Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক কোয়ার্কো ধারাবাহিক উপন্যাসে সুশোভন কাঞ্জিলাল (পর্ব - ৪৬)

maro news
সাপ্তাহিক কোয়ার্কো ধারাবাহিক উপন্যাসে সুশোভন কাঞ্জিলাল (পর্ব - ৪৬)

ছেচল্লিশ

অর্জমাকে ফোন করলাম। ধরলো না, ব্যস্ত আছে বোধহয়। দু মিনিট এর মধ্যেই একটা মেসেজ পেলাম। "আজ মিনিস্টারের সাথে মিটিং, ব্যাস্ত আছি। সন্ধ্যায় ফ্রি থাকলে দেখা কর। জায়গা আর টাইম জানিয়ে দিস, প্লিজ "। আমিও ভাবলাম দেখা হলে ভালোই হয়। বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। কিন্তু জায়গা টায়গা পছন্দ করা আমার পক্ষে খুব বিড়ম্বনার। আমি আদতে একটু আনসোশাল। থাক এখন আর ভেবে দরকার নেই সন্ধ্যায় কোনো পয়েন্ট ই মিট করে নেবো আর জায়গা পছন্দ করার ব্যাপারটা ওর ঘারেই চাপিয়ে দেব। নিজের মনে হেসে উঠলাম। শ্রেয়ান আমার এই দায় ঝেড়ে ফেলা দেখে বলতো আমি নাকি দারুন নামজাদা বাইপাস সার্জেন হতে পারতাম চাইলে। শ্রেয়ানের কথা মনে পড়াতে মনটা আবার ভারী হয়ে উঠল। ও না থাকতে সত্যি কথা বলতে জীবনটাও ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে গেছে। যাইহোক আমার জীবনের স্বাদের থেকে শ্রেয়ানের জীবনের সুরক্ষা বেশি প্রয়োজন। ভাবনা জল ছিন্ন হল একেকটা মেসেজের শব্দে। খুলে দেখি লুলিয়া খুব কাব্য করে একটা গুডমর্নিং মেসেজ পাঠিয়েছে। আমার দারা কাব্য হয়না তাছাড়া কোনো কবিতা বা কোটেশন এর কালেকসন ও আমার কাছে নেই। ইশ শ্রেয়ান থাকলে গোছা গোছা দিতে পারতো ফররোর্ড করার জন্য। কারো বার্থডে বা বিয়ে কিংবা নিউইয়ার সব কিছুর শুভেচ্ছা বার্তা সাপ্লাই দিতো। আমি লুলিয়ার মেসেজ এর জবাবে "সুপ্রভাত"লিখে পাঠিয়ে দিলাম। জবাবটা যে ভালো হয়নি সেটা বুঝলাম ওর পরের মেসেজে। লিখলো "সরি রঙ নাম্বার আই ওয়াস লুকিং ফর অর্ক "। মহা ফিচেল এই মেয়ে। মস্করাটা বুঝলাম। প্রথম মেসেজে লেখা ছিল, "তুমি কেহে আগন্তুক? "সূর্যকে পার্সোনিফাই করা হয়েছে। নতুন সকাল অনেক সম্ভবনাময়। নিয়ে এসেছে কত আসার আলো ইত্যাদি। আমি অর্ক আর সূর্যের যত গুন আছে সেই গুনসম্পন্ন লোকটি আমি নাকি সেটাই ছিল ওর মেসেজের মেটফর। আর আমার উত্তরে শুধু নিরস সুপ্রভাতের ঠাট্টা করেছে। আমি আবার লিখলাম, "হাহা ইনসেন ইনসান " এই ভাবে মেসেজের মাধ্যমে চলতে থাকলো হাসি ঠাট্টা তামাশা। এরপর লুলিয়া মেসেজের মাধ্যমে জিগেশ করলো বিকেলে ফ্রি আছিকিনা। তাহলে আমরা দুজনে কোথাও যেতে পারি। এবার আমি সমস্যায় পড়লাম। সন্ধ্যায় অর্জমার সঙ্গে দেখা করার কথা। যদিও ওকে কনফার্ম করিনি। কিন্তু প্রয়োজন তো আছেই। আবার লুলিয়াকেও ফ্রি নেই কথাটা বলতে মন চাইছে না। দুইদিকের টানাপোড়েনে শেষ পর্যন্ত লুলিয়ারি জয় হল। লুলিয়াকে জানিয়ে দিলাম সন্ধ্যে ছটার সময় যাদবপুর থানার সামনে আমরা দেখা করবো। আর আর্যমাকে জানিয়ে দিলাম আজ আমার কাজ আছে কাল দেখা করবো। আর্জমাও জানিয়ে দিলো জে ঠিক আছে। আমার মনে কিন্তু একটা খচ খচানি থেকেই গেল। মনে হচ্ছে আমি ভুল করলাম। আজ আর্জমার সঙ্গে দেখা করা বেসি জরুরি ছিল। কিন্তু কিসের তাগিদে যে আর্যমকে না করলাম আর লুলিয়ার প্রস্তাবে নেচে উঠলাম, তা নিজেই বুঝতে পারলাম না।

ক্রমশ...

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register