গল্পে সর্বাণী রিঙ্কু গোস্বামী
নৈরঞ্জনা একদিন সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে নৈরঞ্জনা আবিষ্কার করে যে সে একটা মানচিত্র হয়ে গেছে ….পুরোপুরি গোটাগুটি একটা মানচিত্র । তাতে পাহাড় আছে নদী আছে জঙ্গল আছে সমুদ্র আছে মরুভূমি আছে এমনকী সীমারেখাও ।...
বাঙালির সাহিত্য-ঠেক
নৈরঞ্জনা একদিন সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে নৈরঞ্জনা আবিষ্কার করে যে সে একটা মানচিত্র হয়ে গেছে ….পুরোপুরি গোটাগুটি একটা মানচিত্র । তাতে পাহাড় আছে নদী আছে জঙ্গল আছে সমুদ্র আছে মরুভূমি আছে এমনকী সীমারেখাও ।...
ঠিক যেমন ঋতুবদল হয় শিরোনাম চুম্বন হলে নিকোটিনের খোলস ছেড়ে কাপালিকের ধূসর জটায় আজন্ম নদীর স্রোতচিহ্ন এঁকে দিতাম। কবিতার উচ্চারণে অপেক্ষার অবসান হতো জীবনের ডানায় লেখা বাতিল পান্ডুলিপির। আলগা স্পর্শের শ্লীলতা ভুলে উদ্ভিন্ন শব্দমালার...
ভালবাসার ঠিক বেঠিক আবার জেগেছে সেই বিষণ্ণ কাল, তোমাকে দেখাই আমার হয়েছে কাল। সময়ের পথ আমি চিনে গেছি, রঙিন পথে আমি অনেক হেঁটেছি। এই পথ দিয়ে হেঁটে যায় আজও সেই তীব্র পথিক, তোমার ভালবাসার...
শুধু আছে আক্ষেপ রাতের আঁধার জমাট, ব্যথায় বুকটা ভরাট, সেই ঝিলমিল রাতে, জ্যোৎস্নার মৃদু অভিঘাতে, ডানা মেলেছিল যারা, স্বপ্নগুলো নিয়েই তারা, চলে গেছে না-ফেরার দেশে, পায়নি কাউকে ওরা পাশে, সেই অপার্থিব বেদনার স্মৃতি, আজ...
জোড়ালো প্রত্যয় বন্ধু তোকে ছেড়ে দিয়ে উড়তে দেখি দিনের শেষে ফিরিস যদি বুঝব তবে সাথে আছিস। বেঁধে রেখে লাভ কিছু নেই একথাটা তুইও জানিস সুতোবিহীন এমন বাঁধন ভোকাট্টা হবার ভয়হীন। প্রতিদিন এক এক করে...
প্রার্থণা হিম গন্ধে ভেতরটা অন্ধকার বাইরে নিঃসঙ্গতার ভয় ভয় ছায়া আর নাভিমূলে গুম-খুনের ঘূর্ণি কেউ কুশল বিনিময়ের স্পর্শবিদ্যা পড়তে চাইছে না পুঁজি উজাড় হয়ে গেছে মানুষের ভেতর বাহির হতে এখন শূণ্য দেওয়াল গল্পকথায় বসে...
ব্যাথা তুমি কাঁদো বুঝি? কখনো কেঁদে ওঠো রাতের ঘুমে! একটা রাত দেখবে তোমায় এত কাছ থেকে, তোমার ব্যাথা ছোঁবে মিটমিটে তারার আলোর মতো। তবু তুমি ঠায় জেগে থাকবে কেউ আসবে বলে, ভুলে যেতে কে...
শোকপ্রস্তাব আমরা কোন কসমিক আরকিওলজির বাসিন্দা নই। আমাদের রুচিরা থাকতে নেই। হয়তো কানকাটা প্রতিভাবানের মত ভুলবকাটাই প্রতিভা। ওহে বাদলমাষ্টার জানো আজ একটা দলছুট ঘুড়ি আমার উঠোনে তিনদিনের বাসি পান্তার গুনগান শুনতে এলো। আমাদের নিকেশ...
শব্দ সেলাই ছেঁড়া ছেঁড়া শব্দ সেলাই করে এক একটা কবিতা লেখা হয়। অহংকার থাবা দেয় মুখমণ্ডলের অবয়বে। নিজেই নিজেকে অভিনন্দন জানায়। কৃতজ্ঞতা বোধ জাগে তার প্রতি যা কিনা কবিতা হয়ে উঠতে সাহায্য করে।
জানতে হয় জীবনজমিনে খাদে গড়িয়ে পড়ছে চারিধার হতে ধূসর পাথর খণ্ড কোনোটাতে যেন লেখা ‘অ’ কোনোটাতে ‘শা’ কোনোটাতে ‘ন্তি’ এসব তৎক্ষনাৎ না সরালে অবরুদ্ধ পথ অনবরত দু’হাতে সরাই সেসব পথ করি এগিয়ে যেতে বাধাহীন...