সত্যিই তাই প্রেমের দহন জ্বালা বোধহয় কেবল কান্নায় একটু প্রসমিত হতে পারে।
রাগ পূরবী ।
তানসেনের সৃষ্ট রাগগুলির মধ্যে অন্যতম রাগ এই পূরবী।
যে রাগ গাইবার সময় বলা হয়ে থাকে সূর্যাস্তের পর প্রথম প্রহর।
সূর্য যখন তার সারাদিনের আভা কে একটু একটু করে ঘুম পাড়িয়ে দেয় ঠিক সেই মুহুর্তে ফুটে ওঠে যে নিশিপদ্ম তার মতোই সুন্দর এই রাগের চলন।
এই রাগের বিশেষত্ব হলো এটি নিজেই একটি রাগের ঠাট।পূরবী ঠাটে অন্যান্য অসংখ্য রাগ আমরা পেয়ে থাকি।পূরবী রাগের বাদী এবং সমবাদী স্বর হলো ‘গা’ এবং ‘নি’ । ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের ভান্ডারের এই বিশেষ রাগটি পূরীয়া -ধানেশ্রী রূপেও খ্যাত হয় তাদের মিলের জন্য। পূরবী রাগের সুর মাধুরী অনেকটাই গম্ভীর এবং সেই গাম্ভীর্য কান্ত কান্তার সম্পর্কের মতো একজন শ্রোতা ও এই রাগের গায়ক কে এক করে দেয়।
‘রাগমালা’ তে এই রাগের চিত্র দেখতে পারলে জানা যায় এই রাগ কতোটা প্রেমের।
রবীন্দ্রনাথ এই রাগে সঙ্গীত রচনা করেছেন এবং সেই সঙ্গীতে মিশিয়ে দিয়েছেন তার উপনিষদীয় দর্শন চিন্তা।