|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় দেবশ্রী দে
by
·
Published
· Updated
পালাবদল
সে বাসে উঠতেই “লোকগুলোর চোখ চকচক করে উঠল”…তারও করত কিছুদিন আগে পর্যন্ত;ফ্রি-তে কোনও মহিলার শরীর মাপতে কার না ভালো লাগে..সায়ন্তন ব্যতিক্রম নয়,হতে চায়নি।
কিন্তু চল্লিশ বছর বয়সে হরমোনের এমন পরিবর্তন ব্যতিক্রম বটেই,অন্তত ডা.রায় বলেছিলেন।এই একটা মানুষকে সবচেয়ে আপন লেগেছিল তখন।বাকিরা তো..।সায়ন্তনের শরীর সেসময় রূপান্তর চাইছে।নারী হয়ে ওঠার বাসনা তীব্র।ডা.রায় তাকে সায়ন্তনী করে না তুললে সে এই পৃথিবীতেই থাকত না হয়ত।
পয়লা বৈশাখের জন্যে শাড়ি কিনতে গড়িয়াহাট যাচ্ছে আজ।বাসের লোকগুলোর চাউনি বিরক্তিকর লাগছে তার।সায়ন্তনী এখন বুঝতে পারে সেইসব মহিলাদের কতটা খারাপ লাগত..যাদের আপাদমস্তক চোখ বুলিয়ে নিতে দ্বিধা করেনি একবারও;তাদেরই অভিশাপে কি…..
সহ্যের সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে সামনের সিটে বসা লোকটা,ওকে শিক্ষা দেবে বলে উঠতে গিয়েই…”আঃ”!
সামনের হাতলে মাথা ঠুকে ঘুম ভেঙে গেল সায়ন্তনের,স্বপ্নটা উধাও সাথে সাথেই।
সামনে দাঁড়ানো মহিলার দিকে একবারও তাকালো না।কার অভিশাপ কখন ফলে যায়।পয়লা বৈশাখে পাঞ্জাবিই পরতে চায় সে….