T3 – স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় চিত্রা মুখার্জি

কেমন ছিলেন অগ্নিযুগের অগ্নিকন্যারা?

১৯৪৭ সাল ১৫ই আগষ্ট আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিত হই। এই স্বাধীনতা বহু সাধনার ফল। কেউ এমনি এমনি স্বাধীনতা হাতে তুলে দেয় নি।
সেই যুগে পুরুষদের পাশে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে এসেছিল বহু নারী যা অত্যন্ত গৌরাবান্বিত ও অতুলনীয়।
সেই যুগে পুরুষরাই ছিল সর্বেসর্বা। তথাকথিত কিছু পুরুষ কখনও চাই নি কোনো নারী এগিয়ে আসুক স্বাধীনতার অগ্নিকুন্ডে। তাদের কাছে নারীরা ছিল ভোগ্যপণ্য। সংসার পালন, সন্তান জন্ম দেওয়া ছাড়া নারীদের কোন স্থান ছিল না।
নারীরাও বুঝেছিল তাদের আসতে হবে বেরিয়ে ঘেরাটোপের আস্তাকুঁড় থেকে। তাই তারা মাথার ঘোমটা উন্মোচন করে সামিল হল স্বাধীনতার ময়দানে। ঝাঁপ দিল স্বাধীনতার অগ্নিকুন্ডে নিজের মাতৃভূমি কে শৃঙ্খল মুক্ত করতে। দীক্ষা নিল সশস্ত্র বিপ্লবের।
স্বপ্ন দেখল মাতৃভূমিকে অত্যাচারি ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে রক্ষা করতে। পুরুষের সাথে পায়ে পা মিলিয়ে আগুন জ্বালাতে শুরু করল। সেই আগুন ব্রিটিশ শাসন নীতিও দমন করতে পারে নি। নিজেদের ভীত কে শক্ত করল। কারণ তাদের বিপদ ছিল প্রতি পদে। তারা অকুতোভয়ে এগিয়ে চলল মাতৃভূমিকে শৃঙ্খল মুক্ত করতে। তাদের জীবনকে উৎসর্গ করল স্বাধীনতা আন্দোলনে। তাদের দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ, অদম্য সাহসের জন্যই তারা অগ্নিকন্যা রূপে পরিচিত হল- প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত, ঝাঁসীর নারী লক্ষ্মীবাই, মাতঙ্গিনী হাজরা, সরোজিনী নাইডু আরও বহু প্রতিভাবান নারী আছে যাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে।
আরও বহু প্রতিভাবান নারী আছে যারা নেপথ্যে সংগ্রাম করে গেছে মাতৃভূমিকে শৃঙ্খল মুক্ত করার জন্য।
আজও এতবছর পরও আমরা তাদের পথ অনুসরণ করে চলি। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের শিখিয়েছে দেশকে ভালোবাসাই হল একমাত্র পরিচয়।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *