Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

T3 || সমবেত চিৎকার || 26য় আর্যতীর্থ

maro news
T3 || সমবেত চিৎকার || 26য় আর্যতীর্থ

শ্রীচরণেষু

শ্রীচরণেষু.. এমন করেই লিখতে হতো বাংলা চিঠি নাকি আপনি গুরুজন। কী বলে যে করবো সম্ভাষণ, বুঝছি না ঠিক, তাই ভাবলাম এমনভাবেই ডাকি। অবশ্য এই ডাক আর আপনি শুনতে পাবেন না, শেষ ঘন্টার যন্ত্রণা রাগ কষ্ট ও ঘেন্না , সেসব নিয়ে হারিয়ে গেছি.. অন্তত তাই ভেবেছিলো ধ্বস্তকারীর থাবা, কয়েকটাদিন কাঁদতে পারে একলা মা আর বাবা, কিন্তু দেখুন লক্ষ মনে কেমন বেঁচে আছি, আমার কথা বেড়ায় ঘুরে ফোনের থেকে ফোনে, পার পাবে না দায়ী যারা অকাল-বিসর্জনে, তথ্যপ্রমাণ হোক বা না হোক ছাই, গর্জালে দেশ এমনভাবে ‘ ন্যায্য বিচার চাই’, কোন গর্তে লুকোবে কালপ্রিট, কয়েকদিনেই খুলে গুজব-গিঁট, জানা যাবে দোষীর পরিচয় । কিন্তু আমার এ পত্রটি সেই কারণে নয়, আলোচনা থাক, শুনতে পেলাম যখন দেবেন বাবাকে দশ লাখ, তখন থেকেই ভাবছি চিঠি লেখাটা দরকারি, হাজার হোক, হই তো নাগরিক, লাগছে না ঠিক জলে দেওয়া এতটা সরকারি। শ্রীচরণেষু.. ছোট্ট মুখে বড্ড বড় কথা , বাক্য বাড়াই তাই অযথা, ক্ষমা করুন নিজগুণে, এত টাকা পারবে না শেষ করতে বাবা গুনে, জন্ম থেকে বড় করার অসীম শ্রম আর স্নেহ মৃতদেহের মূল্য নিলে অমূল্যে তার জন্মাবে সন্দেহ, সে ভাবনাতে ঘাবড়ে গেছে ছা-পোষা দুই মগজ, ওদের কাছে ভালোবাসা টাকার থেকে সহজ। সত্যি বলতে , লাখ টাকা তো মরা হাতির দাম, দেড়শো টাকা করলে খরচ জীবিত থাকতাম । দেড়শো টাকা.. ষাটে কেনা একখানা ছিটকিনি, আর ধরুন ওই নব্বইতে সস্তা তালা কিনি, এইটুকুতেই.. আর কিছু নেই, এইটুকু দিন সব খুকুকে নাইটডিউটি যাদের, সেইটুকুনই কাজ দেবে ঠিক চোখের জলের বাঁধের, ডাক্তার আর নার্স শুধু না, যেইখানে যে মেয়ে, ঘর থেকে দূর কাটাচ্ছে রাত ঘড়ির দিকে চেয়ে, তাদের জন্য ধার্য করুন দেড়শো টাকা মোটে, আর যাবে না ডিউটিকালীন রেপ-মার্ডার ঘটে। শ্রীচরণেষু.. আমি তো নেই, মা বাবারও ওই টাকাটার নেই প্রয়োজন কিছু, বরং ওটাই ভাগ করে দিন দেড়শো মাথাপিছু। আর কোনোদিন তবে আবার হবে না মুখ নিচু…
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register