কবিতায় পল্লববরন পাল
পারলে চুম্বন দিও যে নারী কবিতা হতে পারে, তার ওষ্ঠে আমারই শুধু চুম্বনাধিকার উপনিষদের দু’শো সাতাত্তর পৃষ্ঠা খোলো – কথা ছিলো লেখা থাকবার না থাকলেও অবশ্য কিছু না – কারণ সংস্কৃত আমার মাতৃভাষা নয়...
বাঙালির সাহিত্য-ঠেক
পারলে চুম্বন দিও যে নারী কবিতা হতে পারে, তার ওষ্ঠে আমারই শুধু চুম্বনাধিকার উপনিষদের দু’শো সাতাত্তর পৃষ্ঠা খোলো – কথা ছিলো লেখা থাকবার না থাকলেও অবশ্য কিছু না – কারণ সংস্কৃত আমার মাতৃভাষা নয়...
যাপিত শূন্য যে হাতটি আপনি ধরেছিলেন, চোখ বন্ধ করে হেঁটে যাওয়ার জন্য সে আপনার ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’, ছায়া দিয়ে চলে গেল আপনার ডুমুর ফলের মতো নাভি থেকে উঠে আসছে আলো ভেজা ভেজা শব্দব্রহ্ম অক্ষরেরা,...
কবিতার আসন স্বচ্ছতায় বয়ে চলা সম্পর্কে, কোন প্রশ্ন উত্তর থাকে না,আলোয় ভরা আকাশের চাঁদ। সৌড়ি ভেবে কুলুঙ্গিতে তুলে রাখা কিছু গোপনীয়তাই সম্পর্কের মৃত্যু ফাঁদ। রংচটা পোশাকের মতো এদেয়াল ও দেয়াল ঘুরে ঘুরে অন্ধকার হাতড়ায়...
আগুন পোড়া দুটি পাখি ঢেউ ভাঙে আমি ভাঙি শুধু একা তার অন্তর্ভূক্ত ছায়ার গভীরে তোমার কথাতেও নয় পথে পথে যেমন ভাঙে কৃষ্ণচূড়া কিংবা ধরো নির্জন দুপুর গড়িয়ে যাওয়া বাঁধের ওপর হাত ধরাধরি চাঁদের সংলাপে...
অন্ধকারে বসে লেখা কবিতা আমার অন্যায় সুন্দর কে সুন্দর বলে ফেলি। আমার একটি অসুন্দর তোমার ত্রুটির চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে কখনো তা বের করে আনিনি কোটর থেকে কখনো উঁচু ছাদের ওপর দাঁড়িয়ে সেসব শূন্যে ভাসিয়ে...
সাবালিকা হও তুমি, মেঘ শব্দশব্দেরা চিরকাল এতোই মহিমাময়, তাহাদের নিয়ে চরম আদিখ্যেতায় লোফালুফি খেলে কবি, কোথা থেকে কোথায় হুস উড়ে যাবে, কেউ জানে না, কবিও জানে না, পাঠকের চোখে বর্তীকা বিস্ময়…. আবেগেই শুধু ভেসে...
” দু’চোখে হঠাৎ করে কালবৈশাখী চৈত্রের শেষ বেলা পাতা ওড়ে নাকি। গত বছরের মায়া ভেঙে যাবে বলে রাজপথ ভেসে গেছে অচেনা কাজলে।” বৈশাখ মানেই কাঠফাটা রোদ্দুর। চাতকের আকুতি। নানান উৎসব আর সঙ্গে কালবৈশাখী। ঝড়...
প্রত্যয়ী হাতগুলো প্রত্যয়ী হাতগুলো আজ বড়ই সংকুচিত, অদৃশ্যমান সবাই যেন কেমন নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে আত্মকেন্দ্রিকতার খোলসে তবুও অবিরাম হাঁটতে আছি সম্মুখের অভিযানে। অভাবের বাণী কেউ শোনায় না প্রাত্যহিকতার চলাফেরায় শব্দ খরচেও যেন সবাই কেমন...
ম্যারিটাল প্লাস্টার এক বুবাই হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ঢোকে — হোয়াটস দ্য প্রবলেম টুকুন? সাত-সকালে আড়াইশো কিলোমিটার দৌড় করালি! বলছি দাদা বলছি, আগে বস তো! তুই বেরোনোর পর স্কাইপে বউদিকে সব বলেছি। তুই এতটা রাস্তা...
হন্যতে ব্যাটারিচালিত করাত দিয়ে দশ মিনিটেই কাজ শেষ করে ফেলল। বডি বরফ সাদা হয়ে আছে। একটুও রক্ত বেরোয় নি। খুব শক্ত কালো পলিথিন প্যাকে ভরে ফেলল সে। সেটা আর একটা ব্যাগে ভরে কাঁধে ঝুলিয়ে...