গল্পেরা জোনাকি তে বিপ্লব দত্ত

আমি লখিন্দরের বউ
চু কিত্ কিত্ কিত্ কিত্
রেলগাড়ি। হাত দেখালেও থামে না। ইস্টিশন আছে বটে কিন্তু মাঝ রাস্তা? চলছে চলুক। বর বউ, ওপেনটি বায়োস্কোপ আর কু ঝিক ঝিক। মা বাবার আদর দেখে হয়তো জেগে ওঠে প্রেম। ……..বাবার মতো পুরুষ চাই।
আসে বয়ঃসন্ধি।
জেগে ওঠে ভালোলাগার প্রাণ পুরুষ। যে পুরুষ প্রতিনিয়ত আগলে রাখবে চওড়া বুক দিয়ে। বাঁধবে ভালোবাসার গান। যে গানে থাকবে দুজনের অবিচ্ছেদ্য ভালোলাগা । আমৃত্যু।
তাই হয়?
হয়, স্বপ্ন থাকে অন্তহীন আর বন্ধনের হাত।
এ বাড়ির দিকে এই কদিন মানুষ দরজার দিকে তাকিয়েই মন খারাপের মুখ নিয়ে চলে যায়। যাবেই বা না কেন তাদের প্রিয়জন আজ বুকভরা কষ্টে। হারানোর দুঃখ যে কতটা নির্মম হতে পারে প্রতিটি শিরা উপশিরায় তল্লাটের মানুষ উপলব্ধিতে।
কাহিনী
যা হারিয়েছে তার দুঃখ আর নেই। এই সময়ের হারানো। হুই.. শব্দ করে কলাভেলায় উঠে পরে। এলাকার মানুষজন নদী পাড়ে। সকলের এক কথা – বেহুলা যাস না। আমরা তো আছি।
ভাসছে ভেলা।
দাঁড়িয়ে আছে বেহুলা একটা ভারি পুঁটুলি নিয়ে। মাথার উপর চরকির মতো ঘুরিয়ে চলেছে। গলা ফাটিয়ে চিৎকার – পারবে তোমরা আমার লখিন্দরকে ফিরিয়ে দিতে । জানো আমি লখিন্দরের বউ।