সিন্ধুর তীর বরাবর যে টিনের ঘর গুলো নক্ষত্রের মতো জ্বল জ্বল করে..
কিম্বা, বরফ চাদরে মোড়া পাহাড়ের গায়ে যে টালির ঘর গুলো….
সাদা টুপি পরা আকাশের দিকে নাক …
ওদের সঙ্গে মিশেছো কোনোদিন ?
ওদের গল্প শুনেছো ?
ওই ঘর গুলোই মানচিত্র, আর মানুষ গুলো ? … কাঁটাতার।
আমি মানচিত্র আঁকতে গিয়ে ছিলাম ;
গুলমার্গের টিউলিপ আমাকে মানচিত্র আঁকতে দেয়নি!
আমাকে ভাবিয়ে ছিল শোনমার্গের রাস্তার পাশের গভীর খাদ!
যেখানে বিক্ষিপ্তভাবে গাড়ির কঙ্কাল ঝুলে আছে এখনোও…
হাজার ফুট নিচে , কিম্বা মাঝখানে.. বছরের পর বছর…
ওরাই তো মানচিত্র।
নির্মমতার প্রতিচ্ছবি, পাহাড়ীয়া সহিষ্ণুতা, পার্বত্য অভিশাপ ;
আর আমি, গুগল ম্যাপের সার্চ থেকে কাঁটাতার…
অন্যদিকে কিছু মানুষ , শাঁখের করাতের মাঝখানে…
পাহাড়ী ঝর্নায় জল আনতে গিয়ে মেয়েটা ফিরবে,
না জল খাওয়ার আগেই গুলি খাবে…
এই সব লোককে তুমি মানচিত্র দেখিওনা।
ওদেরকে স্বাধীনতার ব্যাপ্তি বোঝানো পাপ।
ওরা যে মানচিত্রটা চাক্ষুষ করে…..
সেটা প্রাতিষ্ঠানিকতা আর সৌজন্যের রঙে রাঙানো নয়..
এই মানচিত্র আকস্মিক মৃত্যুতে বদলায়;
আশঙ্কার কাঁটাতার আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সৌজন্যে ;
সে মানচিত্র, সীমার মাঝে অসীমের মানচিত্র।