Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

।। ত্রিতাপহারিণী ২০২০।। T3 শারদ সংখ্যায় বেবী সাউ

maro news
।। ত্রিতাপহারিণী ২০২০।। T3 শারদ সংখ্যায় বেবী সাউ

দ্বিরাগমন

এক।
আমাকে জাগাও। ধীরে ধীরে জেগে ওঠে আমবন। হেঁটে যাওয়া দস্যুদল, কতকাল পথভ্রষ্ট অশোকের নীচে যারা পেতেছে ভেঙে যাওয়া গান। হরিণের চোখ। আমিও উলঙ্গের মত খোঁজ পেতে ধরি। চারপাশে নড়ে ওঠে ভুঁইকুমড়োর ডাল; বিব্রত স্মরণ। ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে, ইশারাতে বলে সেও সহমরণে যাবে।
দুই।
কে যেন শেখে মুক্তি! কে যেন একা একা মেপে চলে দিগন্তের আলোচনা! অথচ, কোন কাঁটাতার নেই, চাদরের নীচে জমে ওঠে ক্ষুধাশব্দহীন আগুন। ধীরলয়ে বেজে যাওয়া কালের শিঞ্জন। গভীর ক্ষতের মতো তুমিও ক্ষুধায় কাতর। কতকাল বিশ্বাসের চোখ নিয়ে একা হেঁটে গেছ অন্ধকার ছাদের কিনারে। তখনই, অক্ষৌহিনী প্রান্তরের পতাকা ভেসে আসে।
তিন।
অথচ, কোন উল্কাপাত নেই। সুখপাঠ্য এড়িয়ে সাহসী রেলপথ, যাতায়াতে মেলে ধরছে জানলার শীত। অজস্র শর্তাবলী পেরিয়ে উড়ে যাচ্ছে পানপাত্র, শূন্যের শিকারী চোখ। অন্ধ ভেবে তিল তিল গড়ে তোলা নিজস্ব আলসেমি বুঁদ হয়ে চাইছে শীতবন। গির্জার নিজস্ব দরজায় জিরাফের উৎকন্ঠা। সমস্ত যুদ্ধ ক্ষেত্র উন্মুক্ত পড়ে আছে। আর ওই অন্ধ বাগানে ফুল তুলছি আমি। একা।
চার।
গুছিয়ে রাখা শীতলপাটি মেলে ধরছি শীতাবসানে। পিপাসার দরজায় সদ্যসুপ্ত অমলতাস। কিভাবে ডিঙোই এই মহাকাল, এই ছায়াভরা কলসের ছাই। আত্মখনন। নতমুখ আরও শেখে বশ্যতা যেন। আরও কয়েকবার ভাঙে জমে ওঠা সিঁড়ি। কে তাকে কাঁচাঘুম থেকে ডেকে তোলে!
পাঁচ।
প্রত্যহ সফর শেষ হয়। রোদে ভেজা রাজপথে শুকোয় মৃত ধান। পাশ ফিরে চলে যান জেসাস ক্রাইস্ট। ক্ষয়াটে রেখার টান। চোখেমুখে। কলার মান্দাসে ভেসে ওঠে নূপুর। দু-টুকরো কেকের লোভে হাত পাতে পাথরের ঘাম। উৎসব শুরু হয় এরপর। এরপর উৎসব ঘরে এসে ঢোকে। বলে, পান্তাভাতে একটু নুন দেবে, মা!
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register