প্রবন্ধে দীপঙ্কর দে

ভূ-উষ্ণায়ন:বিপন্ন পৃথিবী
“দাও ফিরে সে অরণ্য – লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর সভ্যতা”। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
একবিংশ শতাব্দীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই লাইন দুটি বার বার মনে পড়ছে।।
আগুনের চারপাশে নগ্নদেহে লাল রঙের আচর কাটে ওরা। আনন্দে নৃত্য করে। শত্রু যাতে চিনতে না পারে দেহের চিরাচরিত মাছের গন্ধকে তাড়াতে “হুঁশ হুঁশ “জাতীয় শব্দ করে সারা অরণ্যকে প্রকম্পিত করে। আমাজন অঞ্চলের “কামাইউরা” আদিবাসীরা ওদের বার্ষিক উৎসবে এভাবেই পালন করে। আজ “কামাইউরা” জীবন বড় সঙ্কটে। প্রকৃতির সঙ্গে সাংস্কৃতিক এই মেলবন্ধন কী হারিয়ে যাবে চিরতরে?
মার্কিন বণিকেরা বন উজাড় করে সেখানে গাছের শরীরে কুঠার চালাচ্ছে কাগজ কল স্থাপন করবে বলে। ডানা ঝাপটা মেরে কোন অজানা অরণ্যের পথে উড়ে যাচ্ছে বিখ্যাত ‘ম্যাকাও’ পাখি। জলবায়ু পরিবর্তন আর বন উজাড় করা নয়া সাম্রাজ্যবাদী শিল্প-সভ্যতার দৌলতে আমাজন আদিবাসীদের জীবন আজ বিপন্ন। বিগত ১০০বছরে দ্রুত বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে আমাদের ঘন জঙ্গল ক্রমশ উজাড় হয়ে যাচ্ছে।ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে ওদের প্রিয় খাদ্য- নদীর মাছ।বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ক্রমশ শত শত কামাইউরাদের মতো আদিবাসী এবং আমাজনের মত ঘন জঙ্গল ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে।
শতাব্দীর সূর্য যখন মধ্য-গগনে তখন সভ্যতার সর্বনাশী খেলার ফলশ্রুতিতে মানবজীবনে ঘনিয়ে আসে বিশ্ব উষ্ণায়নের অভিশাপ।দ্রুত নগরায়ন ও শিল্পায়নের হাত ধরে প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন ও নির্বিচারে বৃক্ষ ফল হল পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা। বিশ্ব প্রকৃতির ভারসাম্য বিভিন্ন হওয়ার বর্তমান যুগে উত্তরোত্তর উষ্ণতার পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। উষ্ণতার এই ক্রমবর্ধমান দশায় বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং নামে পরিচিত।
এখন আসি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায়:
*ভূ-উষ্ণায়ন* :ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে এককথায় ভূ-উষ্ণায়ন বলে। গত ১০০ বছরের হিসেবে দেখা যায় – এই তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিগত ৮০০বছরে তাপমাত্রা প্রায় স্থির ছিল, কিন্তু গত ১০০ বছরের হিসাব তার ব্যতিক্রম- তাপমাত্রা গড় বৃদ্ধি হয়েছে ০.৬ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের বেশি। অর্থাৎ স্বাভাবিক তাপমাত্রা যা মানুষ পৃথিবীতে বাসযোগ্যের জন্য অভস্ত তার থেকে বেশি তাপমাত্রা হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত নির্দিষ্ট কিছু গ্যাসের উপস্থিতির জন্য ভূপৃষ্ঠে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী গরম হয়। একেই ভূ-উষ্ণায়ন (Global warming) বলে।
ভূ-উষ্ণায়ন কারন:
সূর্য থেকে বিকিরণ রশ্মিই পৃথিবীর শক্তির মূল উৎস্য।প্রায় ৭০ ভাগ এই সৌর বিকিরণ পৃথিবীপৃষ্ঠ শোষন করে,তার ফলে পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে।এই রশ্মি যখন পৃথিবী পৃষ্ঠে এসে পৌঁছায় তখন তার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য থাকে কম। কিন্তু যখন তার পৃথিবী পৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যায় তখন তার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়।এই বেশি দৈর্ঘ্যর তরঙ্গ শক্তিকে শোষন করে বায়ুমন্ডলের কিছু গ্যাস এবং তা করে তাদের মৌল গঠনের কারনেই।এই গ্যাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোফ্লরো কার্বন,পেরাফ্লোরো কার্বন, পারফ্লোরো কার্বন,এর পরে নাইট্রাইস অক্সাইড এবং মিথেন।এর পরেই কার্বনডাই অক্সাইড। রয়েছে সালফার হেক্সোফ্লোরাইড সহ আরো কয়েকটি গ্যাস।এই গ্যাসগুলোকেই বলে *গ্রীন হাউস গ্যাস*।এই গ্যাসগুলো বায়ুমন্ডলের ১ভাগ স্থান জুড়ে আছে।এদের অবস্থান পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ১৫-২০ কিঃমিঃ উচ্চতায়- স্ট্রোটোস্ফেয়ার স্তরে। এই গ্রীনগ্যাস বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটা কার্যকারি ভূমিকা পালন করে।এই গ্রীন হাউস গ্যাস পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ফিরে আসা তাপ শোষন করে এবং পৃথিবীতে ফিরিয়ে দেয় এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় বজায় রাখে। পৃথিবীর প্রানী ও উদ্ভিদ জগতের বেঁচে থাকার প্রয়োজন সাপেক্ষে তাপমাত্রা বজায় থাকে। এর নাম *গ্রীনহাউস প্রভাব* (Green house effect)। এর নাম এসেছে ::শীতপ্রধান দেশে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে,তাতে উদ্ভিদ স্বাভাবিক বৃদ্ধি/ফল/ফুল হয় না। এদের জন্য কাঁচের ঘরে তৈরি (গ্রীন হাউস) হয় তাতে তাপমাত্রা ঘরে প্রবেশ করবে কিন্তু ফিরে আসবে না-তাতে কাঁচের ঘরে উদ্ভিদ প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা পায় ও বেঁচে থাকে। একেই কাজ এই গ্যাসগুলো করে। তাই এর নাম হলো গ্রীনহাউস গ্যাস।
প্রাকৃতিক এই গ্রিনহাউস গ্যাস পৃথিবীর জন্য খুব প্রয়োজনীয়। তা না হলে পৃথিবীরপৃষ্ঠ হয়ে উঠবে অতি শীতল/অতি উষ্ণ।আর তাতে ভূপৃষ্ঠে প্রানের অস্তিত্ব হয়ে পড়বে বিপন্ন। কিন্তু এইপ্রাকৃতিক উৎপন্ন গ্যাসের প্রভাব ভূপৃষ্ঠে বজায় থাকে না।
ভোক্তাবাদ যে শুধু সামাজিক বিপর্যয়ই ডেকে আনে তা নয়, পরিবেশ দূষনের পেছনেও ভোক্তাবাদ এক বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন অনেক গবেষক। লেখক ও অধ্যাপক Jorge Majfud তার “ভোক্তাবাদের মহাব্যাধি” “The pandemic of consumerism” – প্রবন্ধে লিখেছেন যে “Trying to reduce environmental pollution without reducing consumerism is like combatting drug trafficking without reducing the drug addiction.” অর্থাৎ ভোক্তাবাদ না কমিয়ে পরিবেশ দূষন কমান হল মাদকাসক্তি না কমিয়ে মাদক পাচার কমানোর চেষ্টার মত।
আধুনিক ভোগবাদী বিশ্বে শহর নগর বসবাসকারী মুনষ্যের তৈরি গ্রিনহাউস গ্যাস প্রাকৃতিকভাবে তৈরি গ্রিনহাউস গ্যাসের ভারসাম্যকে নষ্ট করে। এখানে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি গ্রিনহাউস গ্যাস ওজোনের(O3) রশায়নিক ভূমিকা উল্লেখ করবো ও কিভাবে O3 ধ্বংশ হয়ে মুনষ্য সৃষ্টি ক্লোরোফ্লূরকার্বন (CFC)দ্বারা।
ওজোন প্রায় 90% স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে থাকে।
এটি উপরের বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত রয়েছে (সাধারণত পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় 10 থেকে 50 কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত হয়)।
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ওজোন সূর্যের অতিবেগুনী বিকিরণের হাত থেকে পৃথিবীর জীবকে সুরক্ষা দেয় এবং সূর্যের বিকিরণের একটি অংশ শোষণ করে এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছতে বাধা দেয়।
পৃথিবীর জীবগুলি ভারী অতিবেগুনী রশ্মির সাথে খাপ খায় না, এটি তাদের হত্যা করে বা ক্ষতি করে। UVC এবং UVB বিকিরণ প্রতিফলিত করতে ওজোন স্তরটি না থাকলে পৃথিবীর বেশিরভাগ জটিল জীব বেশি দিন বাঁচত না।এখন ওজোন (O3) CFC গ্যাসের সঙ্গে বিক্রিয়া করে কিভাবে ভেঙে যায়::
শীততাপ নিয়ন্ত্রন মেশিন, রেফ্রিজারেটর ইত্যাদি ব্যবহৃত CFC বাস্পায়িত হয়ে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে প্রবেশ করে ওজন(O3) ভেঙ্গে দেয়।ক্লোরোফ্লুরোকার্বন(CFC) সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে বিয়োজিত হয় সক্রিয় ক্লোরিন(Cl) পরমানু উৎপ্ন্ন করে।এই সক্রিয় ক্লোরিন(Cl) ওজনকে(O3) অক্সিজেন রূপান্তরিত করে।
1.CFC3+ UVরশ্মিছ>
Cl(সক্রিয়)+CFCl2.
2.Cl(সক্রিয়)+O2>
ClO+2O2
3.ClO+O3>Cl+2O2
শেষ ধাপে উৎপন্ন Cl পুনরায় O3 ভেঙ্গে এভাবেই cyclic রূপে একটি সক্রিয় Cl লক্ষাধিক ওজন(O3) বিয়োজন করবে।
তাতে ওজন স্তর ভেঙ্গে যাবে, এর ফলে অতি বেগুনি রশ্মি প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। অতি সহজেই এই রশ্মি পৃথিবী পৃষ্ঠে চলে এসে উদ্ভিদ/বন উজাড় করে ধ্বংশ করে দেবে।
গ্রিনহাউস গ্যাস প্রভাবের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী গ্যাস হল কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂)। CO₂ হল একটি গ্রিনহাউস গ্যাস যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ আটকে রাখে। বায়ুমণ্ডলে CO₂ এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ।
বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ:
বিজ্ঞানীরা বিশ্ব উষ্ণায়নের অনেকগুলো কারণ নির্দিষ্ট করেছেন -১)বিভিন্ন জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই- অক্সাইড ক্রমবৃদ্ধি, ২) শস্যক্ষেত্রে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং জৈবমল ও পচিত উদ্ভিদের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে বায়ুমন্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বর্ধন,৩) কৃষি ক্ষেত্রে নির্বিচারে নাইট্রোজেন ব্যবহার ৪) শিল্পক্ষেত্রে দ্রাবক, এরোসেল, প্লাস্টিক, ফোম ও প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহৃত ঠান্ডা মেশিন গুলি ব্যবহারের ফলে ক্লোরো-ফ্লোরো-কার্বনের ( CFC) পরিমাণ বৃদ্ধি, ৫) উন্নত জনজীবনের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বৃক্ষচ্ছেদনের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি বিশ্ব উষ্ণায়ন।
বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব:
বিশ্ব উষ্ণায়নের ভয়াবহ পরিণতিতে বরফাচ্ছাদিত পর্বত, অন্তহীন সমুদ্র, কল্লোলিত ঝর্ণা ও নদী, হিমময় মেরুদেশ, বিস্তীর্ণ মরুরাজ্য,গভীর অরণ্য, জীবনে কলরবে মুখরিত জনপদ ক্রমে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। ১৯৮২ থেকে পেরুর সমুদ্র উপকূলে সৃষ্ট “এল নিনো”(El Nino) নামক আবহাওয়ার এক জটিল প্রক্রিয়া অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি সমস্যাকে ক্রমাগত জটিলতর করে তুলেছে।
সমীক্ষায় জানা গেছে,উত্তর মেরুর বরফ অধ্যুষিত অঞ্চলে বরফ এর পরিমাণ ৫.৯ মিলিয়ন বর্গ মিটার থেকে ১.৯ বর্গমিটারে পর্যবসিত হয়েছে এবং অচিরেই তা সম্পূর্ণ অপসৃত হয়ে সমুদ্রের বিশাল জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।
বিজ্ঞানীদের অপর অনুমান, ক্রমপ্রসারমান উষ্ণায়নের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে গিয়ে শুষ্ক মরুরাশিতে পূর্ণ হয়ে যাবে সমগ্র পৃথিবী কীটপতঙ্গের বংশবৃদ্ধি ঘটবে জলের গুনগতমান কমে গিয়ে প্রাণীদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাবে। সর্বাংশে ধ্বংস হয়ে যাবে প্রকৃতি ও পৃথিবী।
প্রতিরোধ ব্যবস্থা:
১৯৬৫-তে আমেরিকার বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রথম বিশ্ব উষ্ণায়নের ভয়াবহতা বিষয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ পেয়েছে। এই বিষয়ে ১৯৭৯-এ জেনেভা সম্মেলন(Geneva Conference), ২০০৭-এ অপর এক সম্মেলন আয়োজিত হয় ।অনুমান করা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে কমিয়ে, অপ্রচলিত শক্তি ও জৈব সারের ব্যবহার বাড়িয়ে, পেট্রোলিয়াম এর অপচয় রোধ করে এবং সর্বোপরি নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করেও বনসৃজন ঘটিয়ে উষ্ণায়নের কমানো সম্ভব হবে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা:
কিয়োটো প্রোটোকল এবং প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে, দেশগুলি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সম্মত হয়েছে, কিন্তু বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে, পৃথিবীকে উদ্বেগজনক হারে উত্তপ্ত করছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে যদি এই উষ্ণতা নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে, তাহলে এটি বিশ্বের অনেক জায়গায় পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, যার মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, রেকর্ড-ব্রেকিং খরা এবং বন্যা এবং ব্যাপক প্রজাতির ক্ষতি।
2015 সালে প্যারিস চুক্তি নিয়ে আলোচনার পর থেকে, চুক্তির পক্ষভুক্ত 195টি দেশগুলির মধ্যে অনেকগুলি তাদের জলবায়ু প্রতিশ্রুতিগুলিকে শক্তিশালী করেছে, যার মধ্যে নির্গমন রোধের অঙ্গীকার এবং চরম আবহাওয়ার প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে দেশগুলিকে সহায়তা করার অঙ্গীকার সহ, জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনে উপনিত হয়েছে।
উপসংহার: আমাদের সচেতন থাকতে হবে যাতে CO2গ্যাস বা গ্রিনহাউস গ্যাস আমাদের ভোগবাদী চরিত্রে আর বৃদ্ধি না পায়।
তাই:
মানব সচেতনতা।
গাড়ির ধোঁয়া, কারখানার ধোঁয়া ইত্যাদি রোধ।
সিএফসি নির্গত হয় এমন যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমিয়ে আনা।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ।
কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য তাপ আটকানো গ্যাসগুলি বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান চালক। যদিও জলবায়ু পরিবর্তন বন্ধ করা যায় না , তবে এটি ধীর হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ পরিণতি এড়াতে, আমাদের 2050 বা তার আগে কার্বন নিঃসরণ “নিট শূন্য” এ পৌঁছাতে হবে। রাষ্ট্রের ও দ্বায়িত জনগণকে সতর্ক করানো ও নীতি মালা তৈরি করা।এবং. আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহের মাধ্যমে শিল্পায়ন দেশগুলোকে বাধ্য করা/চাপ দেওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসবৃদ্ধির লাগাম যাতে শক্ত করে। তাহলেই আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবী উপহার দেওয়া যাবে।