Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সীমন্তি চ্যাটার্জি (পর্ব - ৩০)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সীমন্তি চ্যাটার্জি (পর্ব - ৩০)

স্রোতের কথা

পর্ব - ৩০

[ অতঃপর.....পঞ্চতত্ব ]

" একটা জিনিস তাহলে পরিষ্কার হয়ে গেল...যে এই ফ্লেজলিংরা কেউ মিথ্যে কথা বা বানিয়ে গল্প বলেনি...সত্যিই ওরা বাধ্য হয়ে, নিজেদের বাঁচাতে গিয়েই নিজেদের সুপার পাওয়ার ইউজ করে ফেলেছে....না হলে সত্যিই হয়তো ওদের বিশাল বিপদ হয়ে যেত... মিরান্ডা,...তোমার তাহলে ওদের শাস্তির ব্যাপারটা রিকনসিডার করা উচিত,...তাইনা?".... অনুরোধের সাথে সাথে অনিন্দিতার গলার স্বরে দৃঢ়তাও "কিন্তু ওরা ঐ সময় ঐ নিষিদ্ধ জায়গায় কেন গিয়েছিল,সে প্রশ্ন তো থেকেই যায়...না গেলে তো এ সব কিছুই হতো না.." "সেটা যেমন ঠিক,তেমন এটাও তো ঠিক,ওরা ওখানে গিয়েছিল বলেই তো আমরা জানতে পারলাম... আমাদের সবার এখানে থাকা স্বত্বেও আমাদেরই চোখের সামনে এইসব অদ্ভুত ঘটনা কলকাতা ইসপ্যামার মত জায়গায় ঘটছে!!...অথচ আমরা কিছুই...." প্রিস্টেস অহনার কথা মাঝপথেই মিরান্ডার হাতের ইশারায় থেমে গেল। "তাছাড়া এই অদ্ভুত ছেলেমেয়েগুলো ই বা কারা?? এসব কি ঘটছে এখানে!! এদের দেখে তো অনেকটা জম্বি বা ওয়াকিং ডেডের মত মনে হচ্ছে... কিন্তু জম্বির মত নির্বোধ তো এরা নয়...জম্বিরা তো এইভাবে বুদ্ধি করে আক্রমণ করতে পারে না...আর তাছাড়া ইসপ্যামাতে তো কোন জম্বি ঢুকতেই পারবে না... সেইভাবেই সিকিওরড করা আছে ইসপ্যামার বাউন্ডারি... তাহলে....এরা কিভাবে...এখানে এল!!!" প্রিস্ট টাইরেসিয়াসকে খুব চিন্তিত আর অবাক মনে হল। "এসব নিয়ে এখন এদের সামনে আলোচনা না করে, আমরা পরে কথা বলি? আমি নিজেই বিষয়টা দেখবো " মিরান্ডা যেন খুব অস্বস্তি ভরে কথাগুলো বললেন আর আমাদের দিকে ফিরলেন "ফ্লেজলিংস...যদিও বা পাওয়ার ইউজ্ করার ব্যাপারে তোমাদের মাফ করাও যায়... কিন্তু এছাড়াও তোমরা... প্রায় সূর্য ওঠার সময়, নিষিদ্ধ গ্রাউন্ডে গিয়ে যথেষ্ট অন্যায় করেছ...আর তার জন্য শাস্তি তো তোমাদের পেতেই হবে।" " ম্যাম প্লিজ....আমরা তো জানতাম ই না...ইসপ্যামার ঐ অংশ টা নিষিদ্ধ....আর সাইন বোর্ড টা আমরা অতটা খেয়ালও করিনি...আমরা ভেবেছিলাম,আমরা সব বন্ধুরা মিলে একটু ইসপ্যামাটা ঘুরেফিরে দেখে নিই...আফটার অল...এটাই তো এখন আমাদের সবচেয়ে আপন জায়গা... এখানেই তো আমরা বিলং করি এখন...আমরা বুঝতে ও পারিনি যে...." সুজি যেন কান্না চাপতে দুহাতে মুখ ঢাকলো...আর তার আগে আমাদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে একটা চোখ টিপে দিল...আমরাও সব সারা পৃথিবীর দুঃখ মুখে মেখে অবোধ ছাগলছানার মত মুখ করে তাকিয়ে রইলাম... "তাহা হইলে ইহা প্রমানিত...উহারা যাহা করিয়াছে..অজ্ঞানতাবশত করিয়াছে... তাহার শাস্তি স্থানান্তর হওয়া অনুচিত..." ‌‌ চন্দ্রমৌলি আমাদের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন... কিন্তু আমি স্পষ্ট দেখলাম ওনার মুখে একটা দুষ্টু হাসি খেলা করে বেড়াচ্ছে... "ঠিক আছে, অবতার চন্দ্রমৌলি... আপনি যখন বলছেন..." মিরান্ডার অস্বস্তি ভরা বডি ল্যাঙ্গোয়েজ আর গলার স্বর বুঝিয়ে দিল উনি মোটেই খুশি নন... "‌ফ্লেজলিংস... একটা কিছু তো আছেই...যা তোমরা গোপন করছ...তবে উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায়...ঠিক আছে...দেখা যাবে পরে... স্রোতস্বিনী বসুমল্লিক...আপাতত তোমার শাস্তি এই যে তুমি 'আ্যানিম্যাল ম্যাটারের' প্রফেসর প্রিস্টেস রোশনাই জাহানের নির্দেশ অনুযায়ী সাতদিন ইসপ্যামার এ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি বা পশুশালায় জীবজন্তুদের দেখাশোনার কাজে হেল্প করবে...আর মৃত্তিকা মাহাতো তুমি সাতদিন ইসপ্যামার কিচেন ইনচার্জ 'মিস শাওজি গং' কে খাবার তৈরীর কাজে হেল্প করবে... বাকি ফ্লেজলিংরা... তোমাদের কি শাস্তি হবে তা তোমাদের মেন্টররা ঠিক করবেন,আমি তাদের সাথে কথা বলে নেব...এখন তোমরা সবাই দশ মিনিটের মধ্যে গডেস হেকেটির স্ট্যাচুর সামনে যে স্টোন ইয়ার্ড আছে...সেখানে চলে যাও... আজ তোমাদের মধ্যে কার কার ফাইভ এলিমেন্টের মধ্যে কোন কোন এলিমেন্টের উপর কন্ট্রোল আছে অথবা নেই...সেটার এক্সপেরিমেন্ট হবে...হারি-আপ ফ্লেজলিংস..." আমরা যেন‌ হাঁফ ছেড়ে বিশাল ঘর টা থেকে... প্রফেসর্সদের গম্ভীর মুখের সামনে থেকে (বলা ভালো আতংকের প্রতিমূর্তি বিল্ডিংটা থেকে বেরিয়ে এলাম)
***********
"যাই বল্...আমার ভাই খুব জোর খিদে পেয়েছে..এই মিট্টি তুই তো এখন কিচেনে থাকবি..সাতদিন...আমাদের জন্য ভালো ভালো খাবার ঝেঁপে নিয়ে আসবি বলে দিচ্ছি",.. সমীর জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটলো... "শালা...ভুক্কড়...তোর জন্য খাবার চুরি করে আবার কেস্ খাই আর কি..." মিট্টি সমীরকে পা দিয়ে একটা ছোট্ট কিক্ করলো " না রে সত্যি...গলাটা একদম শুকিয়ে গেছে...একটু বোতলে ভরা লাল রঙের অমৃত পেলে বেশ হতো এখন...এই ফাইভ এলিমেন্টস না কি যেন... শেষ হয়ে গেলেই কিন্তু আমরা খেতে যাবো।...রিজ্ তুই রুকসানার খাবার গুছিয়ে সামনে রেখে এসেছিস তো?? যদি ওর হঠাৎ জ্ঞান ফিরে আসে...ও যেন খেতে পারে..." " কিন্তু সমীর...এটা কি করে পসিবল হলো?? চন্দ্রমৌলি তোর মাথার চিন্তা যখন আমাদের সামনে ডিসপ্লে করলেন... সেখানে রুকসানাকে কি করে দেখা গেল না??আমার তো ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল...এক পাওয়ারের জন্য কত কান্ড...তারপর যদি রুকসানার কথাটা জানাজানি হয়ে যেত...আমরা তো শেষ!!" আমরা ইসপ্যামার পাথরে সাজানো রাস্তা দিয়ে খুব হাল্কা মনে প্রায় জগিং করার মত করে হেকেটির স্ট্যাচুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম...কাল থেকে আমাদের মনের উপর যে সাঙ্ঘাতিক ভারী উদ্বেগের পাথর টা চাপানো ছিল...সেটা যেন এক ঝটকায় কেউ সরিয়ে দিয়েছে... আমরা সবাই আনন্দে পাখীর মত উড়ে চলেছি...আজ রাতের আকাশ উন্মুক্ত...তারায় ভরা...সেও যেন আমাদের আনন্দে সামিল...দূর থেকে কোন নাম না জানা ফুলের অপূর্ব গন্ধ ভেসে আসছে...ইসপ্যামার সবুজ মখমলের মত ঘাসে মোড়া চারিদিক যেন আমাদের দিকে তাকিয়ে মধুর হাসি হাসছে....কত রকমের রঙের ফুল আমাদের চলার পথে ফুটে আছে দুপাশের সাজানো, কৃত্রিম ভাবে বানানো ফাউন্টেনগুলোর বিভিন্ন রঙের আলোয় মাখামাখি হয়ে ঝরে পরা জলের ধারা থেকে মাঝে মাঝে সুগন্ধি জল ছিটকে আমাদের গায়ে এসে পড়ছে ... বিভিন্ন আকৃতির ছোটো ছোটো সবুজ ঝোপ গুলোর ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছে রুপকথার ক্যাসল্ গুলোর মত গম্বুজওয়ালা বিল্ডিং গুলো... আজ যেন প্রথমবার ইসপ্যামাকে খুব আপন লাগছে...ভালবাসতে ইচ্ছে করছে... একটু অন্যমনস্ক হয়ে গেছিলাম... হঠাৎ চমকে উঠলাম প্যামের হাতের ধাক্কায়... " ওরে স্রোত...শোন সমীর কি বলছে..."‌ প্যামের গলায় সম্ভ্রম...আর বাকিরাও মুগ্ধ দৃষ্টিতে সমীরের দিকে তাকিয়ে আছে.. সমীরের মুখে লজ্জা আর আনন্দ মাখামাখি... "হ্যাঁ রে...যেই অবতার চন্দ্রমৌলির কপাল থেকে সার্চলাইটের মত আলোটা আমার মাথার ভিতরে..." " সমীর...ওটা পাওয়ার অব থার্ড আই... একমাত্র ডিভাইন‌ ক্রিচার...যারা গড বা গডেসের সাক্ষাৎ অংশ...তাদেরই শুধুমাত্র এ ধরনের মহাশক্তি থাকে ...আর তারা ইচ্ছে করলে...তাদের কাছ থেকে কোনো কিছু লুকিয়ে রাখা যায় না..." "হ্যাঁ রে ডাইকো ঠিকই বলেছিস... আমি তোর মত এত টেকনিক্যাল কিছু না জানলেও এটা বুঝতেই পেরেছিলাম যে ঐ আলোটা আমার মাথার ভিতর টা ঘেঁটে, যা আছে সব জেনে নিয়ে সেগুলোকে বাইরে টেনে আনতে চেষ্টা করছে...আমিও প্রাণপনে রুকসানা বলে যে কাউকে চিনি...সে চিন্তাটাই সরিয়ে বাকি ঘটনাগুলোর কথা মনে করতে লাগলাম...আরে বাবা,যতই চন্দ্রমৌলি মহাশক্তিধর অবতার হোক না কেন... মাথাটা তো আমার রে বাবা...আর আমিও তো ভ্যাম্পায়ার...আমি কি কম শয়তান নাকি..." সমীর উচ্চৈঃস্বরে হেসে উঠলো... আমরাও সবাই হো হো করে হেসে উঠলাম... "উঃ সমীর... তুই তো একেবারে কামাল করে দিয়েছিস বস্..." সুজি দৌড়ে গিয়ে সমীরকে জড়িয়ে ধরলো...সমীর অপ্রস্তুত হয়ে একটু হকচকিয়ে গেল...সাথে সাথে আমরাও...মিট্টি আমার হাতটা একটু টিপে দিল... "সব আমার জন্য রে...সব কিছু আমার জন্যই তোদের সহ্য করতে হলো... আমার জীবনটাই অভিশপ্ত..." "উফফ্ রিজ্...আজ থেকে তোর নাম 'সব আমার জন্য হলো দানব'...কেমন?ভালো না নাম টা?".. প্যামের কথায় আমরা তো বটেই.. এমনকি রিজ ও হেসে উঠলো " কিন্তু বিপদ এখনো আমাদের পুরোপুরি কাটেনি... যতই হাসাহাসি করি... একটা সমস্যা থেকেই গেল‌ আমাদের...রুকসানার এখানে থাকা...আর ওর জ্ঞান না ফেরা...প্রফেসররা যতই বারণ করুন,শুনলে চলবে না... আমাদের লুকিয়ে সুপার পাওয়ার ইউজ্ করতেই হবে আর ওকে সুস্থ করে তুলতে হবে...তারপর আমরা ডিসকাস করবো ওর কথা প্রফেসরদের জানানো উচিত না উচিত নয়..." আমি কথা বলতে বলতেই খেয়াল করলাম সুজি এখনো সমীরকে ধরেই আছে... " তুই ঠিকই বলেছিস স্রোত... আহা রে, অসহায় বাচ্চা মেয়েটা..." মিট্টির কথা শেষ হওয়ার আগেই...বাতাসে ভেসে আসা হাসি আর কথার তোড়ে হারিয়ে গেল..... ‌"এই যে...বাঞ্চ অফ লুজারস্...বাবাঃ শখ কত!!!ফাইভ এলিমেন্টস রিচ্যুয়াল করতে চলে এসেছে...আমরাও দেখি..কত অওকাত এদের..হুঁহ্ এলিমেন্টস কন্ট্রোল করবে...মরে যাই মরে যাই...রাস্তার কুকুরের দল..কোনমতে ইসপ্যামাতে ঢুকে ধরাকে সরা ভাবছে... আর দেখেছিস আলিশা...কিয়ারা...এই ছোটলোকের বাচ্ছাগুলো কাঁদুনি গাইতে কত ওস্তাদ...ঠিক কাঁদুনি গেয়ে প্রফেসরস দের পায়ে ধরে কায়দা করে বেঁচে গেল আর আমাদের হাড় জ্বালাতে এখানেই থেকে গেল!!..." আমরা দেখলাম কথায় কথায় আমরা কখন যেন হেকেটির স্ট্যাচুর কাছে চলে এসেছি, খেয়ালও করিনি...আর আমাদের ঠিক একশো মিটার মত দূরত্বে আমাদের উল্টোদিকে আলোহা মুখার্জী আর তার দলবল দাঁড়িয়ে আছে... আমাদের দিকে উড়ে আসা কথা গুলো ওদেরই যে ছুঁড়ে মারা তা আর কারোর বলার অপেক্ষা রাখে না... আমি দেখলাম সুজি তাড়াতাড়ি সমীরকে ছেড়ে খুব হিংস্র ভাবে আলোহার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্লু কালারের শর্ট স্কার্টে পরীর মত সুন্দরী কিয়ারা শর্মার দিকে তাকিয়ে আবার সমীরের দিকে তাকালো "আচ্ছা...তোমরা সবসময় আমাদের সাথে এরকম বিহেভ করো কেন বলো তো??তোমরাও তো ফ্লেজলিং ই...আমরা কি মিলেমিশে থাকতে পারি না সবাই? দেখা হলেই আ্যাবিউসিভ ল্যাঙ্গোয়েজ... ঝগড়া... এগুলো করার কোনো দরকার কি সত্যিই আছে? আমরা তো সবাই একই জায়গাতেই বিলং করি তাই না?" "উলেবাবালে...ছোওওও নাইচ মিস্টার হ্যান্ডসাম নেকড়ে...বাট স্যরি... একজায়গায় থাকলেই ক্লাস আর স্ট্যান্ডার্ড এক হয়ে যায়না...হোম মিনিস্টারের মেয়ে আর ভিখারি চাষা বা স্লাট ইন ডিসগাইসের মেয়ে কখনো এক ক্যাটিগরির হতে পারেনা...কুত্তা আর সিংহ দুজনেই তো এ্যানিম্যাল...তাহলে কি তোদের কাছে দুটোই এক!!! লুজারস্ " ‌"আলোহা প্লিজ্...থামো না এবার... অনেক হয়েছে "... আমি দেখলাম আলোহাদের দলের পিছনে এরিকও আছে...ও সবার অনেকটা পিছনে ছিল বলে এতক্ষণ দেখতে পাইনি...নাকি ও ইচ্ছে করেই পিছনে লুকিয়ে ছিল!! তবে আলোহা এরিককে বা ওর কথাকে বিন্দুমাত্রও পাত্তা দিল বলে তো মনে হলো না... আমি মুখ তুলে এরিকের দিকে তাকাতেই দেখলাম... সাদা ফুলস্লীভস শার্ট আর পেল ব্লু জিনস...দম আটকানো সুন্দর মুখের উজ্জ্বল চোখ দুটো আমারই দিকে আটকে আছে...আর সেই চোখ দুটোয় একটা মিনতি বা আকুতি...যেটা আমি বুঝতেও চাই না,আর আমার বোঝার দরকারও নেই... সত্যি কথা বলতে আলোহার এইসব খারাপ কথা কেন যেন আমাকে স্পর্শ করে না..আর আমার কিছু মনেও হয় না...তাই আমি ওদের পাত্তাও দিইনা " আমি ওদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে জায়গাটার চারপাশ টা দেখলাম...গডেস হেকেটির বিশাল স্ট্যাচুটা যেন করুনাঘন মুখে আমাদের দিকেই দেখছেন...আর আমাদের সবার মঙ্গল চাইছেন... হেকেটির মূর্তির সামনেই সাদা মহার্ঘ পাথরে বাঁধানো বিশাল..একটু উঁচু ছড়ানো চত্ত্বর আর তার চারপাশে প্রচুর ছেলেমেয়ে ছাড়াও আরো অনেকে জড়ো হয়েছে... আমি তার মধ্যে সিলভিয়া , সিনথিয়া সহ চেনা অচেনা অনেককেই দেখতে পেলাম,...উইলি আঙ্কল কেও...উইলি আঙ্কলকে দেখেই আমার কাছে থাকা লকেটওয়ালা হারটা আর জুহেতার কথা আমার মাথায় ঘুরতে শুরু করলো আর আমি কেমন যেন আনমনা হয়েই উইলি আঙ্কলের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম...আমাকে জানতেই হবে এই চেন টা সত্যিই জুহেতার কি না আর তা কিভাবেই বা ঐ অদ্ভুত মেয়েটার কাছে এল...আর এটা আমাকে একমাত্র উইলি আঙ্কলই বলতে পারবেন... " স্রোত...স্রোত...কোথায় চললি?? ঐ দ্যাখ সব প্রফেসর, প্রিস্ট,প্রিস্টেস রা আসছেন...চুপ করে দাঁড়া বাপ...আর কেস খাওয়াস না..." আমি মিট্টির ডাকে থেমে গেলাম...আর সিদ্ধান্ত নিলাম...যে করেই হোক...এই রিচ্যুয়াল শেষ হলেই আমাকে উইলি আঙ্কলের সঙ্গে কথা বলতেই হবে কেন জানিনা আমার মনে হচ্ছে, এই হারের মধ্যে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে আর সেটা আমাদের জানা খুবই দরকার...আমাদের সবার স্বার্থে... ইসপ্যামার স্বার্থেও

ক্রমশ...

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register