গুচ্ছ কবিতায় চিরঞ্জীব হালদার

অসামাজিক হাইকুর বর্ণমালা
যে প্রশ্নের সামাজিক কোন উত্তর হয়না তাকে প্রেম বলতেই পারো। ঈর্ষা আর ফাঁপা আত্মম্ভরিতা তার চারপাশে ভ্রমরের মত উড়তেই থাকে।তার ডানা দুটো ন্যাকামি আর চাতুরির এক একটা আকর্ষনীয় হিম সিলেট।আজ এগরোল না বাসন্তি পোলাও খাবে তা নির্ভর করে কাপট্যের রকম ফেরে। সূর্যোদয় দেখার জন্য যে তির্যক চটুলতা
দরকার তা শীত পোশাক ছাড়াই বের হতে পরো।
তা ঝানু ভ্রমরদের ব্যবহারিক উড়ানের অংশ বলে ভাবা যেতে পারে। পাগল যেমন কোন দর্পণ সঙ্গে রাখলেও পারত পক্ষে মুখ দেখেনা ।শুধু মাত্র অন্যেকে দেখানোর যে সে কতটা অনুভূমিক প্রেমাস্পদের কাছে।তার সত্যিকারের চাহিদা আর
জন্মদিন পালনের ঘটা বদলে যায়।আপনি ঘুণাক্ষরেও ভ্রমরের পিছনে দৌড়ে ভূতের সন্ধানও পাবেন না।তবে তার মাহাত্মগুলো নিষিদ্ধ বর্ণমালায় সাজিয়ে রাখতে পারেন।
এক দুর্লভ সূর্যোদয় দেখার জন্য জেগে বসে থাকবেন।যখন তৃষ্ণা আপনাকে জাগিয়ে দিলো
হাতঘড়িতে তখন আটটা বাজে।
ধর্মপরীক্ষা
ধর্ম আর পরীক্ষার মধ্যে কোন নদী আছে কিনা ভেবে দেখতে হবে ।
ঝুমকো দুল তোমার কোন প্রশ্ন থাকলে করতেই পারো।
টুকটুকে টিপ কিচ্ছুটি মনে করবে না।
মন যখন কোন পরিতক্ত নৌকার কাছে হলফনামা পেশ করে তাকে কোন ধর্মে রাখা যাবে ।
তোমার খাদকের বর্ণ ধূসর অন্ধকার।
আমি কোন নীতি কথায় যাব না
শুধু ধ্বংসধ্বনি থেকে মেপে নেব রুহু সন্ধ্যার আলো।
এসো নিপাতনী লবন
তোমাকে কে কে করুণা করে।
তার চিত্র আঁকতেই পারো
শুধু ধর্ম এঁকো না।
শোক ও সভা
উপার্জন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে।
কে কে শোক সভায় আসবে ।
নথিকরণ জানেনা কাহাদের মৃত্যু ঘটে কোন বাগিচায়।
পতিত পতঙ্গ
ধমক মিষ্টতা দেখিয়াছো।
চুল্লি ও চলমান ধুম।
পতন ও অঙ্গার বিপরীতমুখী।
ধুম পোড়ে ।
গোধুমের বর্ণময় হৃদিপ্রশাসনে।
অঙ্গুরি তুমি তার অঙ্গ ও অঙ্গারের বর্ণমালা।
অন্তর্ধান
নিজেকে লুকিয়ে ফেলার আগে ভেবে নিতে হবে কি কি সত্যি সঙ্গে নেওয়া জরুরী।
চিরুনি টুথপেস্ট আর নিষিদ্ধ ডায়েরির কয়েকটা মেরুদন্ডী পাতা।
একটা আস্ত জনপদ সঙ্গে নিয়ে লুকোলে কেমন হয়।
নিজের একমাত্র মুখ যা দিয়ে কখনো কোনো ভাষা আর উচ্চারিত হবে না। এমনকি মাতৃভাষাও।
সংস্কার আর শীৎকার গুলো ঠিক ঠিক পুড়িয়ে ফেলতে হবে ।
সেই সঙ্গে গোপন প্রাণায়ামগুলো।
স্থাবর-অস্থাবর দেনাগুলো চুকিয়ে ফেলার আগে দেখে নিতে হবে ওরা রক্তবীজের জাতক কিনা ।বসন্তকাল খুব বায়না ধরেছিল যার কাঁকালে লুকিয়ে রেখেছিল হাসনুহানার প্রেতকথন।
কোন যতি চিহ্ন ছাড়াই কোন এক নদের রূপালী আত্মকথা পিছু পিছু অনেকখানি এলেও খেই হারিয়ে ফেলেছে।
লুকোতে পারি ।
কিন্তু তিনি আমাকে সতর্ক নজরে রেখেছেন সব অখ্যাতি গুলো ঝোলায় ঠিক ঠিক ঢুকিয়ে নিয়েছি কিনা।