হৈচৈ কবিতায় অঞ্জলী মুখার্জি

রসভঙ্গ
খগেন মামা বললে এসে। আজ যাচ্ছি সিনেমায়।
নেপু, ক্ষেপু,পঞ্চু তপু ছিল বকুলতলায়।
ভাগ্না ভূতো ছিল বসে আম গাছের ওই ডালে।
আম পাড়তে উঠে ছিল কেউ না ছিল দলে।
পাঁচ কান তো হলো কথা গড়ায় দুপুর বিকেল।
সাজছে খগেন সঙ্গে মামী বকুল মাসী, নগেন।
মামার স্যাঙাত্ বললে এসে, আমিও দেখব টকী।
গরীব বলে সাধ নাইকো? দিচ্ছ আমায় ফাঁকি।
ছেলের দল তো দাঁড়ায় এসে সারা উঠোনময়।
খগেন ভাবে এখান হতে কোন দিকে সে পালায়।
শুনতে পেয়ে পান্তি পিসী বললে কিনা এসে।
হয়েছি বুড়ো বলে, আমায় বাদ সাধলি শেষে?
কোন কবে সেই পিসেমশাই দেখিয়ে ছিল টকী।
এই না বলে আকুল হয়ে জুড়ল কান্না নাকী।
হৈ হৈ রব মাতল পাড়া, বললে খগেন শেষে।
টকী শোয়ে জুটছে না লোক বললে কি না হেসে।
ফ্রী দিয়েছে টিকিট। আজ তিনটের শোয়ে।
তাই লাইন দিয়ে লোক দাঁড়িয়ে। রয়েছে শয়ে শয়ে।
ভাবনা চিন্তা ফেলে খগেন। রওনা দিল পথে।
ছেলে বুড়োর দল তো ছিলই হেপো কানাই সাথে।
মাঝ পথেতে হ’ল এবার আসল খেলা শুরু!
হেপো কানাই তুললো পটল, হায়! একি করলে গুরু।