প্রবাসী ছন্দে বিপুল বিহারী হালদার (রোম, ইতালি)

সেই বসন্ত দুপুর
মনে পরে আজ,আমার সেই বসন্ত দুপুরের,
পল্লী গাঁয়ের,কত কথা স্মৃতি,
চালতেমাখা খেতাম,আমি আর নূপুর মিলে,
সে কথা কখন, ভুলিতে পারি কী?
কচি ডাবের জল,ঠান্ডা তেতুলের টক,দুপুরে,
মন ভরে,কত যে খেতাম,
নকশা করা তালপাখার,হাওয়া খেয়ে আমরা,
দু’জনার,প্রাণ-টি জুড়াতাম।
শুকনো বকুল ফুলের মালা গেঁথে,নূপুরের ঐ-
দুই হাতে,কতো জড়িয়ে দিতাম,
নূপুর আঁচল দিয়ে,আমার ঘাম দিতো মুছে ,
আ: তখন কি-যে,শান্তি পেতাম।
কাঁচা-কচি খেজুর,বেতের ফল,কুল গরমেই,
কষ-কষ খেতাম বসন্ত দুপুরে,
শীতল পাটি পেতে,ঘুমিয়ে পরতাম,পুকুরপাড়ে,
দখিনা বাতাসে,বহুক্ষণ ধরে।
কুহু-কুহু কোকিলেরা,ঘুম ভাঙ্গাত দুপুরেই
শুনাইয়া,মিষ্টি কন্ঠের সুর,
চারিদিকে বিকশিত,কাঞ্চন ও,আম্র মুকুল,
আহা কি মধুর,কি মধুর সেই দুপুর।
বাবা ও পাড়ার কাকুরা,সবাই মিলে মিসেই,
বসতো তাস খেলতে,বটের ছায়ে,
হুকোর টানে-টানে,হারজিত ঝগড়া উল্লাসে,
রং-মেরে তাশে,তুরপ দিয়া যায়।
নিগুঢ়ে বসে বসে ভাবি আজ-
ফিরে আর আসবেনা,কখন সেই বসন্ত দুপুর,
নূপুরের সাথে ঐ অতীত বসন্তে,কাটাইতাম-
আহা কি মধুর সুমধুর।