কবিতায় বলরুমে (গুচ্ছ কবিতা) দীপঙ্কর বাগচী

অব্যক্ত
(ক)
আমি কোনও কথা তোমাদের সম্পূর্ণ বলিনি।
অবশ্য জানি না এই
সম্পূর্ণতা কাকে বলে
কোন গোল ঘরে আছে
সম্পূর্ণ প্রকৃতি—
আমি কোনও কথা তাকে সম্পূর্ণ বলিনি
(খ)
প্রতিটি গোপন আজ রাতের কুহরে এসে
বলে যায় … থামো
ঘাতকতা ঘৃণা করি আমি—
প্রতিটি গোপন আজ, রাতের কুহরে এসে বলে
বলে যায়- জাগো
জেগে থাকা প্রভূত জরুরি
(51)
আকাঙ্খা জরুরি বলে, বিপন্নতা জাগায় অধীর
যে পরা ভাষায় তুমি
আজও কথা বলেছো বিস্তর
সে ভাষা তো ফল্গু ভাষা
থেকে যাবে বুকের ভিতর
আকাঙ্খা জরুরি বলে, বিপন্নতা জাগায় প্রখর।
পরমার্থ
আবর্তের ঘূর্ণিপাকে কেটে গেল
অর্ধেক জীবন ….
আমি এক সামান্য শকুন
খুঁটে খাই মরা শব
পচা মাংস অর্থ অকারণ—
অন্ধকার রাত্রিগুলো ভালোবেসে
হেঁটে গেছি রোজ
পরমার্থ কাকে বলে হাতড়ে গেছি
পান-শালা, স্কুলবাড়ি ফুলবাড়ি
কত অগণন
পরমার্থ জোটেনি আমার
পরিবর্তে জাগে কেন ক্রোধ।
বিপন্ন বাঙালি ও বাংলাভাষা
আলো
কচুরিপানার দেশে, এসে গেছি অবশেষে
ভাঙা বাড়িটার আলো
বলেছিলে সব ভালো
কোন পথে তোমাকে হারাই-
আমার তো কিছু নাই, অন্ধকার বনে তাই
একা একা ঘুরে গেছি
সব কিছু মিছিমিছি
বাতাসের দোলা লেগে, এসেছে সবাই—
যত ভাবি এলোমেলো, কুয়াশায় কারা এল
ঝড়ো হাওয়া বুকে নিয়ে
এ পাড়া ও পাড়া দিয়ে
উড়ে যায় টিন ছাদ, দেখো সাঁই সাঁই
তুমি বলেছিলে লেখো, খানিকটা আড়াল রেখো
বলো বাগদেবী আমি, তোমাকেই চাই
আজ সন্ধ্যাকালে এসে
মিশে গেল কারা শেষে
কচুরিপানার দেশে, হল এক ঠাঁই।