|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় বিপ্লব গোস্বামী
by
·
Published
· Updated
মানবতা প্রশ্নের মুখে
ওর সাথে আমার সম্পর্কটা কি তা নিয়ে অনেকের অনেক প্রশ্ন।সন্ধেহটা অমুলক নয়।কারণ সব সম্পর্কের একটা নাম থাকে যেমন মা বোন স্ত্রী প্রেমিকা ইত্যাদি ইত্যাদি।কিন্তু ও আমার কে হয় ?সত্যিইতো ও আমার কে হয়।এ কথা এত দিন ভাবিনি।আজ কেন মনে হয় ও আমার কে হয়।
ও আমার কে হয় একথা ভাবতে গিয়ে আমার বুকের ভিতর একটা চিম চিম ব্যথা হচ্ছে।কেন লোকে ওর ও আমার সম্পর্কটা জানতে চায় ?আর চাইবে না কেন ? এতে লোকের দোষ কোথায়।কিন্তু সত্যিতো ওর সাথে আমার সম্পর্কটা কি তা আমিও জানি না।ওতো আমার কেউ নয়।তবে কেন এত মমতা ওর জন্য।ও কে হয় আমার তা আমি জানি না।তবে একটা মানুষ আর আমি এক মানুষ হয়ে ওর পাশে না দাঁড়ালে নিজে একটা মানুষ এ কথা বলেতে পারতাম না।
শ্রাবণের কোন এক পরন্ত বিকেলে আকাশে তখন মেঘের ঘনঘটা।ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়ছিল।কাজ শেষে আমি নিশ্চিন্তপুরের পথ ধরে যখন বাড়ি ফিরছিলাম।বটতলায় আসতেই দেখতে পেলাম এক যুবতীর মর দেহ।গা শিহরণ দিয়ে উঠল।কেটে পরতে চাইলাম।কিন্তু বিবেকের কাছে হার মানতে হলো।এগিয়ে এসে দেখি ওর দেহে এখনো প্রাণ আছে।মনে হল ওর সাথে নর পশুরা পাশবিকতা চরিতার্থ করে মেরে ফেলে দিয়েছে।সঙ্গে সঙ্গে আমি থানায় কল দিলাম।পুলিশ ছুটে এলো।জরুরীকালীন চিকিৎসা সেবায় ভর্তি করা হল।অনেক চিকিৎসার পর জ্ঞান ফিরল কিন্তু স্মৃতি ফিরল না।চিকিৎসা শেষে ডাক্তার জানালেন ওকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হরেছিল কিন্তু বলাৎকার হয়নি।ওর স্মৃতি না থাকায় ও তার বিড়ির ঠিকানা দিতে পারে নি।ডাক্তার ওকে আমার কাছে সমঝে দিলেন।আমি ঘটনাটা বাড়িতে জানালাম।আমার পরিবারের সবাই ওকে বাড়ি নিয়ে আসতে বললেন।আমি ওকে বাড়ি নিয়ে এলাম।মাস তিন চার হয়ে গেছে।একটু একটু করে এখন ওর স্মৃতি ফিরে এসেছে।ভাবছি ওর বলা ঠিকানা মত ওকে বাড়ি দিয়ে আসব।