অণুগল্পে চিরঞ্জীব হালদার

ক্রুশ বিদ্ধতা
তুমি মাঝে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে জবরদোস্তি কথা বলে যাও। তোমার কথা যেন পেরেকের মত আমার পা দুটোকে মাটিতে গেঁথে দেয়। হাত নাড়াবো তারও উপায় নেই। হাতদুখানা টানটান আকাশের গায়ে কথার পেরেক দিয়ে গেঁথে দেওয়া। ম্যাপেল পাতার বদলে কথামঞ্জরীর মালায় যেন ঢেকে গেছে আমার কপাল। কপালে একের পর এক ঠুকিয়ে চলেছ কুমারী কথার পেরেক। আমি নড়তে পারি কই। আমার পেছনে কয়েকশ উন্মাদ। আমি ঘাড় না ঘুরিয়ে বুঝতে পারি এরাও অনুকম্পাপ্রবণ। আত্মসংশোধনকারী।
কোন যাজক নেই। রাধা ত্রাণকর্ত্রী হতে পারত। ও বাবা সেও দূরে দাঁড়িয়ে ফিক ফিক হাসি দিতে দিতে তার রক্তকরবী বেণী নাড়িয়ে চলেছে।
আমি তোমাকে না পারি উগরাতে না পারি কিছু বোলচাল শুনাতে।বলবো টাই বা কীকরে ।জিভ দেখি অনেক আগেই তোমার বশ্যতা স্বীকার করে স্থবির হয়ে আছে।
ও রাধাবিনোদ এখন তুমি মা তুমি বাবা তুমি ঈশ্বর।