মরুহিয়া “খেয়ালের বশে হারাইলে পথ এ মরুহিয়ার ’পরে;— দাহন রসের গহন সাধন, ঊষর তৃষার সজল স্বপন— মরুমর্ম্মের মরীচিকা ধন বন্ধু, তোমারি তরে।” – যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত সময়টা মরীচিকার… ঝকঝকে কালো পিচঢালা রাস্তা… হিউমিডিটি ৫০ এর...

নতুন বছর বছরের শেষ, পিছনে ফেলা দিনগুলো যেন হৃদয় আর শরীরের মাঝে দোলা দিতে থাকে। কিছু ফেলে আসা দিন আর হারিয়ে যাওয়া কথা যেন বারবার মনের মাঝে এসে নাড়িয়ে যায়। না বলা কথা আর...

শুধু তোমার কথা ভেবে অস্তাচলগামী সূর্যের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে দিগন্তের লাল আলো ক্রমশ ধূসর হয়ে যখন অদ্ভুত এক প্রশান্তি নেমে আসছে আনুভূমিক বহু যোজন দূরত্ব অতিক্রম করে গেছি শুধু তোমার কথা ভেবে, স্রোতস্বিনী...

মেঘস্বর কিছু কি শুনতে পেলে কলরব, নাকি মিছে লাগে আছে যতো সব, দলে দলে এসে ভিড় করেছে কালো, থেকে থেকে ব্যাকুল বেগে ছুটে আসে আলো। মনে হয় কেউ কোথাও নেই আর- তাই বুঝি ঝরে...

কতটা তুমি মায়াবী? অনুরমা আমি তোমাকে আজও ভালোবাসি। তোমার রূপ দেখে মুগ্ধ হয়ে যায় পৃথিবী। তোমার শরীর যেন শরৎ এর শোভা; দিকে দিকে দেখি শুধু তোমার মায়াবীর প্রভা। অনুরমা আবার এসেছো তুমি আমার কবিতার...

কেউ কী একটা ভয়ার্ত ভাবনার ভেতর ডুবে আছি সারারাত। মায়াবীজাল চারদিক বিস্তৃত। ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠছে গোধূলির দুঃখ- ভরা অন্ধকার আমাকে গ্রাস করছে চাঁদের কলঙ্ক আর কুয়াশার ঘসটানো পা তবুও কেউ এসে পেছন থেকে...

সোনালী বাগান যেখানে আকাশ স্থির আঁখিপল্লব যেন যেখানে বাতাস আলস্যে ভোলায় মন যেখানে ধু ধু বিষণ্ণ প্রান্তর শুয়ে একা সেখানে শুধুই পশুর পদছাপ অচেতন যেখানে নেই বসতির স্থায়ী ঠিকানা যেখানে পাহাড়ী নদীর খাত শুষ্ক...

সময়ের ক্ষত সময়ের ক্ষত গভীর থেকে গভীরতর হয়, তবু কাশবনে বয়ে যায় চৈতালী হাওয়া, ভাঙা জানালার শার্সিতে ফুটে ওঠে, পৃথিবীর অস্পষ্ট মানচিত্র, অকারণ আক্রোশে ভেঙে ফেলি বারবার, জীবনের কাঁচামিঠে সব স্বপ্ন-কে, ফিরে যেতে চাই...