বাঙালির সাহিত্য-ঠেক
পুপুর ডায়েরি ইস্কুল থেকে এক সাথে মেডিক্যাল কলেজ অবধি পড়াশোনা করা বন্ধু কাল ফেবুতে লিখেছিল, তার উজ্জ্বল বিদূষী দিদার কথা, নারী দিবস উপলক্ষে। তিনি ফরিদপুর থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। তাকেই গল্প বলতে বসলাম তখন। –—+...
তখন শীতের ভোর মানেই ছিল সাইকেলে চড়ে গোয়ালপাড়ায় রস খেতে যাওয়া। রসের হাঁড়ির আশেপাশে কালো পিঁপড়ের মিছিল। মুগ্ধ হয়ে তাদের দেখতে দেখতে রসের ভাঁড়ে চুমুক দিলেই শরীরে শীতলতার শিরশিরানি উঠত। খুব সুখ হত। সেসময়...
মন ছুটে যায় গোপনে তোমার কাছে যাবো বলে সেজেছি আজ বাহারি, আলতা পায়ে,লালটিপ আর লালপাড়ে শ্বেত শাড়ি। গহনা পরেছি নানান রকম পরেছি নূপুর পায় তোমার প্রিয় ফুল বেঁধেছি তোমারই প্রিয় খোঁপায়। নোলক পরেছি,রাঙিয়েছি ঠোঁট...
এমন তুমুল বসন্তের সময় কেমন আছে এ শহর ? উড়ালপুলের দুদিকে খুন খারাপি শিমূলের লাল রুদ্র পলাশের উজ্জ্বল কমলা , পলাশের ফিকে কমলা আর খামখেয়ালী বাতাস নিয়ে দিব্যি আছে সে । বিমান বন্দরের কাছে...
গোপনে গড়েছে কত স্বপ্নিল সাঁকো আয়নায় নিজেকে দেখি।যেন পিকাসোর কিউবিক ছবি। এক নারীর মুখ, ভেঙে যাওয়া, অনেক বিভঙ্গ তার মুখে দেহে হাতে, হাতে ধরা ম্যান্ডলিনে। কিন্তু যখন ছুটি এসে কাছে দাঁড়ায় তখন ভ্যান গ্যগের...
জলছবিকথা পৌষ উৎসব বলতেই যে কথাটা প্রথম মনে আসে ভোর সাড়ে চারটে বৈতালিক সেরে ফিরে শ্রীসদনের চালতাতলা বাথরুমে চৌবাচ্ছার ঠান্ডা জলে চান। আর বড় দিদিদের কাছ থেকে কাজল আর কালো টিপ জোগাড় করে সাদা...
এ শহরে বসন্ত এসেছে মহাসমারহে । উড়াল-পথের পাশে শিমূল , পলাশ , রুদ্র পলাশদের ছোঁয়া যায় হাত বাড়ালেই । গাড়ী চলার উড়াল পথের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁরা জানান দেয় মানুষ যতই ছুটুক ঋতুরাজ তাঁর রঙের...
পুপুর ডায়েরি একটু পরে আস্তে আস্তে আমি ছাদে কেটে পড়তাম একা একা । আর নিজেকে বলে রাখতাম, আমি বড় হয়ে কখনো ভাড়াটে হব না। বাড়িতে বাইরের মানুষ এলে বন্ধু পাপু, বাড়িওয়ালা পাপু হয়ে যেতো।...
গোপনে গড়েছে কত স্বপ্নিল সাঁকো আমার চারপাশে ভিড় করে থাকে যাঁরা, যাঁরা আমার পরিপার্শ্ব রচনা করে তাঁদের কথা যখন ভাবি কিম্বা যখন বলতে যাই তখন চোখের সামনে কতকিছু ভাসে। মনে হয় একটা বৃহৎ দেশ...
পুপুর ডায়েরি অন্য লোকেরা এলে আমি আর পাপুর কাছে বিশেষ একটা পাত্তা পেতাম না। ওর পাশে পাশে সবার সাথে কথা বলতাম, কিন্তু,… ওই আর কি, পরিচয় হত খালি পড়াশুনায় ভালো বলে, একটা আশ্চর্য জীব।...
