হৈচৈ কবিতায় অঞ্জলী মুখার্জি

পান্তি মাসীর কাশী যাত্রা
সেবার শীতে পান্তি মাসী। স্থির করেছেন যাবেন কাশী।
বেশ তা ভালো, টিকিট কাটা? ভার নিয়েছেন নেপোর জ্যাঠা।
মন্দ নয় সে, একটু ক্ষ্যাপা। তাই বা হোল, পোয়াক হ্যাপা।
ঠিক আছে সব, হঠাৎ একি! মাঝ রাতেতে কাঁদছে নাকী।
কানটি পেতে শুনতে যেতেই। লাগলো ঘুসি সজোরেতে।
এক্কেবারে নাকের পরে। কি ঝামেলা রাত দুপুরে।
ও পাড়ার ঐ শ্যাম দারোগা। বৌ পেটাতো আগাগোড়া।
সেদিন হঠাৎ দুপুর বেলা অক্কা পেল কোলের পোলা।
ভেদবমি আর ন্যাবার জ্বরে। ভুগছিলো সে ক’দিন ধরে।
শেষ রক্ষা হোল না আর। শ্যাম দারোগার কম্ম কাবার।
সগ্গে গিয়েও পৌষ মাসে। শ্যাম গিন্নি নিত্যি আসে।
রাত দুপুরে শ্যামের ঘরে। সেদিন এলো চুপিসাড়ে।
বললে এসে খেলেই শেষে। ছোটকাটাকে এক নিমেষে!
এই না বলে ভীষণ জোরে। নাকী সুরে কান্না জোড়ে।
ছিলো পান্তি মাসীর চেনা জানা। বহু দিনের বন্ধু কিনা।
অকালেতে সগ্গে গিয়ে। সুখেই আছে খেয়ে নেয়ে।
অবশেষে পান্তিমাসী। বললে তারে যাবি কাশী?
যেই না শোনা, শ্যাম গিন্নীর। ঠোঁটের কোণে ফুটলো হাসি।