T3 || সমবেত চিৎকার || বিশেষ সংখ্যায় বিশ্বরূপা ব্যানার্জী

প্রযত্নে তিলোত্তমা
ও মেয়ে তুই চুড়ি ছেড়ে ধরলি ছুরি কাঁচি,
তবুও তোর শেষ রক্ষে হলো না।
চেয়েছিলি তুই শত মানুষের প্রাণ দান করতে ,
অকালে নিজেই চলে গেলি।
রাতের খাবারটাও জুনিয়রদের সাথে
গল্প করেই খেলি,
তখনো কি তুই বুঝে ছিলি
ওটাই তোর শেষ খাওয়া?
ডিউটি সময়েই ক্লান্তি নামে
ঘুম আসে দুই চোখে,
ক্লান্তি মেটাতে ছুটে গেলি
নিজেদের বিশ্রামাগারে।
তখনো ভাবিসনি হায় এটাই তোর শেষ বিশ্রাম নেওয়া।।
বিশ্রী স্পর্শে ঘুমটা তোর হঠাৎ গেল ভেঙে,
একদল নরপশু তখন মেতেছে উল্লাসে,
বললি, আমায় বাঁচাও, আমায় ছেড়ে দাও
হায় বিধাতা কেউ এলোনা।
বিবস্ত তুই ,ধর্ষিতা তুই ,মৃত তুই;
মানুষরূপী জন্তু গুলো খুবলে খেয়েছে তোর দেহ,
যে মায়ের যোনিপথ দিয়ে তাদের জন্ম
সেই মাতৃরূপী এক মেয়ের যোনিপথে চুলের ক্লিপ আটকানো,
গোড়ালিতে আঘাত বুকে আঘাত চোয়াল ভেঙে
মুখ দিয়ে চোখ দিয়ে রক্ত বের করতে বাধ্য করেছে।
গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁটটাও শত ছিদ্র।
কামড়ে মাংস তুলে ফেলেছে।
হায়রে তিলোত্তমা কি করে সহ্য করছো
এই মর্মান্তিক দৃশ্য?
হে বর্বরতার সমাজ ধিক্কার জানাই তোমার অনুশাসনের,
যেখানে নেই মা-বোনেদের সম্মান।
যত্ন করে ধর্ষিত হতে হয় প্রতিদিন কোনো না কোনো নারীকে তোমারই বুকে।
আমি ধিক্কার জানাই এই শাসনব্যবস্থাকে
যেখানে স্বয়ং রক্ষক হন ভক্ষক।
তাই আমি এমন একটা সুস্থ দেশ চাই,
আমি এমন একটা সুস্থ সমাজ চাই,
এখানে থাকবে না কোন হিংসা হানাহানি ,
যেখানে মা-বোনেদের ধর্ষণের শিকার হতে হবে না।
একটা নতুন স্বাধীনতা দিবস আসুক না নতুন সূর্যোদয়ের মধ্যে দিয়ে _
দোষীরা সাজা পাক নির্দোষরা নয়।।