• Uncategorized
  • 0

T3 || আমি ও রবীন্দ্রনাথ || বিশেষ সংখ্যায় বর্ণজিৎ বর্মন

চেতনার বাস্তুভিটে

শৈশবে রোদ ঝলমলে সকালে
বাবা পড়তে বসায় রোজ
হাতে ধরিয়ে দেয় ‘সহজ পাঠ’
আমার চেতনায় দেখা দেয় অজানা জগৎ
পরিচিত হয় বিশ্বলোক ,
বাবাকে বলতাম -বাবা আমিও হব
বইয়ের লেখক –
বাবা বলত – ধুর পাগলা আগে বড়ো হ ,
শিখতে হবে পাহাড় সমান
জানতে হবে বিশ্বভুবন
বুঝতে হবে দু:খির দু:খ
মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে
পর কে করতে হবে আপন
পারবি তো ?
সেই শুরু , উপদেশ পালন-
মানসাই, ধড়লা নদীতে বয়ে গেছে অনেক জল
কতো নিস্তব্ধ আকাশ দেখেছি ,
কতো রামধনু রঙ আকাশ ,
কতো নির্মল , কতো মেঘমালা আকাশ
কতো যমকালো মেঘে ঢাকা
বলাকা উড়ছে আকাশের বুকে ,
কতো রাতের আকাশ নক্ষত্র ভরা ,
শূণ্যে তারা খসা
কতো রকেট গিয়েছে ছুটে
আমার চেতনার বাস্তুভিটে জুড়ে
ছিল সেই সুপ্ত বাসনার বীজ ।
নিস্তব্ধ নিসর্গে বেড়ে ওঠে গাছ –
চেতনার দরজায় করি আঘাত
শূণ্য অদৃশ্য নির্মাণ জুড়ে ছায়া ফেলে কে ?
চেয়ে দেখি অক্স্মাৎ
রবীন্দ্রনাথ ! রবীন্দ্রনাথ!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।