Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

।। ত্রিতাপহারিণী ২০২০।। T3 শারদ সংখ্যায় সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়

maro news
।। ত্রিতাপহারিণী ২০২০।। T3 শারদ সংখ্যায় সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়

পুর্ণজন্ম

মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে একা এক গুলমোহর সন্ন্যাসী রোদ্দুরে পুড়তে পুড়তে ভেবেছিল? মনের গভীরে তারও জমে আছে কত শরতের মেঘ? সাদা সাদা কাশফুল, হাওয়ার উড়তে উড়তে হঠাৎ নিয়ে গেল হাজার মাইল দূরে যেখানে দুটো হাত ছুঁয়েছিল কদমের ফুল। বিসর্জনের আগে যেমন কত ঢাক ঢোল কাঁসর, আমাদেরও ভাসান ছিল খানিকটা না বোঝার মতো।
নিয়তির শেষরেখা ধুয়ে দিল রামধনু কালো পোষাকের নীচে গুলিয়ে ওঠা প্রতিটা রঙ একে অপরের সাথে মিশে তৈরী করল অন্ধকার। যে অন্ধকারে শুধু ভেসে আসে দুটো চোখ উজ্জ্বল তারাদের মতো… চিৎ হয়ে ভাসি জলের ওপর। ডুবে যাওয়া প্রতিমার নিস্তেজ কাঠামো এক, যেখানে আটকে আছে শ্যাওলা আর খড় জট পাকানো কচুরীপানা ফুল আর গলে যাওয়া মাটির শেষ…
তবুও আলো এলে, জ্বলে ওঠে চিলেকোঠার ঘর যদি শুরু হয় কোন উৎসব সেই আশায় গোপন চাহিদা রাখি কলঙ্কিনী জলের কাছে। অক্ষরের ভাঁজ থেকে নড়ে ওঠা কবিতার মতো তোমার আঙুল, উত্তর দেয়, 'ভালো আছি'। যে বিষণ্ণ ছায়ায় এতদিন কুঁকড়ে ছিলাম জরা নদীর পাশে নড়ে ওঠে দেবীর ঠোঁট, পুর্ণজন্মের মতো!

ভাদ্র

রোদ এসে ধুয়ে দিল জল কি মোচড় লেগেছে সবুজ পাতায় আলোয় চিৎকারে ঝালাপালা হচ্ছে দিন ম্যানহোলের তলায় জমা কাদা আর নেই পরিচ্ছন্ন হতে হতে মনটাকে টাঙিয়ে রেখেছি যেন তেতলার ছাতে। পাখিগুলো হারিয়ে গেছে কোথাও যারা শেষবার ডেকেছিল বৃষ্টি শুরুর আনন্দে তারপর ক্রমাগত ব্যাঙের ডাক ঘ্যানঘ্যানে কথার মতো কিছু ছবি মাথার ভেতর বাড়ি মারছে ক্রমশ আর মুছড়ে পড়ছে লতা আগাছার শরীর। লেখা নেই। তুমি নেই। খালি হতে হতে একটা সময় হঠাৎই বলে উঠল, 'দাঁড়াও'। হাত বাড়িয়ে দিলাম রোদের দিকে… যেন তোমার দুই চোখ তাকিয়ে আছে একদৃষ্টে সারা শরীর আলোয় আলো এমন ভাদ্রে কি সত্যিই এত নিঝুম থাকা যায়?
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register