Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

।। ত্রিতাপহারিণী ২০২০।। T3 শারদ সংখ্যায় দেবযানী বসু

maro news
।। ত্রিতাপহারিণী ২০২০।। T3 শারদ সংখ্যায় দেবযানী বসু

দ্বীপটির গভীরে খবর

ঘাস আর ঘাসের ঠোঁট সব তোতলাচ্ছে। ছোটবৌ ছোটবৌ খেলি হুমহাম করে। পয়সা লাইন দিতে না শিখে যাপন হযবরল। খালি হাড় ধুয়ে মুছে অশ্রুজলের বয়ে যাওয়া। পড়ে যাওয়া কথাসংবাদ তুলে ধরি।
ঘুড়ির সুতোর কবন্ধরা আকাশে মাটিতে লড়ছে। তারা কবরে ঘুমোচ্ছে তাদেরকে টেনে তোলা সহজ। তারা পুড়ে লীন হল তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া সহজ। কথার ওঠাপড়া উড়ান ধীরে ধীরে পাখি হয়ে যাবে। আবাগি কথারা মরে পড়ে থাকে খাঁচার ভিতর। অন্ধকারের মনখারাপটুকু প্যাঁচার চিৎকার ছুঁড়ে মারে।
ঘরোয়া বিড়বিড়ানি যার তার ঘরবাড়ি বিড়বিড়ে ঝরাবকুল করে দিতে চায়। একমাত্র পথ জানে বকুলের ভিখিরিপনা। কে কবে কুড়িয়ে নিয়ে দেবে অন্য হাতে। তাই লম্বা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ফ্লুয়োরেসেন্ট উষ্ণতা পাই। বেঁচে থাকলে থাকবে চুম্বনসংকেত। থোকা চুলের কুয়াশায় ক্রমাগত পথবদল…

বোহেমিঞান বিশ্বাস

সময়ের পিছনে বাতাস আলো আগুন ছুটছে। শিরার ভাটায় হাত বুলোই। সময় পুড়িয়ে পুড়িয়ে জীবনকে কতোটুকু বা দিয়েছি। ঘুমচোখ জামাকাপড়ের মস্তিভরা চোখ। শরতের ঝরাচোখ মাটিতে পড়ার আগে ক্যাবলা চোখে তাকায়। চোখে দেখি না এমন হাজারো সকাল আছড়ে পড়ে ঘাড়ে।
এখন অসুখে কোথা সময়। গলুই ও কনুই ধরা আমরা যারা হাজার দশ বিশ মিনিট উঁচু থেকে ঝাঁপ দিতে চাই। কবিতার নামতামুখ মুছাই আদরে। থমকে যাচ্ছে চোখের শিরায় রক্ত সেবিকাদের। কম্পাস বলে দিচ্ছে কোন দিকের আগুন কোনদিকে যেতে পারে। কিভাবে বিদায় ও শেষবিদায় ফালতু হয়ে গেল। তাদের চিচিংফাঁক হবার আর কোনো সুযোগ নেই।
হুম হুম করে কচি ও বুড়ি মেয়েরা সৎ ও সতীন চাঁদমালা বুকে উড়ে যাচ্ছে। তুমি এক পরশপাথর ছুঁয়ে দিলে তার থরথর করে কেঁপে ওঠা ছাড়া আর কাজ নেই।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register