কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে আনোয়ার রশীদ সাগর

আলোময় অন্ধকার
পাখিদের কোলাহল দিগন্তজুড়ে
কোঠর থেকে বেরিয়ে সাঁতার কাটে নীলসমুদ্রে,
গহীনের মিছরিটুকরো গলে গলে যায় দূরাকাশে;
ভুরু কুচকিয়ে মেঘমেয়ে ভেসে যায় নীরব সুরে
ফেলে ফেলে যায় জলের সমুদ্র মাঠে মাঠে
বেড়ে ওঠে সবুজ বালিকা সতেজ যৌবনে।
বৃষ্টিমেয়ে হারায় দিগন্ত থেকে দূর-অজানায়
জ্যোৎস্নাময় নীলাকাশ ছুঁয়ে ছুঁয়ে শীতল হাওয়ায়
স্মৃতির পাখিরা রেখে যায় ফসলের মাঠ,
নদীর কিনার জুড়ে কাঁশবন দুলে দুলে ওঠে
মাঝি পাল তুলে ভাটিয়ালি সুরে অতীত খোঁজে
ব্যস্ত জীবনের পারাপার এখন যান্ত্রিক ঘাট।
পাখিরাও বাসাহীন ল্যাম্পপোস্টে কাটাই জীবনের অজানা সময়, এ এক দূঃসময়ের চলমান নদী;
অপেক্ষার কোলাহল জীবনসমুদ্রে, দূর্ভাগা নীলাভ প্রত্যাশা; চারিদিকে আলোময় অন্ধকার-অন্ধকার ;
কী এক আগন্তক পাখিদেরসারাটি ঘর, জ্বালিয়ে দেয়-পুড়িয়ে দেয়; সুখময় কষ্টের বাগান নাগরিক মনে।