কাব্যানুশীলনে দেবানন্দ দে
by
·
Published
· Updated
গ্রাম ভেঙ্গে ভেঙ্গে
শহর গিয়েছে দূরে
দেখিতে পাও না কী-
মরালীর কোমল গ্রীবা শালুকের
পাতা ছুঁয়ে জলক্রীড়া করে।
দেখিতে পেয়ছো কী –
গ্রীষ্মের গাবনা কেটে শ্যামলী গাই
ভরা বাটে শাবকেরে ডাকে,
হাম্বা হম্বা স্বরে, হরিণচোখি কমলা
ছুটে এসে গোত্তা মারে মায়ের বাটেতে।
এ দৃশ্যও বিরল –
সবুজ ঘোমটায় ঢাকা কালিন্দির মুখ
গাঢ় লাল টিপে, কমল বনেতে খোঁজে পদ্মকুঁড়ি,
উন্মনা চিতল চোখ খোঁজে ফেরে ইস্পাত দেহ,
কুঠারের চাইতেও দীপ্ত হাতের মোহবেষ্টনী-
দেখিতে পাওনা না বুঝি-।
পথভোলা বাউলের কাঁচাপথে যাতায়াত বড় মনোহর,
নবীন বোষ্টমী প্রতিদিন ঠুংরীর বোল তুলে
হারিয়ে ফেলে পথ,
পাকা পথের সুখ দূরে নিয়ে যায় ওর বোষ্টমীকে,
জেনেছিল কানাগলি পরে আছে এই পথের শেষে।
এখনো গ্রামের আকাশ জুড়ে সূর্য ওঠে রুক্ষ-শুষ্ক মুখে
এখনো পালানো শ্রেনীর কচিকাচা কাঁদামাটি ঘেঁটে
খেলা করে নাইয়ে দেয় বেলা- আমি তা জানিনা।
অরণ্য ফিরিয়ে দাও, অরণ্য যে খুশি
গ্রাম ফিরিয়ে দাও, ফিরে যাক সহজ সরল দিনলিপি।