মার্গে অনন্য সম্মান দেবাশিস বসু (সেরা)

অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার
সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব – ৭১
বিষয় – অচেনা রূপ
ক্ষুধার্ত যৌবন
বটের পাতায় রোদের গোলাপী ঠোঁট দেখেছিলো চোখের আয়না..
দেখেছিলো গাছে বাঁধা নৌকার ছইয়ের আলোছায়া বায়না..
নদীর বুকে পিঁপড়ের বাসাসহ পাতা ঝরে পড়ে..
যখন বালিশ ছুটে বেড়ায় সারাটা খাট জুড়ে..
বুকে কাজল আর ওষ্ঠরঞ্জনীর কলঙ্ক পুরে..
ছুটে বেড়ায় ক্ষুধার্ত যৌবন- রাজপথ ধূসর..
অফিস থেকে অফিসের অন্ধকার করিডর..
রেশন দোকান বিদ্যালয়ে সরকারের দোর
পিঁপড়ের সারি যেন মচায় লক্ষ শোর
মাইলটাক লম্বা লাইন- কালো কালো মাথার ওপরে উজ্জ্বল গ্লোসাইন..
পরীটার মুখের দিকে উড়ে যায় চিনাবাদামের খোসা..
রামকিঙ্কর বেজের মাথায় চায়ের কাপ খোঁজে ক্ষণিক বাসা..
কোণায় এখনো লেগে আছে পার্পল ওষ্ঠরাঙানী..
চাপা পড়া ঘাসেদের হাঁসফাঁস- ইতিহাসের জীবন্ত জবানী..
হাঁসফাঁস করে একাডেমির সামনে ক্ষুধার্ত যৌবন..
সাক্ষী ফুচকা আর তেঁতুল জলের আম্লিক প্রস্রবণ..
হাঁসফাঁস করে মৃত নগরীর ফুটপাত জনাকীর্ণ..
প্রতিদিন আলাদা শিশু কোলে নেওয়া ভিখারী মায়ের পোশাক জীর্ণ..
সাড়ে তিন হাত তো দূরের কথা,
এক হাত জমিও তার জন্য হবে না বিদীর্ণ..