বাঙালির সাহিত্য-ঠেক
কর্ণকুন্তী – গ পর্ব: ৬ তারপর থেকে টানা রিহার্সেলে চমৎকার একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় অবশেষে কর্ণকুন্তী সংবাদ কবিতাটির আবৃত্তি। যতদূর মনে পড়ে তখন অবধি জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় আর মৈত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায়ের পর, বহুদিন পর বাংলাদেশে আমি...
মায়ামুকুর আমি কি ঘুম! হেমন্তের আলপনায় কুয়াশার চাদরে জড়িয়ে, তৃপ্তির মরীচিকায়, মহুয়া-হিমে গাঢ় চুম্বনের রক্তাভা মেখে! কেননা ভাবনায় আমিতে প্রবল তুমি হয়ে উঠি, কেননা বারান্দার কিনারায় চাঁদ ঝুলে আছে স্বর্ণাভ আলোয়। সমস্ত একত্রিত করে...
মায়া আদি পিতা আদম আর আদি মাতা হাওয়ার জন্য আমার দুঃখ হয় প্রবল, মায়া বোধ করি দীর্ঘ। …জীবনের প্রথম উপার্জনে আব্বার জন্য আমি কিনেছি চশমা, আম্মার জন্য স্বর্ণের চেইন। আদম আর হাওয়া জীবনে প্রথম...
কবি ঘরে বা বাইরে যেখানেই যাই ফণা-প্রবণ সাপের মতন তাকাই নির্নিমিখ ঘূর্ণায়মান ফ্যানের দিকে– কেবলই মনে হয়– ক্ষয়িষ্ণু নাটের টংকারে মিশে আছে কারও সঙ্গোপন চিৎকার! সিলিঙের চাঁদে বায়ুমান যন্ত্রটি যেন কারও দীর্ঘশ্বাস কপি করে...
একটা মারুতি সুজুকি গাড়ি আমার একটা মারুতি সুজুকি গাড়ি আছে ছোট, গাড়ির সমাজে নিতান্ত সে সাধারন ইন্ডিয়া মেড, নামটা জাপানি আমারে নিয়া ঘুরতো হাইওয়ে বা লোওয়েতে ঝোপঝাড়ে হাওর জংগল মইষের বাচ্চা সিং জোনাকি ধরতে...
মুঠো খুলে দেখি মুঠোতে জলের অনু রোদরাঙা মেঘের উপমা কাল-কালের ব্যর্থতা ও বিষমন্ত্রণা। ঠুকরে ঠুকরে পা’র পাতা থেকে ক’ফোঁটা রক্ত ঝরে গতির প্রবলতায় বিশ্বাসের ভিত নড়ে— অভিজ্ঞা আলোতে লেখে চিরায়ত হিসাবের খাতা। উজান-স্বজন টানে টানা সম্পর্কের গুন কতবার ছিঁড়ে বাতাসের ঘূর্ণি তারপরও নৌকা উদ্দীষ্ট ঘাটের কোলাহলে… যেখানে জীবন নামক উদ্দীপনা হাট খোলে। ঘনবর্ষণের আশায় আকাশ পারের ঢেউ গোনে— অনুরাগে অনুরক্ত মুখ প্রবল আবেগে একে-অন্যে কাছে এনে দেয় সুখ বারোমাসি ফুল হ‘য়ে মুগ্ধতার ছন্দতাল শোনে। শরীর-মনন ঘিরে আদিগন্ত ইতিহাস হাতের মুঠোয় বাঁধা সে কি! স্টেশনে স্টেশনে কখনো সে মুঠো...
জিকির হাট বাজারে তোমার নামে হুলুস্থুল তুমিই নাকি এ তল্লাটে গোলাপ ফুল তুমি কি তা জানো? তোমার চিবুক, আর ভরা বুক, দুই বেনী এ তল্লাটে তুমিই হুর আসমানী তুমি কি তা জানো? সমস্ত দিন...
প্রাণভিক্ষা না রাষ্ট্রপতির কাছে আমি আমার প্রাণটা ভিক্ষা চাইবোনা এখানে আইন টাকা আর ক্ষমতার কাছে জিম্মি তাই বাঁচতে চাইনা যে রাষ্ট্র আজও মিথ্যার চামচামি করে সে রাষ্ট্রে প্রাণভিক্ষা চাইনা । না এই সুউচ্চ প্রাচীর...
