- 5
- 0
নারী তোমার নিরাপত্তা কোথায়? যুগ যুগ ধরে তুমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছো। তাহলে কি মাতৃগর্ভে সুরক্ষিত? মোটেই না।
পূরুষ শাষিত সমাজে একদল পুরুষ কন্যাভ্রূণ অবস্থায় তোমায় উপরে ফেলে পৃথিবীর আলো দেখা থেকে বঞ্চিত করে।
তবে কি মায়ের কোলে? একদমই নয়। অমানবিক পুরুষেরা নাড়ি কাটার পর সদ্যজাত কন্যাকে মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে গর্ব বোধ করে। “আমার ঘরে মেয়ের কোনো ঠাঁই নেই।” এরাই আবার যায় কামনার ক্ষিদে মেটাতে বেশ্যালয়ে, অথবা পবিত্র মেয়েটির শরীরে ঢুকে বিষ ঢেলে অপবিত্র করতে। ছিঃ নোংরা সমাজকে ধিক্কার!!!
তবে এমন পুরুষও আছে যে অসীম পিতৃত্ব বোধে, আদরে সোহাগে কন্যাটিকে বন্দী করে সোনার খাঁচায় শকুনের চোখের আড়াল থেকে বাঁচাতে। তবুও বাঁচাতে পারে না! একদিন কন্যাটিকে হায়নার দলের ক্ষুধা নিবারণের স্বীকার হতে হয়!
বাবা, ভাই, স্বামী, পুত্র সকলেই আজ কলঙ্কিত হচ্ছে সমাজের গড়ে তোলা কিছু ব্যভিচারীর জন্য। ওরা যে পৃথিবীর নিয়ম মানে না। ওরা সম্পর্ক বোঝে না। বোঝে না নারীর মানে! অথচ নারীর যোনি দ্বার রক্তাক্ত হয়েই তো মা জন্ম দেয় সন্তানের।
যে নারী সমাজ কল্যাণের ব্রত নিয়ে পথে নেমেছে, তাঁর নিরাপত্তা কোথায়? যে ত্যাগে জীবনটাকে উৎসর্গ করেছে সেও সুরক্ষিত ছিলো না সেদিন! যে মেয়েটি রুগীর পরিষেবা দিতে গিয়ে হায়নার ক্ষুধা নিবারণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলো না…… কে নেবে তার দায়?? কেউ নেয় না। মা বাবার কোল শূন্য হয়! তাহলে নারীর নিরাপত্তা কোথায়??
প্রতিবাদে আজ উত্তাল গোটা সমাজ। মোমবাতি মিছিলে সামিল শত শত নারী পুরুষ নির্বিশেষে।
কিন্তু তারপর ……কতদিন…… একমাস….. ছয়মাস…… একবছর……
মোমবাতি গলে গলে নিভে গিয়ে আঁধার নামবে আবার, আবারও ব্যভিচারী জন্ম নেবে আমাদের সমাজের আনাচে কানাচে। উল্লাসের ক্ষিদে নিয়ে, সুযোগ পেলেই ওরা প্রবেশ করবে নারীর শরীরের ভিতরে। তারপর মেয়েটিই মৃত্যুর পরও সমাজে বেঁচে থাকবে “ধর্ষিতা” নামে।
শুধু একটি রাত নয়, প্রতিটি রাতেই হোক নারীর নিরাপত্তা। নারী তুমিই তো সৃষ্টিকর্ত্রী। জন্ম দিতে চাও তো দাও না কোটি কোটি পুত্রের জন্ম। কেউ তো নিষেধ করেনি। শুধু তোমার পুত্রটিকে মনুষ্যত্ব দিও, বিবেক দিও, কাম নিয়ন্ত্রনের মন্ত্রটুকু দিও। নইলে কুঁড়ি আর ফুল হয়ে ফুটবে না। অকালেই ঝরে যাবে! সৃষ্টিও থেমে যাবে একদিন!!
0 Comments.