Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব - ২০)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব - ২০)

স্টেজের পাশেই স্বয়ংসিদ্ধা

পর্ব - ২০

স্বর যেভাবে গড়িয়ে আসে, সরলতম জীবন থেকে সৌন্দর্য তরতরে, আবট খচখচে একটা ভ্যাঁড়া ভিতের মধ্যে প্রবেশের অনুমতি না নিয়েই ধারণাহীন যৌগিককে স্থির করে। মেধাহীন যেসব ভাঙা দেওয়ালে খেবড়ো ছাপ স্পষ্ট, না আগে না পরে, পড়ার গরলগুলি ঝেপে দেয়, তাদের জ্ঞানে প্রতীক আসে, বল্কল খুলে রাখা যায় না।
আসনের বিপরীতে যে আরেকটি প্রাচীন বেদনা থাকে, তাকে দেখা যায় না। কবি যে তরল সিরাম সিরাম গঙ্গা রেস্তোরাঁ, তার মাঝে যাপন বা পাণ্ডিত্য দুটিই অর্থহীন। বরং একটি খসখসে চামড়া লাগে, যেখানে তীব্র জীবন পোড়ার চিহ্ন লেগে আছে। কবিতা অনর্গল হলেও কবি অনর্গল হতে পারে না। পাতা নড়ে থেকে পাতা ঝরে অবধি পৌঁছাতে অনেকগুলি ঋতুর পারাপার লাগে আর প্রতিটি পাল্টে যাওয়ার আগে থমকে যাওয়া আবশ্যিক, গতশর্ত থেকে আগত শর্ত অবধি কবিতা এভাবেই চলমান।
নীহার কবিতা পড়ে, কবিতা দ্যাখে, কবিতা শোনে কিন্তু কবিতা ধরতে বা গড়তে যায় না কবেও। ধাতব ঝালর যেমন হয় কবিতাও ঠিক তেমন তেমন, বাইরের রং সহজে পাল্টে দেওয়া গেলেও ধাতুর চরিত্র বদলে ফেলা যায় না। শাহিভৃত্যের একটা নিজস্ব স্বর আছে সেখানে নিজেকে বেমানান মনে হলেও নীহার আপোষ করেনি। সত্তার সাতে স্রষ্টার এই অমোঘ চক্র বদলে ফেললে না লেখা কবিতাও হাসাহাসি করে।
অর্থাৎ "প্রায়শ্চিত্ত"
"যে চিঠি আজ অবধি পড়া হয়নি কারো।"
এতদিন নীহার কবিতা থেকে সরেছিল তার কারণ এটাই যে সে নিজেকে শাহিভৃত্যের স্রষ্টা ভেবে কিছু জায়গায় আধিপত্য ও নিজের জোর ফলিয়েছিল। এবং পরে ভুল বুঝতে পারলে তার প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ অন্বেষণে বেরিয়ে পড়ে এবং কিছুকাল কলমকে কাবেরী হতে ব্যালগ রেখে নিজেকে নিজেই শাস্তি দেয়।
এবং পৃথিবীর যে যে রহস্য আমাদের দৃশ্যের আড়ালে সরে যেতে চায় তারা প্রত্যেকে নিজের জন্য বলির তর্পণ ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট রেখে যেতে চায়নি।

ক্রমশ...

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register