Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

T3 || স্তুতি || শারদ 26য় কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায়

maro news
T3 || স্তুতি || শারদ 26য় কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ চিঠি

কলেজস্ট্রিটে গেলে আমার সময়টা কেটে যায় পুরনো বইয়ের দোকানে। আমি একজন ভদ্রমহিলা ও একজন যুবককে দেখলাম ফুটপাথের একট বইয়ের দোকানের কাছে গাড়ি রেখে দোকানে ঢুকতে। দোকানের মালিক খাতির করে ভদ্রমহিলাকে বসবার জন্য একটি টুল দিল। ঘিঞ্জি দোকানের সামনে ইচ্ছে না থাকলেও মুখে বিরক্তি নিয়ে তিনি বসলেন। দোকানের মালিক একটি ছেলেকে পাঠাল যুবকটির কাছে। যুবকটি গাড়ির দরজা খুলে দিতে দোকানের ছেলেটি কয়েকবার ভিতর থেকে বই বের করে দোকানে নিয়ে রাখল। গাড়ির দরজা বন্ধ করে যুবকটি দোকানে এল। বই দেখে আমি দোকানের কাছে এগিয়ে গেলাম। অনেকক্ষণ ধরে দরদাম হল। দোকানদার ব্যাজার মুখে টাকা দিল ভদ্রমহিলার হাতে। ওরা চলে যেতেই আমি দোকানে গিয়ে বইগুলি দেখতে চাইলাম। দর্শনের উপর একটি বই দেখে নিলাম। বাড়িতে এসে বইটি খুলতে গিয়ে একটি খাম পেলাম। খাম খোলা উচিত হবে কি? ভেবেও খুললাম। দেখি একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি। লেখা সুরভি, তুমি কোনোদিনই আমার কথার গুরুত্ব দাওনি। তোমাকে কবে চিঠি লিখেছিলাম মনে নেই। আজ বাধ্য হয়ে লিখছি। এটাই আমার শেষ চিঠি। তুমি আমার অবর্তমানে যাবতীয় বই স্থানীয় কোনো লাইব্রেরীতে দিও। যাঁরা বই ভালোবাসেন তাদের কাজে লাগবে। তুমি আর আমার ছেলে পরিতোষ কিছু টাকার লোভে এগুলি বিক্রি করে দিও না। চিঠিটি আর পড়তে ইচ্ছে হল না। আমার টেবিলে, আলমারিতে রাখা বইগুলির দিকে তাকিয়ে আমি চিঠিটি খামে রেখে দিলাম।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register