কারখানা। সময় বাঁচানোর জন্য তার নির্দেশ মতো তার স্ত্রী তার খাবার মিক্সারে পেস্ট করে দেন। টুম্বু জল মিশিয়ে গিলে খান। দিনদিন তার ব্যবসা তীরের বেগে উর্ধ্বে ধাবমান। তো এক রাত্রে, রাত্রি তখন তিনটে হবে। টুম্বু হিসেবে মগ্ন, এমন সময় কোথা থেকে এক নেংটি ইঁদুর তার টেবিলে হাজির। টুম্বু পেন ঠুকে ইঁদুরটিকে তাড়িয়ে দিলো। কিছুদিন পর ভীষণ ব্যস্ত একটা দিন এলো। টুম্বুর খাবার খাওয়ারও সময় নেই। খাবার টেবিলে রাখা। ব্যস্ততার মধ্যেই টুম্বু চিরকালের অভ্যাস মতো খাবারে জল মেশালে, তারপর ঢকঢক করে গিলে নিলে। একচল্লিশ দিন পর টুম্বুর কোম্পানির বিরাট বড়ো একটা দিন আসতে চলেছে। চল্লিশ দিন যে কোনদিক দিয়ে গেলো সে বুঝলোই না। সমস্ত কাজ শেষ করে টুম্বু আড়মোর ভেঙে তিন মিনিটের একটা ছোট্ট পাওয়ার ন্যাপ নেবে বলে চেয়ারে হেলান দিলো। যখন তার ঘুম ভাঙলো সে দেখলে ঘরে অজস্র ইঁদুর। কোটি কোটি ইঁদুর। টেবিলে, ছাতে, মেঝেতে, তিল বসাবার জায়গা নেই। সে উঠে দাঁড়ালো, বাইরে এলো, বাইরে আলো ফুটেছে অনেক্ষণ। সে দেখলে একটা অর্ধপচনশীল মৃতদেহ বাইরে রাখা। তার মা বাবা স্ত্রী এবং সন্তানেরা খুব কাঁদছে। পুলিশ এসেছে। সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সে ভয় পেয়ে এগিয়ে তার স্ত্রীর কাছে গেলো। আজ কোম্পানির জন্য বিরাট বড়ো দিন। আজই এসব ঝামেলা হতে হয়! সে তার স্ত্রীকে ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করলো, "এসব কী! এটা কার মৃতদেহ! " তার স্ত্রী কেঁদেই চলেছে পাত্তা পর্যন্ত দিলো না। এরপর সে তার মা বাবা কর্মচারী পুলিশ সবাইকে জিজ্ঞাসা করলো কিন্তু কেউই কোনো জবাব দিলো না। হঠাৎ মৃতদেহটার দিকে তার চোখ পড়লো। গলন্ত হাতের মুঠোয় এতো তারই কলমখানি। আরে! পরনের পোষাকটাও যে তার, এমনকি! এমনকি মুখখানা বিকৃত হলেও এ যে হুবহু তারই আদল! টুম্বু অজ্ঞান হয়ে গেলো।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register