ছোট্ট মেয়ে খুকি,
থাকে বাবা মায়ের সাথে,
এক গ্রামে,
নাম তার বকুলবাসর,
খুব দুরন্ত,
পুজোর সময় তা বেড়ে যায় দ্বিগুণ!
শুধু বায়না আর বায়না,
এটা কিনে দাও, ওটা কিনে দাও,
বাবা-মায়ের সাধের মেয়ের-
তাই সব বায়না,
পায়না কোন বাধা!
খুকির পুজো শুরু মহালয়া থেকেই,
ভোর হতে না হতেই বসে পড়ে রেডিওর সামনে,
বোঝে না কিছুই সে,
তবু এক আনন্দ, এক নির্মল হাসি,
বোঝায় এসে গেছে মা,
আর মাত্র কয়েকটা দিন,
আত্মহারা খুকি,
"কবে আসবে দুগ্গা মা",সারাদিন এক কথা,
পাড়ার বন্ধুদের সাথে দেখবে সে ঠাকুর,
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে,
ইচ্ছে তার অফুরান,
গ্রামে পুজো হয় মাত্র একটি,
জমিদার রোঘুনাথের বাড়ি,
সবার অনুমতি না থাকলেও তার আছে,
কেটে যায় পাঁচটাদিন আনন্দে, উল্লাসে!
খাওয়া দাওয়া, ছেলেমানুষির মাঝে,
মা যেন এসে ধরা দেন,
খুকির প্রাণের মাঝে,
বইতে থাকে এক পবিত্র ধারা,
ভুবন মাঝে!
তবে এবার আসবে সে কলকাতায়,
তিলোত্তমা নগরীর পুজো দেখতে,
এমনই বায়না তার দিন রাত,
বাবা বলেছে নিয়ে যাবে,
তবে একদিন!
মহাঅষ্টমীর পুণ্যলগ্নে,
খুকি আসবে এই শহরে,
কৌতুহলে , উত্তেজনায় ঘুম হয় না তার,
কবে আসবে সেই দিন,
তবে দেখতে দেখতে চলেও আসবে সেই সময়,
খুকি যখন দেখবে তার সাধের দুগ্গা মাকে,
জানাবে প্রণাম তাকে,
ওর ভাষায় "নমঃ"!
হলে মনের ইচ্ছা পূরণ,
ফিরে যাবে সেই আপন গ্রামে,
গুনতে বসবে ,আবার আসবে পুজো কবে,
বাবা বলবে"এক বছর বাদে",
ততদিনে তারও বয়স বাড়বে,
তবে বছর এক!
শরতের গন্ধ মেখে,
হয়ে উঠবে খুকি অনন্যা,
মা ও মেয়ে কোন এক ক্ষণে,
হয়ে যাবে একাকার!!
ভিন্ন মাধুর্য
বসুন্ধরার মাঝে জন্ম নিয়েছে এক ত্রাস,
ছিন্ন করছে মানুষের প্রাণ,
চারিদিকে শুধু মৃত্যুর মিছিল,
রূপান্তরিত করেছে এই অস্তিত্বের তাৎপর্য!
তবুও এক অনাবিল ভক্তি স্রোত,
এক অশেষ আনন্দধারা বইছে এই ভুবনে!
কাশ ফুলের স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্য,
নীল গগনে পেঁজা তুলোর মত মেঘের মাঝে,
আসছেন শিবজায়া,
এক ভিন্ন সাজে,
এক ভিন্ন রূপে,
আমাদের প্রাণের মাঝে!
অসুরদলনী দুর্গা দেবেন পরিত্রাণ,
এই মর্তবাসীদের -
উৎসবের আবরণে,
জীবন মিশে যাবে জীবনের সাথে!!
0 Comments.