Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাসম্পাতে সিদ্ধার্থ সিংহ (পর্ব - ৩৯)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাসম্পাতে সিদ্ধার্থ সিংহ (পর্ব - ৩৯)

কেমিক্যাল বিভ্রাট

চিঠি তো লেখা হল। কিন্তু ওকে দেবে কী ভাবে! সরাসরি গিয়ে মুখের সামনে দাঁড়িয়ে তো আর বলা যায় না, এই নাও চিঠি। বিশ্বস্ত কারও হাত দিয়ে পাঠাতে হবে। কিন্তু কাকে বিশ্বাস করে এ রকম একটা গুরুদায়িত্ব দেবে সে! কাকে! নাকি, বাচ্চা কোনও ছেলেকে আইসক্রিম কিংবা বেলুনের লোভ দেখিয়ে কাজটা হাসিল করবে! নাকি ওর মতো সে-ও, ও যখন স্কুল থেকে ফিরবে, তখন এটা দলা পাকিয়ে ওর পায়ের কাছে ছু়ড়ে দেবে! তার পর ওর মতোই চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দেবে, ওটা তুলে নিতে! সেটা ভেবেই অতিযত্নে চিঠিটা পকেটে পুরে নিয়ে পর দিন দুপুর হওয়ার আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। তার পর গলির মুখে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিছুতেই যেন সময় কাটছিল না তার। অস্থির হয়ে উঠছিল। গলির মুখ থেকে সুস্মিতাদের বাড়ির জানালা অবধি কত বার যে পায়চারি করেছিল, তার মনে নেই। তার কাছে তখন এক-একটা সেকেন্ড যেন এক-একটা ঘণ্টা। কখনও কখনও মনে হচ্ছিল, এক সেকেন্ড কোথায়, এই তো একটা পুরো দিন পেরিয়ে গেল! না হলে পা এত টনটন করছে কেন! কই, ও তো এল না! না। শুধু ও নয়, সে দিন ওর স্কুলবাসও আসেনি। আসেনি! নাকি এসেছিল! বাস থেকে ও নেমেও ছিল। এবং তার পাশ দিয়ে মাথা নিচু করে অন্যান্য দিনের মতো চলেও গেছে, সে টের পায়নি! না, এটা হতে পারে না। যতই সে গলির মুখ থেকে ওদের জানালা অবধি পায়চারি করুক, যতই ওর কথা ভেবে ভেবে অন্যমনস্ক হয়ে যাক, যার জন্য অপেক্ষা করছে, সে গেলে ও তাকে দেখতে পাবে না! এটা হয়! তবু আরও সতর্ক হয়ে গেল সে। না, আর পায়চারি নয়, পর দিন ও ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইল গলির মুখে। নিজে তো একচুল সরলই না। চোখও সরাল না এ দিক ও দিক। এবং এত করেও শেষ পর্যন্ত দেখল, সময় গড়িয়ে গেল, তবু না। সত্যিই ওর স্কুলবাস এল না।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register